(কিশোর বয়সের ডায়েরী) সবাইকে পড়তে অনুরোধ করছি।
১. জীবন যে সুখ-দুঃখের সমষ্টি সেটা তো জানাই আছে। কিন্তু আমার জীবনে সুখের দেখাই পেলাম না। বলতে গেলে সকল প্রকার দুঃখই যেন আমাকে এক নামে চেনে। সমস্যার অভাব নেই। বাসায় সমস্যা,বাইরে সমস্যা। এই সমস্যা সকলে আমাকে বেঁধে ফেলছে। কারো সাথে শেয়ার করলেই তো সমাধান পাওয়া যাবে। কিন্তু কার সাথে? পরিবার আর বন্ধুদের সাথে? তারা তো “পরিবার” এবং “বন্ধু” নামধারী কিছু জীবমাত্র। তাহলে আর কি করার? “আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়”- এত সমস্যার পরেও কি আর এই কথা ভাল লাগে? নাহ, একদমই না! এবার এই একটাই রাস্তা। আত্মহত্যা! আচ্ছা, আত্মহত্যা মানে তো জীবনের কাছে হেরে যাওয়া। যদি পালিয়ে যাই, তাহলে কেমন হয়? চলে যাব দূরে কোথাও। যেখানে কেউ খুঁজে পাবে না আমাকে। কিন্তু, যাব কোথায়? থাকব কোথায়? সমাধান খুঁজতে গিয়ে দেখছি সমস্যাই বেড়ে চলছে! নাহ! আত্মহত্যাই করবো!
২. ফ্যন-এ দড়ি ঝুলালাম, আর কিছুক্ষণ পর যেখানে আমি ঝুলব। গলায় সেই দড়িটা লাগিয়ে ফেললাম। এখন শুধু পা থেকে চেয়ার সরিয়ে ফেলার কাজটুকু বাকি। “আমি আত্মহত্যা করব!” “আমি আত্মহত্যা করব!” “আমি আত্মহত্যা করব!” শুনেছিলাম ভয়ানক কোন কাজ করতে গেলে এভাবে তিনবার আওড়ালে নাকি সাহস বহুগুন বেড়ে যায়। আমারও তাই হলো। চেয়ারটাকে এক ধাক্কায় সরিয়ে ফেললাম পায়ের নিচ থেকে।
৩. চোখ খুলে তাকালাম ঝাপসা দৃষ্টিতে। এটাই কি মৃত্যুর পরের জীবন? আমার গায়ে ভিন্ন ধরনের কাপড় টের পেলাম। নিশ্চয়ই এটা কাফনের কাপড়। কিন্তু কাফনের কাপড় তো নীল রঙের হয় না; হয় সাদা রঙের। আমার ঘোর কাটতে কিছুটা সময় লাগলো। বুঝলাম, হাত-পা ভেঙ্গে বসে আছি হাসপাতালের কেবিনে। এখন তো মনে হচ্ছে, পালিয়ে গেলেই ভাল হতো। ধ্যত!
(শেষ...)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:১৮