আবারও মোবাইলগ্রাফী নিয়ে হাজির। এগুলো আগের উঠানো ছবি- আরো অনেক তুলেছিলাম -পিসি নষ্ট হওয়াতে সব গেছে হারিয়ে। ঢাকা শহরে বকুল গাছের অভাব নেই। এগুলো আমাদের ব্যাংক কলোনী থেকে উঠানো। রাস্তায় পড়ে থাকা ফুল কখনো কুঁড়াই কখনো সন্তর্পণে হেঁটে যাই ফুলগুলো বাঁচিয়ে। সেদিন রমনায় দেখলাম অনেক বড় বড় গাছ। আহা কি মৌ মৌৈ ঘ্রাণ-গাছের নিচে দিয়ে হেঁটে গেলে একটা অন্য রকম আবেশ তৈরী হয়। ভাল লাগা মন ভরে যায়। অনেক ফুল ছিল গাছের নিচে সেদিন। অনেকদিন ফটোপোস্ট দেই না তাই ভাবলাম পুরোনো ছবিগুলোই দিয়ে দেই।। তবে একটা কথা সরাসরি গাছ থেকে পারা ফুলে ঘ্রাণ নেই কিন্তু। ঝরে পড়া ফুলেই কেবল ঘ্রাণ এবং মাতাল করা ঘ্রাণ।
১। মালা গাঁথব মালা গাঁথব
সখা তোমার জন্য
আমি যেনো মনে তোমার
থাকি অগ্রগন্য।
বকুল দেব বেলী দিবো
দিবো শিউলী মালা
তোমার মনে রেখো আমার
নাম করে সীলগালা।
২। ভেজা পাতা ভেজা বকুল
দাও না ছুঁয়ে এসে
দেখবে তুমি আনন্দেতে
যাবে প্রেমে ভেসে।
৩। পা মাড়িয়ে চলে গেলে-অথচ তোমার জন্য রেখেছি ভেজা বকুল কুঁড়িয়ে। শুনো পিছন তাকাও- নিয়ে যাও কিছু ফুল রেখে দিয়ো বুক পকেটে। আমায় ভাববে যখন রেখে দিয়ো কবিতার ডায়রীর পাতায় পাতায়। ্ওগলো কেবল সুগন্ধই ছড়াবে গো দেখে নিয়ো।
৪। মনোযোগে তাকাও দিনি- কি ? দেখতে পাচ্ছো? কৃষ্ণচূড়া তাকিয়ে আছে-তোমায় বকুল দিবো বলে সে আজ অভিমানি। অথচ তুমি েএখানে এসে খানিকটা দাঁড়ালে না। কি করে বুঝাই বলো-ভালবাসি কত! তুমি মুগ্ধ হও না-তুমি কেবল রোদ্দুর হও মাথায় আমার -পুড়িয়ে মারো আর আমি সুখের বৃষ্টি হয়ে ঝরি তোমার মাথায়।
৫। ফোঁটা ফোঁটা স্নিগ্ধতাতে
সেজে আছে পাতা
ফুটে আছে বকুল ফুল-রা
খুলে কাব্যের খাতা।
তুমি আমার বকুল হও না
ছন্দ হয়ে ঝরো
জানি নাকো মনে তোমার
কার জন্য ভীত গড়ো?
৬।িঐ যে দেখো-কত ফুল ফুটে আছে-দাও-না পেড়ে। মালা গাথব -হাতে ঝোলাবো-যাক না শুকিয়ে । ঘ্রানের প্রহরগুলোতে বড্ড আনমনাতে থাকি আর ভাললাগায় ডুবে যাই তোমার প্রেমে। আর তুমি তো কোন কিছুতেই গুরুত্ব দাও না। তোমাকে চাঁদ পাড়তে বলিনি বাপু-বকুল ফুল পেড়ে দাও। কি আর এমন কঠিন কাজ শুনি?
৭। যায় ভিজে যায় বৃষ্টির জলে
স্বপ্নগুলো আমার
তুমি কেবল বসাও এসে
বিরহের এক খামার।
দাও নি তুমি সামনে এসে
বকুল ফুলের মালা
মনের মাঝে রাখলে মেরেে
ইয়া বড় এক তালা।
৮। প্লিজ ফুলগুলো পা মাড়িয়ে হেঁটে যেয়ো-না আমার বুকে লাগে বড়। ফুল ভালবাসি বড়-এগুলোর স্থানতো বুকে-পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে ওরা সুন্দর বিলিয়ে হারিয়ে যায়। অথচ তুমি তোমাকে বিলালে না আমার কাছে। তুমি খুব দামী তাই না? বকুল ছোঁও নয়তো আমায় নিয়ে নাও টেনে কাছে ভালবেসে।
৯।
থোকা থোকা বকুল কলি
ঝুলে আছে ডালে
ইচ্ছে লাগে ভেজা করি
ছোঁয়ায়ে দেই গালে
ফুটবে তারা আপনমনে
গাছ-টি ভরবে ফুলে
একটি দুটি হাজার বকুল
আহা দ্যুদোল দুলে।
১০।
ভেজা পাতায় এঁকে দিলাম
তোমার নামে চিঠি
ফুটলে বকুল রেখো তুমি
অবাক তোমার দিঠি।
ফুলের পাপড়ির ভাঁজে ভাঁজে
প্রেম লুকানো আছে
প্রেম কুঁড়াতে একদিন এসে
ঝাঁকি দিয়ো গাছে।
এই গানটি দিতে মনে ছিল না ধুরু
তাই দিয়ে দিলাম। আমাদের প্রিয় ব্যান্ড জলের গান এর-
বকুল ফুল বকুল ফুল
সোনা দিয়া হাত কেনে বান্ধায়লি
শালুক ফুলের লাজ নাই
রাইতে শালুক ফোটে লো
রাইতে শালুক ফোটে
যার সাথে যার ভালবাসা
সেইতো মজা লোটে লো
শাওন ও ভাদ্রর মাসে
জামাই আদর করে লো
জামাই আদর করে
ইচ্ছে জামাই করবো আদর
দানাতো নাই ঘরে লো
আমার জামাই ধান বায়
হরিণ ডাঙার মাঠে লো
হরিণ ডাঙার মাঠে
সোনা দেহে ঘাম ঝরে
দুঃখে পরান ফাটে লো
প্রিয় গান খুব সুন্দর গান -যারা শুনেন নি তারা একটু ধৈর্য্য ধরে শুনতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫