একদিন হৃদয়ের মন্দিরে ছিলে তুমি সযতনে;
বিশ্বাসের প্রাসাদে নির্মিত বেদীতলে-
সুখের দেবী হয়ে মনের প্রগাঢ় কুঞ্জবনে।
এখনো আছো তুমি ভাবনার মেঝে জুড়ে-
স্মৃতির দেয়ালে প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্রের মতন,
অনুভূতির ফসিলেরা ঠিক ঠাক আছে জেগে।
জেগে থাকে রাতভর আলোকবর্ষ দূরে
ক্যাসিওপিয়া; কালপুরুষ; রোহিনীরা-
পাশেই ক্রতু; পুলহ; পুলস্ত্য; অত্রি; অঙ্গিরা।
এখানেও আদিম রাতের জমাট আঁধারেরা
নিশাচরের ধাতব ডাক, নিঃসঙ্গ ল্যাম্প পোস্ট-
রাত পাখি আর নির্ঘুম রাত পোকারা।
মনের ঘরের ছাদ গেছে সেই কবে!
কর্দমাক্ত ভিটেটুকু আর আমি শুধু..
খোলা আকাশের নিচে সটান আছি পড়ে।
যেনো গোটা আমিই অভিনব লাশকাটা টেবিল এক!
নিপুণ স্ব-ব্যবচ্ছেদে সুদক্ষ আমার হাত-
দিবানিশি ময়না তদন্তে উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টি!
স্মৃতির লাশ কাটাকুটি-
আমাকে কাটি, কাটি তোমাকেও;
বেদম খুর চাকু চলে অলিন্দ-নিলয় জুড়ে!
এখনো এখানেই চিত হয়ে সটান....
অনেক দূরে ক্যাসিওপিয়া; রোহিনী; অত্রি; অঙ্গিরা;
অনন্ত আকাশ তলে রক্তাক্ত বিক্ষত একচিলতে প্রাণ!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭