স্ব-শরীরী দেবীতমা, সু-স্বাগতম!
মোম আশার চর্ম ঘাঘরা তুলে শিশির মৃত্তিকাকে দেখালে নগ্ন চরণ ছাপ।
কোমরে কোমরে তাই উৎসব হল সাম্পান দোলা,
মাখন নরম যুগল সংগমে প্রবাহ দিল অর্ঘ্যহিম,
স্পর্শনেই তোমার কামরাঙা লাজ।
স্বপ্ন-ঊর্মি দেহের ভাজে ভাজে প্রবেশমাত্রই মধুগামী পাখি,
কোমল ঠোঁটে ভাঙলো কারুকাজ।
তোমার বুকে ফুটবে এক বালিকা অর্কিডিয়া
তাইতো দলে দলে নেমে এল স্বর্গদূত,
মিছিল নামাল ধরণীর পৃষ্ঠতলে,
শুভ্র-নিশানায় আড়াল করে রক্তাক্ত অস্ত্র,
আগ্রাসী সৈন্যদলও জমা হল মিছিলে।
নব দ্বিপালীতে এখনই নোঙর ফেলল নাবিক,
পুষ্প-ব্যানার উঠিয়ে বাড়াল তার পশ্চাৎদেশ।
অতঃপর তোমার জরায়ু গহব্বরে পরল মিছিল,
কেন্দ্র অভিমূখী বলে বাড়লো সবার মিছিল চল-চলন্তিকা,
আর আমিও অতি ক্ষুদ্র প্রাণসত্তা
দৃষ্টির অগোচরে হারিয়ে মিছিলে,
জানবে না এই বালিকা !
রয়ে যাবে দূর দূরত্বময়
বালিকার সিম্পনী অববাহিকা ।
অর্ধ হাজার কোটি বছর পৃথিবীর দেয়ালে
কান পেতে অপেক্ষারত ছিলাম তোমার শব্দের,
ক্ষুধা নিদ্রার রেণু উড়িয়ে চুপচাপ দাড়িয়ে একা,
সয়ং বিধাতাও স্বর্গের প্রতিটি দুয়ারে
মৃদু মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে বসে ছিল প্রতীক্ষায়।
এক কণা রংধনুর আঁচড় কেটে
অবশেষে তোমার অস্তিত্বের সূরভী ।
তোমার আগমনে ধ্যান ভাঙলো হৃৎপিন্ডের রক্ত,
সবুজাভে গড়াল তাই ধূসর মধ্য মরুভূমি।
তোমার ঊর্বশী ঢেউয়ের বাকে
নৈর্ঋত কোণে ফুটল একখন্ড আলোর ঝলকানি,
অথচ ডুবন্ত আমি অন্ধ-অন্ধকারে,
রয়েই গেলে দূর দূরত্বময় তুমি
কিংবা তোমার পৃথিবী নীলাম্বরী !
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩২