আমার মতে রসায়ন এর সন্ধি বিচ্ছেদ ,,,,
রস+আয়ন=রসায়ন ,
কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের কাছে এর রসটা কখনোই সুস্বাদু মনে হয়না বরং এ যেন বেরস এক বিস্বাদ বিষয়।বিভীষিকাময় এক সাবজেক্ট।
এর বিদঘুটে সব সংকেত উদ্ভট সব নাম আর শিকলের মত বিক্রিয়াগুলো পরীক্ষার সময় স্টুডেন্টদের মাথায় যেন বিক্রিয়া মিশ্রন তৈরী করে দেয়।
তবে একটা ব্যাপার আজকাল দেখি বিষয় হিসেবে এটা যেমনই হোক আমাদের সম্পর্কগুলোর প্রকাশ ও হয় এখন রসায়ন দিয়ে।
মুভিতে যদি হিরো হিরোইন এর মাঝে কেমিস্ট্রি ভাল হয় তবে মুভি হিট।
রিয়েলিটি শো তে কাপলদের কেমিস্ট্রি ও বিবেচনার বিষয়।
দুজন মানুষের মাঝে যদি কেমিস্ট্রি ভাল হয় তো সম্পর্কটা মধুর হয়।
এত জটিল এক বিষয় তবুও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই কেন এর প্রয়োগ হয়।
কারনটা আমি বলি কেমিস্ট্রি তে যেমন বিক্রিয়ক গুলো বিক্রিয়া করে নতুন কিছু তৈরি করে সে রকমই সম্পর্কের ক্ষেত্রেও মানুষগুলো নিজেদের বদলে সম্পর্কের প্রয়োজনে নতুন মানুষ হয়ে ওঠে।
বিক্রিয়ায় যেমন উপাদানগুলি সঠিক পরিমানে থাকলে বিক্রিয়া ঠিকভাবে হয় তেমনি সম্পর্কে দুজনের কনট্রিবিউশন সমানভাবে থাকলে সম্পর্কটা টিকে থাকে অনেক দিন।
বিক্রিয়ায় যেমন প্রভাবক এর উপস্থিতিতে বিক্রিয়ার গতি কমে বা বাড়ে তেমনি সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তৃতীয় ব্যাক্তির উপস্থিতি সম্পর্কের গতি বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেয়।
বিক্রিয়ায় যেমন উদ্ভট সব নাম আছে তেমনি ভালবাসার সম্পর্কেও ভালবাসার মানুষটার জন্য আদুরে কিছূ নাম থাকে।
আবার ঠিকভাবে বিক্রিয়ার উপাদান না থাকলে যেমন বিক্রিয়া হয়না তেমনি ভুল মানুষের সাথে ভুল সম্পর্কেও জীবনটা শেষ হয়ে যায়।
এভাবেই বইয়ের বিদঘুটে জটিল কেমিস্ট্রি ই এখন আমাদের জীবনের অংশ।
কেমিস্ট্রি ই একমাত্র বিষয় যা কে শুধু বইয়ের ভাষায় নয় জীবনের ভাষায় প্রকাশ করা যায়।
তাই বইয়ের কেমিস্ট্রি ভাল না লাগলেও জীবনের কেমিস্ট্রি টা ভাল লাগাতেই হবে তা না হলে যে জীবনের বিক্রিয়ার গতি মন্থর হয়ে যাবে।।।।।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫১