নিয়ন আলোর জাদুতে বেঘোরে ঘুমায় রাতের শহর
আর ফর্মালিনের দ্রবনে গভীর কোমায় আমাদের মনন; বিবেক
তখন ফুটপাতে জরাজীর্ণ বস্তায় পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে সমগ্র বাংলাদেশ!
যেনো ফুটপাতে সযতনে রাখা পরিপাটি সামান কারো
কিংবা পাশেই লাশকাটা ঘর, এখানে সারি সারি বস্তাবন্দী লাশ!
এখানে একেকটা বস্তা যে একেকটা ইতিহাস, কে রাখে খোঁজ?
বেদখলের, নদী ভাঙনের, জোতদারের ইতিহাস;
হরেক ইতিহাস, হরেক কান্না এখানে ঘুমায় নিয়ন আলোতে।
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা প্রাণের এই বাংলাদেশ;
সমুদ্র জয়ে অধিকতর স্ফীত গর্বিত মানচিত্র;
হাই কোর্টের বেদীতে পৎপৎ করে উড়া গৌরবের লাল সবুজের পতাকা,
এই সব ওদের কাছে নিতান্তই মূল্যহীন, উপহাস প্রায়!
এই জীর্ণ বস্তা, ফুটপাত; রেলের ফ্ল্যাটফর্ম; ম্যানহোলের পরিত্যাক্ত রিং-
এখানেই সীমাবদ্ধ ওদের দেশ, ওদের মা; এখানেই ওদের সমগ্র বাংলাদেশ।
তাইতো পরম মমতায় যখন তখন বাড়িয়ে দেয় বুকের পাশ!
মমতা ভরে বলে- ঘুমা তোরা, তবু টিকে থাক, বেঁচে থাক!
সময়ের ভারী চাকা নাকি রাষ্ট্রের অবহেলায় অবিরাম পিষ্ট ওদের জীবন?
কার কাছে জবাব আছে? কে নেবে এর দায়?
আমি, আমরা কি দায় মুক্ত!
চারিদিকে কিলবিল করে কাল নাগিনীরা;
অষ্টপ্রহর ফণা তোলে আছে হতচ্ছাড়া বিধি!
আজন্ম জীবনের চিতায় যতোটা গভীরে পুঁড়েছে ওরা,
মোটেও ততোটা চাপ-তাপ সয়নি কিংবা পুঁড়েনি
ইট ভাটার বহু বয়স্ক কয়লা আর পুঁড়ে পুঁড়ে লাল হওয়া ইটেরাও!
শব ভষ্মের পর চিতায় পড়ে থাকা আধপোঁড়া কাঠ
কিংবা গোরস্থানের ধ্বসে যাওয়া খরখুটোর মতো অস্পৃর্শতো নয় এরা!
তবে, কেন এত অবহেলা, অনাদর? কে দেবে জবাব?
এটাকি বিধির লিখন, নাকি রাষ্ট্র যন্ত্রের ব্যর্থতা!
কদিন পর পরম উৎসাহ উদ্দীপনায় হবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী,
নগরী সাজবে কোটি টাকার ব্যানারে, ফেস্টুনে, তোরনে;
পুঁড়বে কার্গোর পর কার্গো মোম, হবে মিলিয়ন ডলারের আতশ-বাজি!
তবু এই দেশে মিলবে না ওদের মাথা গোঁজার এতটুকুও ঠাঁই!
সুতরাং ঘুমাক ওরা এখানেই স্বর্গের ঘুম, স্বপ্নময় ঘুম;
কেননা ওদেরতো যে আর আ্সেনা আলোর ভোর,
এই রাতের পরেই আবার হাতছানি দিয়ে ডাকে আরেক রাত!
বিধ্বস্ত মালভূমিতে খসে যাওয়া ঝুলন্ত পাথর খণ্ডের মতো
চেপে বসে পেটের দায়, আব্রু বাঁচাবার দায়, শীত নিবারণের দায়!
এক এক করে তেড়ে আসে ভয়ের মিছিল,
সগর্জন তেড়ে আসে শ্বাপদ সংকুল অরণ্যের মতো;
যেনো এই বস্তার বাইরেই ঔঁত পেতে থাকে এক শ্বাপদ রাজ্য!
দিনে দিনে এখন বেশ পরিণত নরপশুদের রক্ত চোষার মুখোপাঙ্গ!
হতে হবে ব্লটিং পেপারের মতো শোষিত,
পেটের দায়েই হতে হবে যে আবার কোন পেশাদার শিকারীর সরস টোপ;
কিংবা হতে হবে কোন সুনিপুণ অসিবাজের
নিয়ন আলোর জাদুতে বেঘোরে ঘুমায় রাতের শহর
আর ফর্মালিনের দ্রবনে গভীর কোমায় আমাদের মনন; বিবেক
তখন ফুটপাতে জরাজীর্ণ বস্তায় পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে সমগ্র বাংলাদেশ!
যেনো ফুটপাতে সযতনে রাখা পরিপাটি সামান কারো
কিংবা পাশেই লাশকাটা ঘর, এখানে সারি সারি বস্তাবন্দী লাশ!
এখানে একেকটা বস্তা যে একেকটা ইতিহাস, কে রাখে খোঁজ?
বেদখলের, নদী ভাঙনের, জোতদারের ইতিহাস;
হরেক ইতিহাস, হরেক কান্না এখানে ঘুমায় নিয়ন আলোতে।
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা প্রাণের এই বাংলাদেশ;
সমুদ্র জয়ে অধিকতর স্ফীত গর্বিত মানচিত্র;
হাই কোর্টের বেদীতে পৎপৎ করে উড়া গৌরবের লাল সবুজের পতাকা,
এই সব ওদের কাছে নিতান্তই মূল্যহীন, উপহাস প্রায়!
এই জীর্ণ বস্তা, ফুটপাত; রেলের ফ্ল্যাটফর্ম; ম্যানহোলের পরিত্যাক্ত রিং-
এখানেই সীমাবদ্ধ ওদের দেশ, ওদের মা; এখানেই ওদের সমগ্র বাংলাদেশ।
তাইতো পরম মমতায় যখন তখন বাড়িয়ে দেয় বুকের পাশ!
মমতা ভরে বলে- ঘুমা তোরা, তবু টিকে থাক, বেঁচে থাক!
সময়ের ভারী চাকা নাকি রাষ্ট্রের অবহেলায় অবিরাম পিষ্ট ওদের জীবন?
কার কাছে জবাব আছে? কে নেবে এর দায়?
আমি, আমরা কি দায় মুক্ত!
চারিদিকে কিলবিল করে কাল নাগিনীরা;
অষ্টপ্রহর ফণা তোলে আছে হতচ্ছাড়া বিধি!
আজন্ম জীবনের চিতায় যতোটা গভীরে পুঁড়েছে ওরা,
মোটেও ততোটা চাপ-তাপ সয়নি কিংবা পুঁড়েনি
ইট ভাটার বহু বয়স্ক কয়লা আর পুঁড়ে পুঁড়ে লাল হওয়া ইটেরাও!
শব ভষ্মের পর চিতায় পড়ে থাকা আধপোঁড়া কাঠ
কিংবা গোরস্থানের ধ্বসে যাওয়া খরখুটোর মতো অস্পৃর্শতো নয় এরা!
তবে, কেন এত অবহেলা, অনাদর? কে দেবে জবাব?
এটাকি বিধির লিখন, নাকি রাষ্ট্র যন্ত্রের ব্যর্থতা!
কদিন পর পরম উৎসাহ উদ্দীপনায় হবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী,
নগরী সাজবে কোটি টাকার ব্যানারে, ফেস্টুনে, তোরনে;
পুঁড়বে কার্গোর পর কার্গো মোম, হবে মিলিয়ন ডলারের আতশ-বাজি!
তবু এই দেশে মিলবে না ওদের মাথা গোঁজার এতটুকুও ঠাঁই!
সুতরাং ঘুমাক ওরা এখানেই স্বর্গের ঘুম, স্বপ্নময় ঘুম;
কেননা ওদেরতো যে আর আ্সেনা আলোর ভোর,
এই রাতের পরেই আবার হাতছানি দিয়ে ডাকে আরেক রাত!
বিধ্বস্ত মালভূমিতে খসে যাওয়া ঝুলন্ত পাথর খণ্ডের মতো
চেপে বসে পেটের দায়, আব্রু বাঁচাবার দায়, শীত নিবারণের দায়!
এক এক করে তেড়ে আসে ভয়ের মিছিল,
সগর্জন তেড়ে আসে শ্বাপদ সংকুল অরণ্যের মতো;
যেনো এই বস্তার বাইরেই ঔঁত পেতে থাকে এক শ্বাপদ রাজ্য!
দিনে দিনে এখন বেশ পরিণত নরপশুদের রক্ত চোষার মুখোপাঙ্গ!
হতে হবে ব্লটিং পেপারের মতো শোষিত,
পেটের দায়েই হতে হবে যে আবার কোন পেশাদার শিকারীর সরস টোপ;
কিংবা হতে হবে কোন সুনিপুণ অসিবাজের আত্মরক্ষার ঢাল!