গতকাল (মঙ্গলবার) বিকাল চারটা থেকে তিন মিনিটের জন্য নীরবতা কর্মসূচীর খবর পেয়েছিলাম আগর রাতেই। ফোনে এ নিয়ে কলিগদের সাথে অনেক আলোচনা ও হলো। সকালে অফিসে এসে রীতিমত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, মাঝে মধ্যে কলিগদের সাথে টুক টাক আলোচনা যেখানে শাহবাগ এর পরিস্থিতিই ছিল মূল আলোচ্য, এরই মধ্যে এক কলিগ কারওয়ান বাজার থেকে শিবিরের তান্ডবের খবর দিলো, সেই সাথে জানালো পুলিশেল একশানের কথা, অন্য এক কলিগ মতিঝিল থেকে প্রায় একই রকম খবর দিল।
তখন আমাদের একটাই মন্তব্য "শাহবাগের ছোয়া লেগেছে পুলিশ প্রশাসনেও" তাইত তারা এবার আর মার খাচ্ছে না বরং প্রতিরোধ করছে।
বিকাল ৩:১৫ মিনিট, বস সবাইকে কনফারেন্স রুমে ডাকলেন, সংক্ষিপ্তভাবে বিকাল ৪ টার নীরবতা কর্মসূচীর পটভূমি সম্পর্কে বললেন এবং সবাইকে অনুরোধ করলেন কর্মসূচী সফল করার জন্য।
আমাদের তো তখন পোয়াবারো, অফিসে কর্মসূচী পালনে স্বতস্ফূর্ততা পেয়েছি।
৩:৪৫ মিনিটে সবাই ৭ তলা থেকে নেমে এলাম রাস্তায়, আমরা ৩০/৩৫ জন, আমাদের দেখা দেখি আশপাশের অন্য অফিসের অনেকেই চলে এলো রাস্তায়, কিছুক্ষনের মধ্যে অনেকেই থেকে সবাই হতে সময় লাগল না।
চারটা বাজতেই সবাই নীরব হয়ে গেলো, রাস্তায় চলমান রিক্সাগুলির প্যাডেল থেমে গেল, ইঞ্জিন বন্ধ হলো যান্ত্রিক জানের। যেন থমকে গেলো জনজীবন।
মাত্র তিন মিনিটের জন্য নীরবতা, কিন্তু বাঙ্গালী এই তিন মিনিটেই বিশ্বকে জানিয়ে দিল নীরবতা ও হতে পারে প্রতিবাদের ভাষা এবং শুধু ভাষা নয় তীব্র প্রতিবাদের ভাষা।