জুম'আর পরে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে সালিশে গেলাম। বিচারপার্থী পশ্চিমপাড়ার মতিউর। তার শাক-সবজির বাগানে লইছ মড়লের গরু ডুকে শাক-সবজি নষ্ট করেছে। চেয়ারম্যান সাব মতিউররে জিগাইলো,"খাইলো ক্যামনে? বেড়া ছিলো না? "
মতিউর কইলো, "হু, ছিল। গরু ঐটা ভাইঙ্গা ডুকছে। "
সব শুইনা চেয়ারম্যান সাহেব রায় দিল গরুর দোষ নাই। দোষ হইলো বেড়ার। বেড়া শক্ত হইলে গরু ডুকতে পারতো না। কিন্তু মতিউর সেইটা মানলো না। তার দাবি, "গরুর ও তো দড়ি ছিল। দড়ি দিয়া বাইন্ধা রাখলেই তো হইতো " এইটা শুইন্যা চেয়ারম্যান সাহেব একটু থতমত খাইয়া গেল। এজন্য পেছন থেইকা আমি আগাইয়া গিয়া গলা খাকারি দিয়া সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। তারপর মতিউররে কইলাম, "মতিউর,কয়েকদিন আগে যে ওয়াজ হইছিলো ঐহানে তুমি ছিলা না? "
মতিউর কইলো, " হ আছিলাম। "
আমি কইলাম," ঐহানে ওয়াজে হুনো নাই, হুজুরে কইছিলো নারীরা হইলো তেতুলের মতো,যাদের পর্দা ছাড়া দেখলে মাইনষের জিহ্বায় পানি আইবোই। এজন্য নারী গো পর্দায় থাকতে হইবো, না থাকলে অঘটন ঘইটা যাইবো। এহন মনে করো,খোলা তেতুল দেইখ্যা যদি হুজুরের লালা ঝরে,হুজুর উল্টাপাল্টা কিছু কইরালাই এর জন্যে প্রথম দায়ী হইলো তেতুল মানে নারী। তারা বাড়িত্তে না বাইরালে তো হুজুররে লালা ঝরতো না আর হুজুর উল্টাপাল্টা কিছু করতো না। এই কথাডা তোমার শাক-সবজির বাগানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তোমার কচি শাক-সবজি গুলা যদি ঠিকমতো বেড়া দিয়া রাখতা তাইলে কী গরু বাগানে ডুকতে পারতো? শাক-সবজি নষ্ট করতে পারতো?
মতিউর " না "
আমি তহন কইলাম,"এহনতো বুঝবার পারছো যে দোষটা তোমার বেড়ার। দেহ না অনলাইনে ধর্ষনের ঘটবনার পরে মডারেট মুসলানরা বয়ান দেয়, '' যতদিন নারীরা পর্দা না মানবো ততদিন ধর্ষণ হইবোই " তেমনি ভাবে আমি কইতাছি,"যতদিন বেড়া শক্তিশালী না করবা ততদিন গরু-ছাগলে বাগান নষ্ট করবোই। গরুর গলায় দড়ি নাই কেন বা পুরুষরা বেপর্দা নারী দেখলে নিজেদের কন্ট্রোল না করে ধর্ষণ করতে যায় কেন? এই কথা তুমি জিগাইতে পারবে না। " বিচারটা শেষ কইরা চেয়ারম্যান সাবের লগে লইছ মোড়লের বাড়িতে রওনা দিলাম। বেচারা নাকি আমাদের জন্য বিশাল আয়োজন করছে,বার বার ফোন দিতাছে
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯