এটা তার খালামণির জন্মদিনে গিফট করেছিল সে .....
তা-মীমের পেন্সিলে আঁকাআঁকির -২য় পর্ব........
--------------------------------------------------
তা-সীন এমনিতে কান্নাকাটি বেশী করে আর রাগটাও বেসম্ভব কান্নাকাটির এক পর্যায়ে আমি বললাম বাবা এত রাগ তো ভাল নয় । মাথার রক্ত গরম হয়, শরীর খারাপ হয় মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয় এসব মোটেই ভাল না কি করলে যে তোমার রাগ কমবে আল্লাহ জানে........... এমন একটা কিছু পেতাম যে যা খেলে তোমার আর রাগ হবে না বেশী ঠিক তখনই..........
আমার পাশে বসা আমার জেরী (তা-মীম) বলতেছে মা, শুন যখন রাগ উঠবে তখন এক গ্লাস পানি খাওয়াইয়া দিবা দেখবা রাগ ঝটপট কমে যাবে
-আমি বললাম তাই নাকি? তাইলে তো ভালই । যখন তোমার রাগ উঠবে তখন তোমাকেও পানি খাওয়ায়ে দিব তাহলে তোমার রাগও পানি হয়ে যাবে।
মা, আমি কিন্তু রাগ উঠলে পানি খাব না
-তা, তুমি কেন খাবে না । তুমিই তো রাগ কমানোর কথা বললে
কারণ হল- রাগ কমলে আমি তাকে মারব কেমনে?
-ধর ভাইয়া যদি আমার সাথে ঝগড়া করে তখন তো রাগ কমলে ভাইয়াকে আর মারতে পারব না । আমি রাগের সময় রাগ কমাতে চাই না..................
২।
-মোবাইল নিয়া কি করতেছ বাবধন
-কিছু না মা । কিন্তু ছবিগুলো খুঁজে পাচ্ছি না......
-কি বল এসব....... দেখি কি করছ ......
-কিছু করি নাইতো.....
-আরের মেমরী পুরাটা ফ্রি দেখাচ্ছে কেন । মেমরী তো ফুল ছিল । হায় হায় মেমরী ফরমেট করে দিছ । এইটা কি করলা তুমি । মেজাজ টা তো খারাপ হচ্ছে......
-মা........ চিন্তা মত কর
-চিন্তা মত কর কইলে তো হবে না । আমার মোবাইলের সব ছবি ভিডিও এসব আর পাব কই ?
-পাতা নেহি?
-ধুর ব্যাটা কি করছস...... আবার হিন্দিতে কথা বলছিস হুম
দেখ তো একটা গান টান কিছুই নাই
-ডাউনলোড কর...লো
-আবার ফাজলামি করতেছিস । কি সুন্দর সুন্দর ছবি ছিল হায় হায়!!!!!!!!!
-কপি/পেষ্ট কর লো
-উফফফফফফফফফফফ । আমাদের চা বাগানের ছবিগুলো কিভাবে কপি/পেষ্ট করব বল
-হুম....... মা এক কাজ কর চল সিলেটে যাই । গিয়া চা বাগানে ছবি আর ভিডিও করে নিয়ে আসি । ঠিক আছে না মা.............
-ফাযিল কোথাকার বেশী ফাজলামো শিখছিস ...... এমন মাইর দিমু
-ঠিকাছে মা আমি আর তোমার কাছে ঘুমাব না । তোমার কাছে আর আসব না । তুমি পচা মা যাও তোমার সাথে আর কথা নাই.........
দু:খের বিষয় সেই রাত জেরী তার বাপের কাছে ঘুমাইছে আমার কাছে আসে নাই (১১-১১-২০১২)
০৩। তাম এক্সপ্রেস....... নিজেই নিজের কোম্পানী বানিয়ে ফেলেছে হাহাহাহ
তা-মীম (আমার জেরী) বলতেছে
মা-এমন একটা মজার কথা শোনাবো
-কি বাবা
-যে মজার কথা তুমি কোনোদিন শুনো নাই
-তাই, কি মজার কথা শুনি
-মজার কথাটা শুনলে তুমি অনেক খুশি হবে
-বল নারে বাপ কি কথা
-তোমার কানে কানে বলব। নাইলে সবাই শুনে ফেলবে
-আচ্ছা কানে কানেই বল
-মা, মজার কথাটা হল আমার বাথরুম পাইছে
-এই হল তোর মজার কথা, দাঁড়া তর বারোটা বাজাচ্ছি।
বেটা ফাজিল খিল খিলিয়ে হাইসা ভাইঙ্গা পড়তেছে
আহারে এত সহজ সরল মাটারেও ঠকায় (২৩-১০-২০১২)
০৪। ভাইয়ার পড়ার টেবিল চেয়ার ময়লার ঝুড়ি সাথে ভাইয়াকেও এঁকে ফেলেছেন তা-মীম, মজার বিষয় হলো ভাইয়া না পড়ে মোবাইল গেইম খেলছে হা হা হা
০৫। smile
ডাক্তারখানায় জেরী
.. . . . . . . . . . . . . . . .
চেম্বারে গিয়ে বসতেই
মা-এখানে প্লাস্টিকের চেয়ার দিলো কেন
-তো, কি হইছে
-বাচ্ছারা এসে চেয়ার নাড়াচাড়া করবে, মাথায় তোলে আছাড় দিয়া ভাইঙ্গা ফালাইব,
-কি চেয়ার দিলে ভাল হতো
-শক্ত চেয়ার দিলে ভাল হইত
তারপর আবিষ্কার শুরু
মা-দেখ ভেন্টিলেটার ভাঙ্গা
-আর কি?
-দরজার ছিটকিরি নাই
-আর
-দরজায় স্টিকার লাগানোতে দরজা বিশ্রি দেখা যায়।
-আর
-সুইচ বোর্ডে একটা স্ক্রু নাই।
হইছে বাপ আর কইতে হইব না।
এক পর্যায়ে সিরিয়াল নিয়া ঝগড়া লাগছে অন্য রোগীদের মাঝে। আমার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে ভিডিও করে ফেলল ঝটপট।
যতক্ষন ছিলাম বকর বকর করে আমার মাথা নষ্ট করে ফেলেছে। এমনকি বেটা ডাক্তারের সাথেও শুরু করছে, ডাক্তার বলছে বাবু তুমি ডাল দিয়ে ভাত খাইও
-আমি ডাল খাই না
ডাক্তার বলে কয়দিন খেলাধুলা কম করবা।
কুল থেকে নেমে নবিতার মত মাথা নিচু করে বের হয়ে আসলো। ডাক্তারও হাসল আমাদের সাথে।
আবার শনিবারে নিয়া যাই ডাক্তারের কাছে......
ডাক্তার বুক এক্সরে দিছে.........
ও বলতেছে মা, কিভাবে কি করবে কেন করবে হাজারো প্রশ্ন
আমি বললাম বাবা,,,,,,,,,, তেমন কিছু করবে না । তোমাকে একটু ঘুম পাড়িয়ে শুধু একটা ছবি নিবে
জেরী বলে-আচ্ছা ঘুমিয়ে কি আমি স্বপ্ন দেখতে পারব
আমি বললাম এত অল্প সময়ে কিভাবে স্বপ্ন দেখবা
তো একটু পরে এক্সরে রুমে নিয়ে গিয়ে ও শুয়াইয়া এক্সরে করল
বের হয়েই আমার ভুল ধরল । বলতেছে মা তুমি খালি ভুল কর । তুমি বলছ ঘুম পাড়াবে । কই ঘুম তো পাড়াইল না
আমি বললাম পাড়াইছে তো ।
না মা ঘুম পাড়ায় নাই শুয়াইছে শুধু । আর শোন ঘুম আর শোয়া কিন্তু এক জিনিস না ।
আমি বললাম একদম ঠিক কথা বলেছ বাপধন
আমার ভুল হইছে
ঠিকাছে আর ভুল করবা না (২০১৩)
০৬। টুক্কুস বাসই আঁকে না ফ্যানও আঁকে লাভিউ টুক্কি
তা-মীম তার বাবাকে বলে
বাবা, শুক্রবার আর শনিবার তো বন্ধ
আমরা যদি আরেকটা বার বানাই তাইলে তো
অই বারেও বন্ধ থাকবে ........ অনেক ভাল হবে না বাবা
-হুম, বানানো তো যেতেই পারে , বার তো বানাইবা তো অই বারের নাম
ঠিক কর আগে । কি নাম দিবা?
তখন তা-সীন বলে, দাড়াও বাবা চিন্তা করে বলি ।
তা-সীন চিন্তা করে বলল,
বাবা-এই বারের নাম হবে প্লুটোবার । যেহেতু সব গ্রহের নাম দিয়েই বারের নাম হইছে তাহলে আমরা এর নাম দিলাম প্লুটোবার
এখন তা-মীম প্রতিদিনই জিগ্যেস করে মা, প্লুটোবার কোনদিন । এই বারটা আসে না কেন?
এখন এই বার যে আমি কই থেকে নিয়ে আসি :p (২০১৩)
০৭। হুন্ডা
০৮। এঁকে রংও করেছে আবার
০৯। একটি গ্যাস স্টেশন -জেলপেন আর্ট বাই তা-মীম
১০। বাবুই পাখিটা আমার
শুধু বাসই আঁকে
১১।
নিচের ছবিটা আগের ২০১৩ তাও একটু স্বাস্থ্য ভাল ছিল । এখন খুবই খারাপ অবস্থা........ শুকিয়ে গোলগাল মুখটা লম্বা হয়ে গিয়েছি sad
জেরী গান গায়...........সিস্টেম করছে আসলে গান গায় না
বলে কি- মা ধর আমি গান গাইতাছি আর তুমি ছবি তুলতেছো হাহাহাহা smile
১২। এই হচ্ছে আমার দুষ্টু টা
১৩। থারটি টেন big_smile
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯