বন্ধু চলো-
সকল ব্যস্ততার বুকে পা মাড়িয়ে গিয়ে বসি এমন স্বচ্ছ জলের দীঘিতে
যেথায় আছে গাছগাছালি আর নারিকেলের চিরল পাতার ছায়া
ব্যস্ত তো সে থাকতেই হয় জীবনের তাগিদে। চলো নিয়ে চলো আমায়,
দীঘির ঘাটের জলের আয়নায়-দেখবো তোমার ছবি
তোমায় নিয়ে কাব্য লিখে-হয়ে যাবো কবি,
নিথর জলের পাড়ে বসে-একটুখানি মৌজ মস্তি
চলো বন্ধু ক্লান্তি ঝেড়ে-কুঁড়াই একটু স্বস্তি।
তুমি তো কেবল ক্যালকুলেটরেই চোখ রাখলে। এমন পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তো মুগ্ধতা এনে দেয় না তোমার চোখে। আমি কেবল ভাবি-এ তুমি কেমন তুমি-চোখের সামনে ক্যালকুলেটর রাখো-এ তুমি কেমন তুমি কেবল টাকা পয়সার স্বপ্ন আঁকো! খুব ইচ্ছে হয় তোমাকে এক চিলতে মুগ্ধতা এনে দেই। তুমি আমার প্রেমে নয়-একবার প্রকৃতির প্রেমে পড়ো। যেমনটি পড়েছি আমি। আমায় কেবল টানে প্রকৃতি তার আলিঙ্গনে, কি সকাল কি দুপুর কি বিকেল। ইচ্ছে ছুটে যাই-অথচ তুমি হলো আমার ঝোঁপঝাঁড় পথ-যে পথে কেবল কাঁটা-কাঁটা পথে হাঁটা আমার আর হয়ে উঠে না-আমি খুব দুঃখী মানুষ গো-আবেগই বুঝলে না.......
অনেকদিন ছবি পোস্ট দেই না। পিসি নষ্ট হয়ে যাওয়াতে ফটোশপও নাই। আর এডমিনিস্ট্রেটর বন্ধ থাকাতে ইনস্টলও করতে পারি না-অবশেষে কোনমনে ফটোশপ ইনস্টল করলাম কিন্তু মেয়াদ শেষ sad । যাই হোক ক্যানন ৬০০ ডি তে তোলা কিছু এলোমেলো ছবি নিয়ে আসলাম । আপনাদের ভাল লাগলে আমার লাগবে বেশ ভালো। আমি তো আর ফটোগ্রাফার না যতটুকু পারছি ততটুকুই তুলছি । এখনো ক্যামেরা অপশনগুলো বুঝে উঠতে পারছি না।
২। সেই মেয়েবেলায় কাঁঠালের মুচি ভর্তা খাওয়ার কথা কি তোমরা ভুলে গেলে। আহা তেতুলে ছটকে শীল পাটায় ছেঁচে-কাঁচা লংকা মিশিয়ে -দলবেঁধে দূর্বাঘাসে বসে কত খেয়েছি চেটেপুটে। এখানে কাঁঠাল গাছ নেই, নেই কচি কাঁঠালের ভর্তার স্বাদ-ভুলতেই বসেছি-এক সময় সবাই মিলে হই হুল্লোড়ে খেয়ে নিতাম গো-ঘ্রাসে ঝালে ঝাঁঝালো মুচি ভর্তা। আহা স্মৃতি রোমন্থনে জিভে পানি এসে যায়। হয়তো সেই স্বাদ মরে গেছে-যন্ত্র শহরে এসে ভেজালের বুকে মাথা রেখে নিশ্চিন্ত বাঁচতে চাওয়া নেহায়েত বোকামি হয়ে গেলো। হাজার রোগে এসে ধরল ঝেঁকে। হায়রে কাঁঠালের মুচি ভর্তা-তুই চলে গেলি অবশেষে অতীত ডহরে। তবুও এবার তোকে জিভে ছোঁয়াবো-আষাঢ় কেটে যাক-ভাদ্রে না হয় ছুটে যাবো আমার ছোট সোনার গায়।
৩। সবুজ ডাব তো অনেক খাওয়ালে-এবার না হয় ভালবাসার রঙ মাখিয়ে এমন রঙবাহারী ডাব খাওয়াতে পারো। তৃষ্ণায় আকণ্ঠ ডুবে আছি। শ্রাবণের একটি দুপুর-বৃষ্টি নেই আকাশে আর এদিকে চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত আমি পথ চলি খুঁড়িয়ে। এই জানো-কি ডাক্তার তরল খেতে বলেছে অথচ তুমি ভাবছো না এখনো আমার কথা। আনছো না হাতে করে স্যুপ কিংবা আইসক্রিম থুক্কু আইসক্রিম তো আর তরল না-কফি খাওয়াতে পারতে-সে তো তরলই তাই না? কোনো এক রেস্টুরেন্টে চলো বসে চাইনিজ খাই থুক্কু চাইনিজতো আর তরল না তবে তুমি আমায় লেবুজলের শরবত খাওয়াতে পারো কিংবা ঠান্ডা বরফ এক পেয়ালা লাচ্চি। এসব না-ই খাওয়ালে-যদি ভালবাসো তবে পায়ে কাছি বেঁধে একটা ডাবই পেড়ে দিতে পারো-আমি সুস্থ হই তা-কি তুমি চাও-না হে নাগর-বদের হাঁড়ি। দেও এক্ষুনি দাও ডাব পেড়ে দাও খেয়ে তৃষ্ণা মিটাই-নইলে ডাব তোমার মাথায় ভাঙ্গুম হাহাহাহ
৪। অবাক করা কিছু বিষয় তোমার দৃষ্টি কাড়ে না-সারাক্ষণ কেবল ক্যালকুলেটরেই তাকিয়ে থাকলে বাপু-এত হিসাব কষে কি হবে শুনি-এই অল্প আয়ূর জীবন-নিঃশ্বাস ছেড়ে টেনে নেয়ার দুঃসাহসও তো আমাদের নেই যদি প্রভু না চান। আরে ছুঁড়ে ফেলো ক্যালকুলেটর -এসো মনোলোভা দৃশ্য অবলোকন করি দুই জোড়া চোখে-ছাদের রেলিঙ-এ হাত আমার-রাখো হাত তোমার-ছুঁয়ে দাও বিকেলের এক চিলতে গোধূলিয়া রক্ত আবির রঙ প্রেম। সামনে তাকাও দেখো তুমি ভালবাসতেই গোলাপী রঙ ফুল ফুটেছে খুশিতে-আর কি চাও বলতো? আহা কি সুন্দর প্রহর ধরা দিলো তুমি পাশে আছো বলে। আচ্ছা এই ফুলের নাম কি তুমি জানো?-না তাও তো জানো না........... এ ফুল হলো পাথরকুচি ফুল। মনে নেই মেয়েবেলা বইয়ের পাতায় পাতায় কত রেখেছি পাথরকুচি। চুপসে যাওয়া পাতা থেকে গজিয়ে উঠতো-শেকড়। এমন করেই আমাকেও রেখে দাও তোমার বুকে। নতুন প্রেমের শেকড় নিয়ে তোমার বুকের জমি ফুঁড়ে উঠবে আমার প্রেম-হাহাহাহাহ।
৫। শূন্য বুক অন্ধকার জগত নিয়ে যাদের বসবাস, নিজের যন্ত্রনায় কাতর হয়তো-হয়তো বা না, গোর আঁধারে ইয়া নফসি ইয়া নফসি, এপাড়ে নেই ওরা-ওপাড়ে কেমন আছে কেউ জানি না, হয়তো সুখে হয়তো কষ্টে! অথচ ওদের কষ্ট বাড়িয়ে দেই মুহুর্মুহু-ওদের সমাধি সাজিয়ে দেই ফুলে ফুলে-ওরা কি সেই ফুলের সুবাস পায়? নাকি ওরা ফুলের পবিত্রতায় গা ধুয়ে সুখ আসনে বসে প্রহর গুনে বছর বছর এমন একটি দিনের । সম্মানে নত মানুষগুলো ওদের কষ্ট হয়তো আরো বাড়িয়েই দেয়! মৃত আত্মা কখনো সম্মানে কিংবা ফুলে আচ্ছাদিত সময়গুলো রোমন্থণ করতে পারে না-আচ্ছা সেকি তোমরা জানো না? এই সম্মনে দেয়া ফুলগুলো বাস হবে অবশেষে ডাস্টবিনে। বরং ফুলের দামে কিনে নাও দুনিয়ায় বসবাসরত গরীবদের দোয়া। দোয়া -হ্যাঁ দোয়াই হয়তো পৌঁছতে পারে ওদের আত্মার কাছাকাছি, জিয়ারত করো মানুষ-সালাম দাও-মৃতুরা ভাবে খুব কাছাকাছি আত্মীয়রা-ওরা তখনই শুনতে পায় তোমাদের কথা। অযথা পুজোর ফুল দিয়ো না ওদের সমাধীতে আর কষ্ট বাড়িয়ো না ওদের।
৬। আকাশজুড়ে ঐ দেখো রঙের খেলা-কৃত্তিম মেঘে দুপুর রোদ্দুর ছুঁয়ে দিয়েছে তার মন। চলো ছুঁয়ে আসি রঙধনু রঙ। মনে লাগুক মোদের প্রেমের রঙবাহারী হাজার রঙ। দূরে আর থেকো না, এসো ধরো হাত-চলো ঘুরে আসি রঙধনু সিঁড়ি বেয়ে আকাশসীমানা-মেঘের ভেলায় ভেসে না হয় আজ সাত সমুদ্দুর তেরো নদী বেড়িয়ে আসি। রঙধুন রঙ প্রেম আজ তোমায় দিলাম-কি নিবে?
৭। তুমি অবশেষে কাঠগোলাপই হলে বাপু! কাঠের মতো দেহ-তাতে আবার গোলাপ-এ অসম্ভব! তবে তোমার নামকরণ ঠিকই আছে-কাঠ মানব অথবা পাথর মানব-তোমার বুকে ফুল কি আর ফুটে? সে আমি ভালবাসি বলে মাঝে মাঝে প্রেমের ফুল ফুটেই ঝরে যায় নিমেষে! আচ্ছা কাঠগোলাপ বৃক্ষ না হয়ে তুমি বকুল কিংবা কদম বৃক্ষ হতে পারতে! কখনো ভুলে গিয়ে যখন তোমার অপেক্ষায় ঠাঁয় দাঁড়াতাম বৃক্ষের ছায়ায়। আমার মনের আকূতি তোমাকে কাছে পাবার, তুমি জেনে যেতে আর মুর্হুমুহু শ্রাবণের মেঘের মতো ঝরিয়ে দিতে তোমার প্রেমের ফুল এই আবেগীর অধরে কিংবা চোখের পাতায়। একবার ভাবোতো দৃশ্যটা-আহা কতই না মনোলোভা মনোহারী কিংবা মুগ্ধতার এক লহমা যেনো হাজার বছরের চেয়েও একটি সুখ মুহুর্ত। আচ্ছা আমি সবুজ পাতা হয়ে যাই -বিছিয়ে রাখি অযস্র প্রেম তোমার জন্য আর তুমি না হয় কাঠগোলাপই হয়ো-ঝরে পড়ো অগোচরে আলতো ছুঁয়ে আমায়-আহা ভালবাসা!
৮। না না ছিঁড়িস না, আমাকে দিবি-তো, তুই কেবল তোর নিখাদ ভালবাসাটাই দে পাখি। ফুল -ওকে থাকতে দে ওর মত-দেখ্ না কতটা স্নিগ্ধতা নিয়ে ও দাঁড়িয়ে আছে আমাদের মুগ্ধ করবে বলে আহা! তুই তোর প্রেমটাই দে আপাতত শতভাগ। কি দিবি তো-ফুল না হয় আমরাই ফুটাবো- সে-তো প্রেমের ফুল।
৯। উর্ধ্বমূখী শুয়ে ভাবনার বেড়াজালে আবদ্ধ-কি আছে জীবনে!
কেবল এক বুক হতাশা আর দারিদ্যতা
তবু আমাদের জীবন থেমে নেই
দু দন্ড শান্তি নিতে, খোলা হাওয়ায় নিকোটিনে ঠোঁট ছুঁয়াই
বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে বলে উঠি-ভাল আছি খুব ভাল আছি।
দু-বেলার আহার সে জুটে যাবে-বিশ্বাস উপরওয়ালার
যিনি দিয়েছেন মুখ-ভরসা রাখি তার উপর।
কেটে যাক জীবন ছন্নছাড়া-যাই চলে যাই উচ্ছন্নে
যতদিন নিঃশ্বাসে আছি বাঁচি স্বাধীনতায় খোলা হাওয়ায়।
ক্যানন ৬০০
১০। সবুজের বুকে লাল-সে লেপ্টে থাকবেই চিরকাল। এমন একটি স্নিগ্ধ প্রহর তুমি আমায় দিয়ো........ আমি লাল হবো আর তুমি হয়ে যেয়ো সবুজ। কখনো ক্লান্তি পেলে সবুজের বুকে মাথা রেখে একটু স্বস্তির প্রহর চেয়ে নিবো। তুমি কি আমায় দিবে? এমন প্রহর।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০১