গল্পঃ
তারা ৯জন ছিল একসাথে। ছোটাছুটি করছে এদিক ওদিক। এই মার্কেট থেকে ওই মার্কেট। এই দোকান থেকে ওই দোকান। ঈদের জন্যে পোশাক পছন্দ করছে রাফি। সেলিনা প্রায় কিনেই ফেলেছে। কাল ঈদ। তাদের বাবা মা ঈদের জন্য লাল কুর্তা, নীল কুর্তা কিনে দিবে। সেই ৯জনের মাঝে হঠাৎ কান্না শুরু করল রানু।
সে বলতে লাগল, “ওই আপা, আপারে, গতবারের মতো হইবো না তো? আব্বা যদি এইবারও কিনে দিতে না পারে? আম্মারে আর আব্বারে তো চৌধুরী সাব যাকাতের কাপড় দিছে, আমাগো কি হইবো? আমরা কি এই পুরান ছিঁড়া-পাডা কাপড় দিয়া ঈদ করমু? আল্লাহ কেন এমন কইরা আমাদের দুনিয়ায় পাঠাইছে? ওরা লাল নীল কুর্তা পইড়া ঈদ করবো আর আমরা কাইন্দা মরমু? এইডা কি আল্লাহর বিচার??”
অনেকেরই মনে থাকার কথা এই গল্পটি। গত ঈদে রানু, রাফি, সেলিনাদের মত আরো অনেকের ঈদের নতুন কাপড় কিনতে না পারার সেই দুঃখ ভুলাতে আমরা মাঠে নেমেছিলাম। গতবার মাত্র ২৮০জনের দুঃখ দূর করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এবার কি পারব না ৫০০জনের বেশি রানু, রাফি, সেলিনার দুঃখ দূর করতে?? আমরা কি থামাতে পারব না তাদের কান্না?? হ্যাঁ, আমরা চাইলেই পারব। মানুষ সবই পারে। প্রয়োজন শুধু সহযোগীতা, সংহতি।
আবেদনঃ
আরেকটি ঈদ আসছে। আবার আমরা ঈদকে উদযাপন করতে নিত্যনতুন হালফ্যাশনের পোষাক, জুতাসহ হরেক রকম জিনিস কিনব। প্রতিযোগীতা করব বন্ধুদের সাথে – কারটা কত বেশি সুন্দর এবং দামী। তবুও আমাদের মন যেন ভরেনা। ইশশশ!! আরেকটু ঘুরে দেখতে পারতাম! আসুন না এবার ঈদে একটু পাল্টে যাই। ঈদের আমেজটা সব জায়গায় ছড়িয়ে দিই। কিছু অনাথ, দুঃস্থ শিশুদের জন্য এই ঈদটাকে স্মরণীয় করে রাখি। নিজেরা তো শপিং করব, কিন্তু সেখান থেকে দুই-তিনশ টাকা বাঁচিয়ে একটি দুঃস্থ শিশুকে শার্ট বা প্যান্ট কিনে দিই। নতুন কাপড় হাতে পেয়ে শিশুটি যে ভুবন ভোলানো স্বর্গীয় হাসি দিবে তা আমি আপনি লাখ টাকা পেলেও হাসতে পারব না। পরিবার বা আত্মীয়স্বজনদের যাকাত তহবিল থেকেও আমরা কিছু অর্থ সংগ্রহ করতে পারি। আমাদের ধনের দৈন্যের চেয়ে মনের দৈন্যতাই বেশি। আসুন না সবাই একসাথে সবাই নিজ নিজ গ্রামে কিংবা বন্ধুর গ্রামে এই পোশাক বিতরণের কাজটি করে মনের দৈন্যতা কিছুটা হলেও ঘুচাই। যেন বুক ফুলিয়ে বলতে পারি দেশের মানুষের জন্য সামান্য হলেও তো কিছু করেছি।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ ফেসবুক ইভেন্ট