এই বসন্তে
আমি চাই তুমি পাহাড় দেখ
লালমাটি রং ছুয়ে তৃষ্ণা বাড়া'ও
নীলমনিও মাধবী থাক
তুমি মহুয়া'তে মন ভেজা'ও
রাতজাগা লালচোখে
অস্তাচলের রক্তিমাভ দেখবো আমি
তুমি শুধু ছুঁয়ে এসো শাল বন মেঘ।
সমুদ্র !!
সমুদ্র দেখেছ বুঝি !!!
ও মা তাও নয় !!!!
থাক তবে এ বেলা
বর্ষার মিলনে সাগরের সুখ দেখ তুমি
কোজাগর'এ তার নুয়ে পরা নম্রতা;
এ পূর্ণিমা'তে পাহাড়ে ই যাও ।
ঝড়া পাতা গান,রুদ্র তাপ আর নিশ্চুপ নিসর্গ
যত’টা তোমাকে মানায় আমি হলফ করে বলতে পারি-
পৃথিবীতে আর কোন কবি তত’টা
মাননসই ছিল না অরন্যে।
ঘুঘু দহ'এ জলের আয়নায় যে জলছবি ছাপ
সেখানে আদিমতম সৌন্দর্যে-
প্রাগঐতিহাসিক কাল থেকে
কেবল তোমার'ই ছায়া ভেসে আছে.
পারিজাত ফুল পরযায়ী পাখি’র অভিসার দেখ তুমি
অযাচিত কালো বাদলের তান্ডব কিভাবে
অরন্যে’র নির্জনতা ভেঙে খান খান করে-
সেই শোক বিলাসীতায় মেতে উঠ বেশ।
এই ফাগুনে পূর্ণিমা ছুঁয়ে তুমি কেবল-
বন পাহাড়ে’ অরণ্য বিবাগী আরন্যক হও
আমি-
অরন্য ভালোবাসি বলে।
©Manira Sultana
আপার লেখা (আপনার মত সুন্দর লিখতে পারি নাই সরি)
--------------------------------------------
©কাজী ফাতেমা ছবি
রঙ বসন্ত হেঁটে যায় তার সীমান্তে ধীরে
তুমি চাও যদি এই বসন্তে আমি পাহাড় দেখি!
তবে তাই হোক!
নীলমণি মাধবী'রা নাই-বা থাকলো
শুধু তুমি থাকো পাশে-আমি মন ভেজাই তোমাতে।
অস্তাচলের পথে হেঁটে চলো আগাই পথ
রক্ত আভায় সঁপে দেই মন
তুমি আমায় ছুঁয়ে থাকো-আমরা আঁধারের পথেও হাঁটবো।
সমুদ্দুর দেখি নি-দেখেছি তোমার চোখের গভীরতা
নীলমণি সেই চোখ আয়নায় নিত্য দেখি আমার ছবি
সমুদ্দুর দেখিনি বলে তাই আর আমার আক্ষেপ নেই
এবেলা আমায় সমুদ্দুর দেখার সুযোগ করে দাও
তোমার চোখে বর্ষা নামুক-আমি ভাসতে চাই
কোজাগর রূপার আলোয় এসো-জোনাক হই।
দ্বাদশীর পূর্ণিমাতে পাহাড়েই যাবো-যদি তুমি চাও
ঝরা পাতার মর্মর সুরে-পথ আগাবো
মধ্যরাতের পূর্নিমা রোদ্দুর আমাদের মন ছুঁয়ে দিক
নিশ্চুপ, নিস্তব্ধ প্রহরে আমাদের এ মিলন বেমানান হবার নয়
তোমাকে ভালবেসে আমি কবে হতে চাই।
পাহাড়ী ঝর্নার গভীর খাতে চাঁদ মুখ দেখে জল আয়না
সুন্দরের অন্য নাম-আর তুমি আমি মুখ দেখি চাঁদ মাঝে রেখে
আলোয় আলোকিত মন নিয়ে-আমরা ভালবাসি মুগ্ধতায়
তোমার ছায়া তবু এসে পড়ে চোখের আয়নায়।
এই ফাগুনে তুমি চেয়েছো-আমি ছুঁয়ে থাকি তোমায়
তোমার নিমন্তন্ন ফেলতে না পারার দু:সাহস কখনো হয় না
আমি আরণ্যকই হবো-তুমি অরণ্য ভালবাসো বলে
ভালবাসি অরুনিমা-ভালবাসি তোমায়।
(আমার লেখাটি মনিরা আপা আবৃত্তি করেছেন- আসলে কি বলবো-এ আনন্দের ভাষা নেই। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি কেউ আমার পঁচা লেখা আবৃত্তি করবে। আপা করেছেন অত্যন্ত আন্তরিকভাবে যদিও আপা তখন সর্দি কাশিতে তখন আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু এই অসুস্থ শরীর নিয়ে এত সুন্দর আবৃত্তি, না শুনলে বিশ্বাস করবেন না। আমি আপাকে অনুরোধ করবো-আবৃত্তির ইউটিউব লিংক এখানে পোস্ট করতে। আমি পোস্টের সাথে এড করে দিবো। ফেবুর ম্যাসেন্জারে তেমন সাউন্ড আসে নি আপা-আপনাকে আবার ডিস্টার্ব করার জন্য সরি
কবিতা ঠিক আছে কবির নাম পাল্টে গেছে-আফসুস -চোরের ঘরের চোর চানাচুর
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪