বয়স বাড়লেই কী, একাকি নির্জন ছুঁয়ে আছি
আমি ভাবতে পারি, ভাবনার জলে কাটতে পারি সাঁতার,
চোখ বন্ধ করি, শুনতে পাই ফিসফিসানি আওয়াজ
নড়ে চড়ে উঠি,
চলে যাই অতীতে।
যেখানে দাদি ছিলেন, মেয়েবেলার গল্প ছিল,
স্কুল পালানো মেয়ের দাদীর হাতে খাবার ছিল,
ছিল মায়ের বকুনি, বাবার শাসন ছিল না,
বাবা তো ছিলেন বীর সেনা একজন।
আমি আবার স্থির হই, শুনতে পাই আরও কথা
চাচীদের গল্প, চাচাদের জমি নিয়ে বিরোধ
যা এখনো চাচাতো ভাইদের বুকে আছে গাঁথা,
শুনতে পাই সম্পদ নিয়ে টানা হেঁচড়ার গল্প।
বন্ধ চোখে দেখতে পাই বাবাকে ঠকিয়ে চাচারা
এক বিন্দু জমি নিয়ে যেতে পারেন নি গোরে
জায়গা সে জায়গাতেই আছে আটকে এখনো,
আচ্ছা গোরের জায়গা কয় কাটা শুনি!
একেকজনের ভাগে কয় শতাংশ জমি পড়েছে?
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চাচাদের ভুলি, চাচীদের মনে আনি
কী নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, যেন এখনো ছুঁয়ে আছি
বড় চাচীর সেই মধুর ডাক, আয় ছবি আয়, কাছে আয়
ছোট চাচীর সেই আহ্লাদি নিমন্ত্রণ, ছবি বও
চা খাও, চটা অথবা চিতল পিঠার সেই মুহূর্ত আহা!
নির্জনে বসে স্মৃতির ক্ষেতে বাই হাল
সেখানে ফলাই অতীতের সুখ ফসল,
ভাবি স্বজনদের কথা, তাদের ভালোবাসার সীমা,
কত সুখ, কত স্বপ্ন কেবল পড়ে থাকে স্মৃতির কবরে।
বিত্ত বৈভব নিয়ে কেউ অনন্তকালের যাত্রায় রাখতে পারে না পা
তবুও মানুষ এক তিল মাটি আঁকড়ে ধরতে
আপনদের ঠেলে দেয় দূরে, স্মৃতিতে তারা ভিলেন
যারা স্বার্থ ঠেলে মানুষ ভালোবাসে,
তারা নায়ক, মহানায়ক
একেকজন থাকেন সুখ হয়ে স্মৃতির পাতায় পাতায়।
©কাজী ফাতেমা ছবি
১৭-০৩-২০২৪
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৫