©কাজী ফাতেমা ছবি
বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে যাওয়া মন নিয়ে
একাকী পার করো সময়.....আল্লাহকে স্মরণ করার পর
তুমি আমায় স্মরণ করো তখন।
মন ভালো করে দেয়ার যাদুমন্ত্র শিখাবো তোমায়,
অল্প সময় নিয়ে এসো, পেঁচামুখো মন নিয়ে এসো;
তোমাকে দেখিয়ে দেবো কী করে মুগ্ধতায় বাঁচতে হয়
কী করে সকল বিষাদ দূরে ঠেলে একমুঠো স্বস্তি নিয়ে
আগাতে হয় পথ। তোমাকে বুঝিয়ে দেবো,
দু:খগুলো স্বাভাবিক, সে আসবেই.....
আর তাকে ঠেক্কা দেয়ার ক্ষমতা , সে তোমার আছে নিশ্চয়ই ।
দু:খ বিষাদ বিষণ্ণতা না আসাটা অস্বাভাবিক বরং;
যদিও প্রতিটি কর্মের ফল........ ভালো অথবা মন্দ।
যে কষ্টে তুমি নিথর দেহে বসে আছো বিমর্ষ মুখে
মন ঘুরিয়ে নাও অন্য কোথাও, অন্য কাজে
এসব কষ্ট নিত্য নৈমিত্তিক, সে আসবেই, তাতে কী!
তুমি চুপসে যাবে? নাকি উঠে দাঁড়াবে সোজা!
মনটারে ঠেলে ঠুলে পাঠিয়ে দাও প্রকৃতির কাছে,
অথবা দূর্বাঘাসে বসো খোলা আকাশের নিচে,
কিংবা কফির পেয়ালায় ঠোঁট রেখে ভাবো কবিতার ছন্দ।
তুমি কাব্যের খাতা খুলতে পারে, লিখতে পারো কবিতা
অথবা দিনলিপি, দুঃখগুলো সুখগুলো
এবার ভাগ করো কতগুলো সুখ আর কতগুলো দু:খ
তুমি হিসাব করে সুখই বেশী পাবে খুঁজে
তবে আর বিষাদে মন রেখে লাভ কী
তুমি সুখি হও প্রথমে নিজকে নিয়ে, নিজেকে ভালো রাখার উদ্দেশ্যে।
(০৪/০৫/২০১৯)