©কাজী ফাতেমা ছবি
আষাঢ়ে বৃষ্টি নামবে সেতো চিরাচরিত নিয়মে
আর মনে যে নামছে হর হামেশা বৃষ্টি, সে খেয়াল কেউ রাখে!
অগোচরে ঝরে যায় ব্যথা হৃদয় চুয়ে চুয়ে
রেখে যায় ক্ষত চিহ্ন.......
বুকের ভিতর ঢেউয়ের পর ঢেউ
আঁচড় কাটে ব্যথার নদী ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ে আহ্
তবু হাসছি ভাসছি সুখে,
সুখের খেয়ায় পা রাখি হরদম।
কেউ কি জানে ব্যথার মূল্য কত,
বিকিয়ে দিতে গিয়েও ফিরে আসি
মিথ্যার বেসাতি বসেছে সর্বত্র।
ভালবেসে কাছে টেনে নিয়েও বলে বিনিময়ে আমারও কিছু চাই
নির্ভেজাল মন ভেঙ্গে টুকরো হতে হতে আবার জোড়া লেগে যায়,
মোহের ধরায় আমি শুধু মোহ থেকে বাঁচতে চাই,
তবু টেনে ধরে হায়!
তোমরা জানো কি চোখ দুটো আমার আষাঢ় আর শ্রাবণ!
তবু লেগে থাকে সেথা চৈত্রের খরা,
ঝরে না অঝোর কষ্টের জল
চোখের বর্ষন বর্ষে সেতো গোপনে নিশাকরকে সাথে নিয়ে।
দীর্ঘশ্বাসের বর্ষন তোমরা কখনো টের পেয়েছো!
নিজেকে নিয়ে ভেবেছো কখনো......
বৃষ্টি ঝরে অগোচরে!
ভিতর বাড়ির সকল বাঁকে বাঁকে ব্যথার মোচড় শুধু বর্ষাই ঝরায়।
প্রতিটি হৃদয়ে আছে একেকটা ব্যথার আষাঢ় আর শ্রাবণ
ঝরে নিরবে নিভৃতে শুধু নিজের মাঝে বর্ষন ক্ষণে ক্ষণে
একাকিত্বের জীবনে শুধু আমি নই প্রতিটি প্রাণীই একা
সবারই থাকে কিছু আশা, প্রাপ্তি, অনুভূতি, অনুভব
কিন্তু মেলেনা অংকটা, কারো মনের সাথেই মিল নেই মনের
যার যার এক এক নিজস্ব ভূবনে বাস করে একাকিত্বে কাটায়
শুধু আষাঢ় শ্রাবণে অঝোর জল বর্ষে যায় অন্তরালে,
দুচোখ রয়ে যায় তবু চৈত্রের নদী হয়ে।
June 15, 2016 at 3:37pm • Dhaka
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৩