কালেকশন পোস্ট:-
মুক্তিযুদ্ধ থেকে প্রশ্ন থাকেনা এমন পরীক্ষা নাই বললেই চলে তাই জেনে নেওয়া যাক মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পেছনের কিছু আন্দোলন, সংগ্রাম ও প্রস্তাব
,
আমাদের স্মৃতিসৌধের ৭টি ফলক। এই পোস্ট সাজানো হয়েছে সেই ৭টি ফলকের আলোকে।
(১) ভাষা আন্দোলন
(২) ১৯৫৪ সালের নির্বাচন
(৩) ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন
(৪) শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬২
(৫) ৬ দফা, ১৯৬৬
(৬) গণ অভ্যুত্থান, ১৯৬৯
(৭) মুক্তিযুদ্ধ
লাহোর প্রস্তাবঃ
----------------
উত্থাপনঃ ২৩ মার্চ, ১৯৪০.
উত্থাপকঃ শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক।
স্থানঃ লাহোরে মুসলিম লীগের বৈঠক।
দফাঃ ৪ টি।
১. ভৌগলিক দিক থেকে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন,
২. মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন,
৩. রাজ্যগুলো স্বায়ত্বশাসিত হবে,
৪. সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার বিধান।
দেশ বিভাগঃ
-------------
পাকিস্তান স্বাধীনতা পায়ঃ ১৪ আগষ্ট, ১৯৪৭
গভর্ণর জেনারেলঃ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
ভারত স্বাধীনতা পায়ঃ ১৫ আগষ্ট, ১৯৪৭
গভর্ণর জেনারেলঃ লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন।
ভাষা আন্দোলনঃ
-----------------
দেশ ভাগের সময় বাংলা ভাষাভাষীর শতকরা হারঃ
বাংলা- ৫৪.৬%, পাঞ্জাবী-২৭.১%, পশতু- ৬.১%, উর্দূ-৬%, সিন্ধী- ৪.৮%, ইংরেজী-১.৪%।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭: তমুদ্দুন মজলিশ গঠন করা হয়। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এটাই সর্বপ্রথম সংগঠন।
সদস্যঃ ৩;
সংগঠকঃ অধ্যাপক আবুল কাশেম (ঢাঃ বিঃ)।
বাকী সদস্যঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শামসুল আলম।
১৯৪৭ সালে করাচীতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্মেলনে উর্দূকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাবনার প্রতিবাদে জানুয়ারী, ১৯৪৮; ঢাকায় গঠিত হয় ’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’। এ পরিষদের দাবী ছিলঃ
১. বাংলা হবে শিক্ষার বাহন ও অফিস আদালতের মাধ্যম,
২. পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা ও উর্দূ
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮: পাকিস্তান প্রথম গণ-পরিষদের প্রথম অধিবেশনে ’ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবী প্রথম উত্থাপন করেন। পাকিস্তানের প্রথম প্রধান মন্ত্রী লিয়াকত আলী খান এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮: ধর্মঘট পালিত হয় পূর্ব বাংলায় এবং অব্যহত থাকে ১৫ মার্চ, ১৯৪৮ পর্যন্ত। পূর্ব বাংলার তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন দাবি সমর্থনের আশ্বাস দেন।
২১ মার্চ, ১৯৪৮: রেসকোর্স ময়দানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।
২৪ মার্চ, ১৯৪৮: কার্জন হলে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’। এর ফলে আন্দোলন আবার শুরু হয়।
১৯৫০ সালে লিয়াকত আলী খানও একই ঘোষণা দেন।
২৬ জানুয়ারী, ১৯৫২: পাকিস্তানের নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা দেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।
৩০ জানুয়ারী, ১৯৫২: ঢাকায় ধর্মঘট পালিত হয় এবং এদিনই ’সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠন করা হয়। কমিটির বৈঠকে ২১ ফেব্রুয়ারীকে ভাষাদিবস ঘোষণা করে, ২১ ফেব্রুয়ারী , ১৯৫২; হরতাল আহবান করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২: পূর্ব বাংলার গভর্ণর নূরুল আমিন, ২১ ফেব্রুয়ারীর কর্মসূচী নষ্ট করার জন্য ওইদিন ১৪৪ ধারা জারী করে। ভাষা আন্দোলনকারীরা ১৪৪ ধারা অমান্য করে মিছিল শুরু করে। তখন মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, বরকত শফিক সহ অনেকে শহীদ হন এবং প্রচুর আন্দোলনকারী আহত হন। আন্দোলন অব্যহত থাকে। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে যায়।
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২: প্রথম শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের পিতা-মৌলভী মাহবুবুর রহমান।
যুক্তফ্রন্ট গঠনঃ
---------------------
৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৩।
প্রধান সংগঠকঃ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
১৪ অক্টোবর, ১৯৫৪: ১৯৪৮ সালে গঠিত গণ পরিষদ বাতিল হয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনঃ
-----------------------
যুক্তফ্রন্ট গঠিত হবার পর ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে- যার প্রথম দফা ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা।
নির্বাচনের আসন সংখ্যাঃ ৩০৯ (স্পিকার সহ ৩১০)। মহিলা আসন ৯ টি।
মুসলিম আসনঃ ২৩৭
যুক্তফ্রন্ট জয়ী হয়ঃ ২২৩ টি আসনে।
৩ এপ্রিল, ১৯৫৪: যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করে। পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হন শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক।
৩০ মে, ১৯৫৪: কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট সরকার বাতিল করে।
২৯ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫৬: পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র (দ্বিতীয় গণ পরিষদ কর্তৃক) গৃহীত হয়।
২৩ মার্চ, ১৯৫৬:
১. পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র কার্যকর হয়,
২. পূর্ব বাংলার নাম রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান,
৩. বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় শাসনতন্ত্রের ২১৪ নং অনুচ্ছেদে।
১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনঃ
-----------------------------------------------------
৭ অক্টোবর, ১৯৫৮:
১. ইস্কান্দর মির্জা পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামরিক শাসন জারী করেন,
২. ২৩ মার্চ, ১৯৫৬ সালে গৃহীত শাসনতন্ত্র তিনি বাতিল করেন।
২৭ অক্টোবর, ১৯৫৮: ইস্কান্দর মির্জার স্থলে আইউব খান দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬২:
-------------------------
১৯৬২ সালে ’হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন’ শিক্ষাকে এলিট শ্রেণীর উপযুক্ত বলে শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি করে দেয়। কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে শিক্ষাকে লাভজনক করার জন্য অবৈতনিক শিক্ষা অবাস্তব ঘোষণা করা হয়। যার ফলে, শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার করে তোলার জন্য আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে।
৩০ জানুয়ারী, ১৯৬২: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে করাচীতে গ্রেফতার করা হয়। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট জারী হয়। গ্রেফতার হন, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, শেখ মুজিবর রহমান এবং আবুল মনসুর আহমেদ।
১ মার্চ, ১৯৬২: পাকিস্তানের নতুন শাসনতন্ত্র জারী।
১৯ আগষ্ট, ১৯৬২: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে মুক্তি দেয়া হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২: ’হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বাতিলের দাবীতে মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়, এবং তাতে কয়েকজন শহীদ হন। ১৭ সেপ্টেম্বরকে শিক্ষা দিবস ঘোষণা করা হয়।
৭ অক্টোবর, ১৯৬২: সমগ্র পাকিস্তানে প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়।
৬ দফা, ১৯৬৬:
------------------
উত্থাপকঃ শেখ মুজিবর রহমান
জাতীয় ’মুক্তির সনদ’ খ্যাত ৬ দফা রচিত হয় লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে।
দফা সমূহঃ
১. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফেডারেশন সরকার গঠন, সংবিধান প্রণয়ন ও স্বায়ত্বশাসন,
২. প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের, বাকী ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের,
৩. দুই প্রদেশের জন্য আলাদা মুদ্রা এবং আলাদা স্টেট ব্যাংক স্থাপন,
৪. কর ও শুল্ক নির্ধারণ ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের,
৫. বৈদেশিক মুদ্রা তত্ত্বাবধান, নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে,
৬. আঞ্চলিক প্রতি্রক্ষা বাহিনী গঠন।
৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬: কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ৬ দফা উত্থাপন
১৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬: বিরোধী দলীয় সম্মেলনে ৬ দফা উত্থাপন।
২৩ মার্চ, ১৯৬৬: লাহোরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৬ দফা উত্থাপন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৮:
-----------------------------------
৩ জানুয়ারী, ১৯৬৮: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের।
১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৮: শেখ মুজিব গ্রেফতার।
মামলার অভিযোগঃ আগরতলায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রয়োজনে ভারতের সহযোগিতার পরিকল্পণা করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহীতার কারণ দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়।
আগরতলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনঃ শেখ মুজিবর রহমান, আলী রেজা, ভারতের ইন্টার ইন্টেলিজেন্স বিভাগের ব্রিগেডিয়ার মেনন।
মামলার আসামীঃ ৩৫ জন।
ষড়যন্ত্র ফাঁস করেনঃ আমির হোসেন
মামলার বিশেষ আদালতের বিচারপতিঃ এস. এ. রহমান
শেখ মুজিবের পরে আইনজীবিঃ শহীদ ময়েজ উদ্দিন।
গণ অভ্যুত্থান, ১৯৬৯:
-----------------------
৫ জানুয়ারী, ১৯৬৯: ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন।
২১ দফার সাথে ৬ দফা মিলিয়ে ১১ দফা এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল করে শেখ মুজিব সহ ৩৫ জন আসামীর মুক্তির দাবীতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর নেতৃত্বে গণ অভ্যুত্থান শুরু হয়।
৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন।
১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: চূড়ান্ত বিক্ষোভ শুরু।
২০ জানুয়ারী, ১৯৬৯:
১. এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারী,
২. বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণ,
৩. গুলিতে আসাদ শহীদ হন।
২৪ জানুয়ারী, ১৯৬৯: নবকুমার ইনস্টিউটের দশম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর শহীদ হন।
১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হক-কে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রক্টর শামসুজ্জোহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয়া হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন তোফায়েল আহমেদ।
২০ মার্চ, ১৯৬৯: গভর্ণর মোনায়েম খানের অপসারণ
২৫ মার্চ, ১৯৬৯: আইয়ুব খানের পদত্যাগ ও জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করেন ’বাংলাদেশ’।
১৯৭০ সালের নির্বাচনঃ
-----------------------
৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০: জাতীয় পরিষদের নির্বাচন।
১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০: প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন।
নির্বাচনের বিবৃতিঃ
জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ১৬৭ টি আসন।
প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ৩১৩ টি আসনের (১৩ টি মহিলা আসন) মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ২৮৮ টি আসন।
১৯৭১ সালঃ
--------------
জানুয়ারি
• ০৪: আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএবৃন্দ রেসকোর্স ময়দানে জনতার সামনে শপথ গ্রহণ করেন। এসময় শেখ মুজিবুর রহমান বলেন যে ৬-দফা ও ১১-দফা প্রশ্নে কোন আপোস হবেনা তবে পশ্চিম পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দের সাহায্য চাওয়া হবে।
• ১৫: ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস পালনের জন্য পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ঐদিন পূর্ণ দিবস হরতাল পালনের আহবান করে।
• ৩১: আওয়ামী লীগের সাথে ৩ দিনের আলোচনা শেষে জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় পাকিস্তান টাইম্স-কে দেয় এক বিবৃতিতে বলেন যে দু'দলের আলোচনা সাপেক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য সংবিধান প্রণয়ন করা হবে।
ফেব্রুয়ারি
• ০৫: লাহোরে ভারতীয় বিমান অপহরণ এবং ধ্বংসের প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিব বিবৃতি দেন যে অচিরেই এর সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
• ০৯: জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানে বিলম্ব হওয়ায় শেখ মুজিব বলেন যে, এটি নিজেদের সরকার থেকে তার জনগণকে বঞ্চিত করার আরেকটি ষড়যন্ত্র।
• ১৪: রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।
• ১৫: ভুট্টো বলেন যে, তার দল পাকিস্তান পিপ্লস পার্টি জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করবেনা। তবে তিনি একটি শর্তারোপ করেন। শেখ মুজিব এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রবিরোধী আখ্যা দেন।
• ১৬: পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি নুরুল আমিন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সকলকে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
• ২১: বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন এবং বাংলা ছাত্রলীগ ভাষা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে বিশেষ বিবৃতি দেয়। বাংলা ছাত্রলীগ বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন তার ১৪-দফা দাবী পেশ করে।
• ২৫: তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনা করে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি একটি বিশেষ প্রস্তাব করে।
• ২৮: শেখ মুজিব ভুট্টোকে অধিবেশনে যোগদানের আহ্বান জানান এবং বলেন যে ৬-দফা কারো উপর চাপিয়ে দেয়া হবেনা।
মার্চ
• ০১: রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। সমগ্র বাংলাদেশে এই ঘোষণার বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রচারিত হয়।
• ০২: পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র ধর্মঘট পালিত হয় এবং শেখ মুজিবের নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
• ০৬: লেঃ জেঃ টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর নিয়োগ করা হয়।
• ০৭:
o ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যা ৭ই মার্চের ভাষণ নামে খ্যাত।
o কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি গেরিলা যুদ্ধের আহ্বান করে।
• ০৮:
o শেখ মুজিবুর রহমান ১০-দফা দাবী পেশ করেন।
o গেরিলা যুদ্ধের নিয়ম সংক্রান্ত একটি বেনামী লিফলেট প্রচারিত হয়।
o পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৪-দফা দাবী পেশ করা হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
• ০৯:
o মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক জনসভায় বলেন, "পূর্ব পাকিস্তানের আজাদী রক্ষা ও মুক্তি সংগ্রামে ঝাপাইয়া পড়ুন"। তিনি তার ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নিয়ে শেখ মুজিবের সাথে আন্দোলন করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
o টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
• ১৪: ভুট্টো দুই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
• ১৭: মুজিব-ইয়াহিয়া দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে শেখ মুজিব বলেন যে, আন্দোলন চলবে।
• ১৯: জয়দেবপুরের রাজবাড়িতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়নকে নীরস্ত্র করার পশ্চিম পাকিস্তানী প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেয় বাঙালি সৈন্যরা।
• ২০: উপদেষ্টাসহ মুজিব-ইয়াহিয়া চতুর্থ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
• ২১: ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনার উদ্দেশ্যে ভুট্টো ঢাকায় আসেন।
• ২২: ইয়াহিয় ২৫ মার্চ আহূত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।
• ২৩: পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
• ২৫: পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকারে সমগ্র ঘুমন্ত ও নীরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ব্যাপক গণহত্যা চালায় যা অপারেশন সার্চলাইট হিসেবে পরিচিত।
• ২৬: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।
• ২৭: কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
• ৩০: পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের গণহত্যা রোধে এগিয়ে আসার জন্য জাতিসংঘ এ বৃহৎ শক্তিবর্গের প্রতি মেজর জিয়াউর রহমান আহ্বান জানান।
• ৩১: কুষ্টিয়া প্রতিরোধ শুরু।
এপ্রিল
• এপ্রিল ২: জিঞ্জিরা গণহত্যা.
• এপ্রিল ৬: ব্লাড টেলিগ্রাম
• এপ্রিল ১১: নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের রেডিও ভাষণ।
• এপ্রিল ১০: মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়।
• এপ্রিল ১২: এম এ জি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হন .
• এপ্রিল ১৭: অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে বৈদ্যনাথতলায় (যা এখন মুজিবনগর নামে পরিচিত) ।
• এপ্রিল ১৮: দরুইনের যুদ্ধে সিপাহী মোস্তফা কামাল ও রাঙ্গামাটি-মহালছড়ির যুদ্ধে ল্যান্স নায়েক মুন্সী আবদুর রউফ শহীদ হন।
• এপ্রিল ২৪: অনাবাসী বাংলাদেশীরা যুক্তরাজ্যের কভেন্ট্রি-তে বাংলাদেশ একশন কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
• এপ্রিল ২৮: বিশ্ববাসীর কাছে তাজউদ্দিনের অস্ত্র সাহায্য প্রার্থনা
মে
• মে ৫: গোপালপুর গণহত্যা
• মে ১৫: মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতা শুরু।
• মে ২০: খুলনায় চুকনগর গণহত্যা সংঘটিত হয়, যেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায় ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করে।
• মে ২৪: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কলকাতায় কাজ শুরু করে।
জুলাই
• জুলাই ১১-১৭: সেক্টর কমান্ডার সম্মেলন, ১৯৭১.
অগাস্ট
• অগাস্ট ১: নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনে The Concert for Bangladesh, George Harrison এবং তাঁর বন্ধুদের অংশগ্রহণে।
• অগাস্ট ১৬: অপারেশন জ্যাকপট, বাংলাদেশি নৌ-কমান্ডো অভিযানে পাকিস্তানি জাহাজ ধ্বংস।
• অগাস্ট ২০: ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান (সামরিক বিমানচালক)' একটি যুদ্ধবিমান দখল করে পাকিস্তান ত্যাগের ব্যর্থ চেষ্টা করেন।.
• অগাস্ট ৩০: ঢাকা গেরিলাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর অভিযান।.
সেপ্টেম্বর
• সেপ্টেম্বর ৫: গোয়াহাটির যুদ্ধে নূর মোহাম্মদ শেখ শহীদ হন।
• সেপ্টেম্বর ২৮: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পত্তন।
অক্টোবর
• অক্টোবর ১৩: ঢাকার গেরালা যোদ্ধারা পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আব্দুল মোনেম খানকে হত্যা করেন.
• অক্টোবর ২৮: ধলাই সীমান্তফাঁড়ির যুদ্ধ, শ্রীমঙ্গল।
• অক্টোবর ৩১ নভেম্বর ৩: ধলাইয়ের যুদ্ধ: পাকিস্তানের সীমান্ত হতে শেলিং বন্ধ করতে ত্রিপুরা হতে পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের আক্রমণ।
নভেম্বর
• নভেম্বর ৯:ছয়টি ছোট যুদ্ধ জাহাজের সমন্বয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম যুদ্ধবহর যাত্রা শুরু করে .
• নভেম্বর ১৬: আজমিরিগঞ্জ যুদ্ধ, মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে ১৮ ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধ। খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধা জগজ্জ্যোতি দাস এ যুদ্ধে শহীদ হন।
• নভেম্বর ২০ থেকে নভেম্বর ২১: গরীবপুরের যুদ্ধ: [বয়রা]]য় ভারতীয় হামলা বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে
• নভেম্বর ২১: মিত্রবাহিনী, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনী গঠিত হয়।
• নভেম্বর ২২ - ডিসেম্বর ১৩, খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ
• ডিসেম্বর ১৬: হিলি যুদ্ধ: বগুড়ায় মিত্রবাহিনীর হামলা।
ডিসেম্বর
• ডিসেম্বর ৩: ভারতের ওপর পাকিস্তানের বিমান হামলা যার ফলে ভারত পাকিস্তানের ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করে।
• ডিসেম্বর ৪ to ডিসেম্বর ৬: বসন্তরের যুদ্ধ: ভারত জয়সলমিরে পাকিস্তানের হামলা প্রতিরোধ করে।
• Dec ৫ to Dec ৬: Battle of Longewala: Indians attack and take over Pakistani territory opposite Jammu
• ডিসেম্বর ৪ Operation Trident (Indo-Pakistani War): Indian naval attack on Karachi
• ডিসেম্বর ৬: Bhutan becomes the first country to recognize Bangladesh. Swadhin Bangla Betar Kendra becomes Bangladesh Betar.
• ডিসেম্বর ৭: যশোর, সিলেট ও মৌলভী বাজার মুক্ত হয়।
• ডিসেম্বর ৮ night: অপারেশন পাইথন: করাচীতে ভারতীয় নৌবাহিনীর আক্রমণ।
• ডিসেম্বর ৯: কুষ্টিয়ার যুদ্ধ: Indian attack from West Bengal into East Pakistan.
Chandpur and Daudkandi liberated.
• ডিসেম্বর ১০: Liberation of Laksham. Two Bangladeshi ships sunk mistakenly by Indian air attack.
• ডিসেম্বর ১১: Liberation of Hilli, Mymenshingh, Kushtia and Noakhali. USS Enterprise is deployed by the USA in the Bay of Bengal to intimidate Indian Navy.
• ডিসেম্বর ১৩: Soviet Navy deploys a group of ship to counter USS Enterprise.
• ডিসেম্বর ১৪: Selective genocide of nationalist intellectuals. Liberation of Bogra.
• ডিসেম্বর ১৬: Pakistan Army surrenders to Mitro Bahini represented by Jagjit Singh Aurora of the Indian Army faction of the military coalition.
Freedom of Bangladeshi people.
• ডিসেম্বর ২২: প্রবাসী অস্থায়ী সরকারের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
সংগ্রহ আমি (দেলোয়ার হোসেন শরিফ)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭