১। আমি রূপা-তোমার জন্য অপেক্ষায় কাটিয়ে দিয়েছি পনেরটি দ্বাদশীর পূর্নিমা। অথচ হিমু তুমি বলেছিলে তুমি জোছনা রাতের ঝোঁপঝাড় পথ মাড়িয়ে হেঁটে যাবে.. কোন এক দ্বাদশীর রাতে অথচ তুমি আর এ পথ মাড়াও নি। হলুদ পাঞ্জাবীতে সুঁইয়ের আঁচড়ে তুলেছিলাম ফুলের বাগান-সেখানে রোয়ে দিয়েছিলাম রূপার আবেগী মন। তুমি ছুঁবে বলে দ্বাদশীর পূর্নিমায় স্নান সেড়ে অপেক্ষার প্রহরগুনা জোনাক হয়ে কাটিয়ে দিয়েছি দীর্ঘ প্রহর-তুমি নেই এখানে কোথাও।
আরো কিছু পুরোনো কিছু ছবি-যাহা কিনা পেন্সিল কিংবা এমএস পেইন্টে আঁকা। পূর্বে কাজের ঝামেলা কম থাকায় আঁকাআকিতে অনেক সময় দিতে পারতাম। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব ছবি একসাথে করে ব্লগে রেখে দিবো বলে নতুন করে আবার পোস্ট দিতেছি। আগে এক দুইটা ছবি করে পোস্ট হয়েছিল এখানে। যাই হোক। মানুষের ছবি আর আঁকব না আগেও বলেছি। এগুলো আগের আঁকা। আপনাদের ভাল লাগলে আমার কষ্ট সার্থক।
২।
বিমর্ষ আমি ঘুমোঘোরে তোমায় দেখি-চোখ বুজলেই তুমি এসে হানা দাও- এ কেমন তুমি- চোখে আমার আয়না ধরো-যে আয়নাতে তোমার ছবি, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে তুমি পালাও, আয়নার কাঁচ ভেঙ্গে দিলুম।-ভাগো .।
৩। এইটা পেন্সিল আর জলরং এ আঁকা
ও কৃষাণী ভাত দিবি-দে-না মোরে পান্তা ভাত
খিদের জ্বালায় পেট পুড়ে যায়-লাগা দেখি কামে হাত
ও কৃষাণী দে-না আমায় কাঁচা লঙ্কায় পান্তা ভাত
চল্ খাই এক থালাতে-
লোকমা তোলা ভালবাসায় এক হোক আজ দুটো হাত।
৪। গেলাম গেলাম বাপের বাড়ি-কৃষাণ তুমি শুনো কানে!
চাল নাই মোর-চালের গোলায়, পেটের খিদায় মরমু প্রাণে?
ভাত চাওতো লজ্জা নাই-চুলায় রাখছি জলের পাতিল
খিদে পেটে বলছি শুনো-তোমার সাথে সম্পর্কটা করছি বাতিল.
যাইগা আমি বাপের বাড়ি
যামুগা আজ বাপের বাড়ি
জ্বলবে না আর চুলায় হাড়ি।
৫। এটা ড্র প্লাস আর ফটোশপে এডিট
বিষন্নতার এক নীল জল-পেয়ালায় রেখেছো বালক
চুমুকে চুমুকে খসে পড়ে তোমার উচ্ছাসের সবুজ পালক
উঠো মুখ তুলো-ফিরে তাকাও-আলোতে দাঁড়াও ঘুরে
তোমার জন্য আলো এনেছি-শিউলী ফোটা ভোরে।
৬। এটা বাবা দিবসে আঁকা। এটা আকাআকির প্রথম ধাপ ছিল -তেমন ভাল হয়নি।
৭। এটাও আকাআকির প্রথম ধাপের ছবি..
৮। একাকী নিভৃতে তুমি দূরে তবু টেনে আনি কাছেে
এমন করেই দূরে থেকেও কাছে থাকি মন যে এই যাচে
ইনবক্সের কড়া নেড়ে-ডেকে যাও রাত বিরাতে
যেয়ো না দূরে কভু থেকো আমার সাথে।
৯।
কি হয়েছে কি হয়েছে-রেগে মেগে আছো যে বসে-ও ছেলে কিসের অংকা যাচ্ছো মনে কষে। জীবনের এই চলার পথে কত বাঁধা আসবে ধেয়ে-দূরে ঠেলে ক্লান্তি সকল যাও না দেখি আনন্দের গান গেয়ে।
১০। তুমি ভেবো-না আমি দূরে, তুমি যেখানেই স্বপ্ন বপে যাবে, আমি জল হয়ে ছড়িয়ে থাকবো সেখানে। তুমি ছুঁয়ে দিয়ো আমার মন। ঐ যে গাঙচিল, তার ডানায় স্বপ্ন দিলায় উড়িয়ে-পারলে ধরো- রেখে দিয়ো বুকের বামে।
১১। স্বপ্নগুলো রঙিনই থাক-কখনো ভুলেও সাদা কালো হতে দিয়োনে- যত দু:খ মনে পাখির ডানায় বেঁধে দাও, যাক উড়িয়ে নিয়ে উথায় হাওয়ায় তোমার আমার কষ্ট যত।
১২। এই চোখে তাকিয়ে দেখো- খুঁজে পাবে অথৈ সমুদ্দুর-নীল জলের ঢেউয়ে তোমায় ভাসাতে চাই-কেবল একবার বলো ভালবাসি। চোখের গভীরে তোমাকে হারাতে হবেই বাপু তুমি হারিয়ে যাও দিনি।
১৩। লাইন আর্ট
বিমর্ষ সময় কেনো যে টেনে ধরে রাখে আমায়-ফসতে যেতে চাইলেও- কষ্টসময়গুলো আঁকড়ে ধরে আমায়।
১৪। আহা এমন করে যদি কেউ বলতো সরি
তারি মনে বাইতাম তখন চুপিচুপি
ভালবাসার এক ছোট তরী।
আহা এমন করে যদি কেউ বলতো সরি
দ্বিধা ভুলে হয়ে যেতাম তার আকাশে
ভালবাসার ছোট পরী।
১৫।
আমাকে তুমি চিনবে না- অথচ ততটাই চিনতে যখন তুমি ছিলে মনের কাছাকাছি-ভুলে যেতে যেতে দূরে আরো দূরে গিয়ে কণ্ঠও চিনতে পারো-নি । তুমি আছো মনের মধ্যিখানে। ভেুলে যাও তাতে কি-মনে তো আমি তোমায় রাখবই।
১৬।
গায়ের এক সবুজ কন্যা-মনে ছিল তার উচ্ছাসের বন্যা... দুরন্তপনার সেই দিনগুলো আর নেই। গায়ের মাটিতেও যান্ত্রিকতা ভর করেছে। ঘরে ঘরে ডিস-টিভি-নেট লাইন, সেই উচ্ছাস জড়ানো দিনগুলো আর নেই। এখানে কেবল আছে বিষন্নতা। খেলার মাঠ ফাঁকা পড়ে থাকে। মারবেল ডাংগুলি, কানামাছি বউছি, কোথায় হারালো আজ রুমাল চুরি কিংবা ক্যারাম খেলা। স্মৃতি রোমন্থণে যে সুখ- সেই সুখ মুছে যাবে কালের অতলে সব। আগত সময়গুলো কেবল হতাশাই নিয়ে আসে যা কিনা কষ্ট স্মৃতি হবে একদা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০