আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপর সাংঘাতিক বিরক্ত। এটি একটি অস্বাস্থ্যকর প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর হয়েছে। এখন সময় এসেছে বিশ্ব সংস্থার জিনোম সিকোয়েন্সিংক করার। কেন তারা এ্ররকম আচরণ করছে। বিশেষত করোনা নিয়ে অন্যরা যা বলবেন উনারা তার উল্টো বিবৃতি দেবেনই যদি না সেই ব্যক্তি অচেনা রূপের চীনা মানুষ হয়ে থাকেন। এখনও পর্যন্ত করোনা নিয়ে এই বিশ্ব অ-স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু বিবৃতি দেওয়া ছাড়া আর কোন কাজ করেছে বলে আমার জানা নেই। মাদাগাস্কারের ভেষজ ঔষধ নিয়ে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষায় ছাড়াই উনারা বাতিল ঘোষণা করলেন। এখানে উল্লেখ করা ভালো যে, মাদাগাস্কারে আজ (02-06-2020) পর্যন্ত করোনার কারনে মাত্র 6 জন মারা গেছে। বাংলাদেশে লেবু ও মসলা সহ গরম পানির লোকাল চিকিৎসার কথা আমরা জানি, দেশের স্বাস্থ্য সংস্থাও এটিকে সমর্থন দিচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করছে এতে কাজও হচ্ছে। আমার ধারনা বিশ্ব অ-স্বাস্থ্য সংস্থা এই ঘটনাটি জানেনা, জানলে আমাদের এই দেশীয় চিকিৎসার বিরুদ্ধেও উনারা একটি বিবৃতি দিয়ে বসতেন।
মানলাম উনারা যা বলছেন তা হয়তো বা সত্যিই কিন্তু সাথে এটাও বড় সত্যি যে, বিশ্বাস মানুষের রোগ সারাতে দারুন ভূমিকা রাখতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ‘ইতালির এক চিকিৎসক সম্প্রতি দাবি করেন, করোনা আগের মতো আর শক্তিশালী নেই।’ এটি যদি কোন কোরনা রোগী বিশ্বাস করেন তাহলে তিনি করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রচুর সাহস পাবেন যা তার করোনা মুক্ত হতে অনেক সহযোগিতা করবে।
উনারা হয় নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি বের করবেন না হয় সাধারণ মানুষে সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি যেটা ক্ষতি না করে উপকার করলেও করতে পারে এইরকম চিকিৎসা পদ্ধতির বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করবেন। আর যদি সেটা না করেন তাহলে যারা তাদের অর্থায়ন করে থাকে তাদেরও উচিৎ হবে ডলার না দিয়ে ডলার দেওয়া হবে এই মর্মে বিবৃতি দেওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৫