রাস্তার সেই নির্জন মোড়ে বিষাক্ত বাতাসে গল্পের ডানাগুলো নীল হয়ে গেছে।ঝরে পড়েছে ঝুল বারান্দায় বাদুরের মতো ঝুলে থাকা শেষ বিকেলটাও।সময় বেঁধেছে নতুন বসতি।নতুন উদ্যামে উড়ছে ঘূর্নিময় তারুন্যের পতাকা।
প্রতি সন্ধার প্রদিপ নিভে যায়,অভিশপ্ত প্রেতের ফুৎকারে।নরম বালিশের নিচে ডুকরে কেঁদে উঠে,রাতে নিঃস্তব্দতা।চা'য়ের লিকারে গরম খবর মিশিয়ে আর আড্ডা জমে না বকুল মামার দোকানটাতে।
ভোঁতা সুচের আঘাতে ফুসফুসের অ্যালভিওলাসগুলো বেলুনের মতো ফুটে ফুটে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।আঙ্গুলের ফাঁকে ম্রিয়মান সূর্য মাথা নুইয়ে প্রনাম করে অন্ধকারের কুৎসিত পা'য়ে। হিংস্র নেকড়ের দল বিষাক্ত দাঁতের ফলা দিয়ে চষে বেড়ায় নরম মাংসের স্বাদ।শান্তিকামী শামুকের দল মিছিল করে মস্তকহীন পাখিদের আত্মহুতির কষ্টে।ক্ষুদার্থ পিপড়ারা ফেরোমন ছড়িয়ে দেয়,চিঠির নীল খামে ভরে।
মেঘাদ্রীকা,আলমারীর শেলফের তলায় লুকিয়ে রাখা আলাদীনের প্রদিপ যেদিন তুমি বের করবে,বিষন্ন টেলিগ্রাম তারের উপর বসে থাকা একা পাখিটাও সেদিন চমকে চোঁখের জল ফেলবে,ভেজাবে তোঁষকের নিচে ফেলে রাখা অনুভূতির পান্ডুলিপিকে।