কোন একটি বিষয় নিয়ে আমরা দু’জন দু’রকম চিন্তা করতেই পারি অথবা কোন একটি বিষয়ে আমার দ্বিমত পোষণ করতেই পারি বরং এই বৈপরিত্য সম্পর্ক কিন্তু বিরোধ নয় বৈচিত্র।
যদি কোন বিরোধ হয়েও থাকে সেটা কি সমঝোতাযোগ্য নয়?
তবে, আপনি যে উত্তরই দেন না কেন, আমি বলবো মানুষে মানুষে এই সমঝোতা অবশ্যই থাকা উচিৎ! আপনি হয়তো আপনার বিশ্বাসের কারণে বলবেন, সৃষ্টিকর্তা আপনাকেই সঠিক ধর্মে পাঠিয়েছে, অ্ন্য ধর্মাবলম্বীগণ বিভ্রান্তির মধ্যে আছে। সেটা আপনি সত্য মনে করুন বা মিথ্যা মনে করুন তাতে আমার কোন আপত্তি নেই বা সমস্যা নেই। তবে আমি বলবো সৃষ্টিকর্তা এতটাই মহান, এতটাই মহান যে, মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব লাগে এইরকম কোন বিভাজন তিনি তৈরী করেননি বা করতে পারেন না।
তার প্রমাণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ইউনিভার্স এতটাই বড় যে, এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আলো পৌঁছাতে ৯ হাজার ৩০০ শ কোটি বছর লাগে। এই রকম অসীম এরিয়ার মধ্যে সৃষ্ট গ্রহ, নক্ষত্রের মাঝে এমন কোন অসংলগ্নতা নেই যার দরুণ এই ইউনিভার্স দ্বন্দ্বে জড়াতে পারে।
সুতরাং মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব তৈরী হতে পারে বা কোন বিভাজন তৈরী হতে পারে এইরকম কোন নিয়ম স্রষ্টা সৃষ্টি করেছে জ্ঞানত তা আমি মনে করিনা বরং সমস্ত বিভাজনই মানুষের তৈরী। মানুষ প্রকৃতি বিরুদ্ধ আচরণ করে কিছু নিয়ম তৈরী করেছে যার কারণে মানুষে মানুষে বৈরীমূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে যা সহাস্রাব্দের পর সহাস্রাব্দ ধরে মানুষে মানুষে সেই বৈরিতা চলছে এবং চলতে থাকবে।
আমার এই কথাগুলোর সাথে আপনার একমত হওয়ার বিষয়টি আবশ্যক নয়, তবে আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা/স্নেহ বা আমার প্রতি আপনার স্নেহ/ভালবাসা থাকাটা আবশ্যক। আর সেই পারস্পারিক শ্রদ্ধা বা ভালবাসাই পৃথিবীকে আরও সুন্দর ও সুখময় করে গড়ে তুলতে পারে। কোন বিষয়ে সকলের অভিন্ন মত সুন্দর ও সুখময়তার জন্য আবশ্যক কোন বিষয় নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৪