যা খুশি করবো আমি, ইচ্ছে হলে আস্ত দেশ কিংবা-
গোটা পৃথিবীটাই ঝলসে কাবাব করে খাবো!
নয়তো যাকে ইচ্ছে উৎসর্গ করবো!
ধুরছাঁই! জাতিসংঘ আর হিউম্যান রাইটস,
আশাকরি কিছু মনে করবেন না, বেয়াদবি নিবেন না প্লীজ,
আপনাদের আবার এখনো আমার কিঞ্চিত লজ্জা-ভয়!
ভাষা আর কত শালীন থাকে বলুন ?
গোপনাঙ্গের আব্রু ভেসে গেলে, অনুভূতি মরে গেলে,
হৃদয়ের জমিন থেকে ভালোবাসা তেপান্তরে নির্বাসিত হলে-
আর কবর শ্মশান ভাগাড়ে আবাস হলে যেমনটা হয় আর কী!
ভেবেছিলাম, সবেতো মাটির দেহে পঁচন লেগেছে,
মনের ভিটায় তবু হয়তো চড়েনি কোন ঘুঘু!
কিন্তু দেখতে দেখতে বেদখল স্বপ্নের সবক'টা সিঁড়িও
সর্বত্র কিলবিল করে ঝাঁকে ঝাঁকে লাশ খেকো কীট!
ভোগবাদের টেবিলে গনতন্ত্রের ব্যবচ্ছেদ তো সেই কবেই শেষ,
এখনতো মাত্র বাস আর ট্রেনে এর শেষকৃত্য হয় এই যা!
স্বদেশ প্রেম, জাতীয়তাবোধ, সার্বভৌমত্ব, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড
এমন প্রাণের শব্দ গুলোও অবলীলায় খেয়ে ফেললো ওরা!
আইনের রক্ষক! খানিকটা নখর-দাঁতাল নাহলে কি চলে!
আর ধর্ষকরা পেলে তারাই বা পাবেনা কেন ভাগ?
শাসক, যাজক, শিক্ষক আছেতো কী এমন ক্ষতি;
একটু আধটু পেলে কী এমন দোষ তাতে?
কাঁচা মাংসের স্বাদ আর ইন্দ্রিয় পূজা বলে কথা!
ডাক্তার, কসাই, ডোম আর টোকাই বেশ সমার্থক,
আর হবেই বা না কেন ভাগাড়ের দায়িত্বেও তো তারাই!
লুটতরাজ, গুম-খুন, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী বড়ই সেকেলে;
এখন বেশ উপাদেয় খাবার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র!
দিনেরাতে সবাই গোগ্রাসে খাচ্ছে, খাওয়াচ্ছে-
চুষে, চিবিয়ে, জলে ডুবিয়ে সবভাবেই খাওয়া চলছে।
আবাল বৃদ্ধ বণিতা, প্লে ক্লাসের শিশুটিও বেশ খাচ্ছে;
মাতৃদুগ্ধের মতই বেশ চেটেপুটেই খাচ্ছে!
খা'ক, ক্ষতি কী?
আমি নাহয় আস্ত দেশ কিংবা পৃথিবীটাই ঝলসে খাবো!