ঈদের পরের দিন কিছুক্ষণের জন্য গিয়েছিলাম হাতির ঝিল পার্কে । সেদিন ছিল ঝাঁঝাঁ রোদ্দুর জ্বলা সকাল দুপুর এমন কি সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত। তাকানোর দায় ছিল না দূরে বা আকাশে। তবুও বাতাস ছিল বেশ। আমি এই প্রথম হাতির ঝিলে গেলাম। এর সৌন্দর্যের কথা বলব না কারণ এইখানে সবাই একবার না একবার গেছেন। তবে আমার কাছে ঢাকার মধ্যে একটি সুন্দর সময় কাটানোর স্থান বলেই মনে হয়েছে। জল জিনিসটা আমার খুব ভাল লাগে। পুকরের জল, ডোবার জল খালের জল..... জলের ঢেউ, চিকচিক করা রূপালী ঢেউয়ে হারিয়ে যাই আমি। দূর থেকে ঢেউগুলোকে দেখলে মনে হয় বকের সারি উড়ে উড়ে যাচ্ছে আসছে। নির্মল একটা পরিবেশ সেখানকার। সবুজ ঘাস, বসার জায়গাগুলো সব কিছুতেই যেনো একটা বিদেশী বিদেশী আমেজ লাগছিল। ভাববেন না আমি বাড়িয়ে বলছি আমার কাছে যা মনে হয়েছে তাইতো বলছি। হাতির ঝিলের রাতের ছবি অনেক দেখেছি,,,, আলো জ্বলমল করা অপরূপ সিনারী। আফসোস হতো কোনদিন জানি দেখতে পাবো সেই হাতির ঝিল। অবশেষে দেখা মিলল........ সাথে ক্যামেরা নিয়ে যাইনি ....... তাই মোবাইলেই অনেকগুলো ছবি তুলেছি এক পর্বে দিলে বকা খেতে হবে তাই বাকিগুলো অন্য পর্বে সময় পেলে দিবো ভাবছি।
১। এই শহরের সকল রোদ্দুর যেনো হাতির ঝিলে সভা বসিয়েছে আজ, সেই যে তেজোদীপ্ত চাদরে বসে সভার কার্যক্রম শুরু করেছিল রোদ্দুর'রা
২। - উঠার নামই নিলো না। আর আকাশ বিছিয়ে দিয়েছে অবারিত নীলের মিহি গালিচা....
৩। প্যানারোমা
ঝিলের জলে রোদ্দুরের চিকচিক ঝলকানির সাথে ঢেউয়ে ঢেউয়ে খেলায় মাতল কচুরিপানা'রা।
৪। সাদা মেঘগুলোর ফাঁকে সূর্যের অহংকার চোখে পড়ার মত।
৫। সূর্য ঝরালো আজ রোদ্দুরের বৃষ্টি,
৬। আর আমি চোখ বন্ধ করে মুগ্ধতা অনুভব করি
৭। মানুষের ঢলে হাতির ঝিল ডুবে গেলো,
৮। আমিও হারিয়ে গেলাম ভীড়ে! আর আমি ছিনিয়ে নেই সব মুগ্ধতা আর সৌন্দর্য্য।
৯। রোদ্দুর যতই তার তেজে বুক ফুলিয়ে গর্ব করতে চাইছিল ততই মিষ্টি হাওয়া এসে রোদ্দুরের চোখে ধূলো দিয়ে শান্তির বার্তা এনে দিল মনে।
১০। প্যানারোমা
আর আমি ছিনিয়ে নেই সব মুগ্ধতা আর সৌন্দর্য্য।
১১। রোদ্দুরের দখলে আজকের আকাশ,,
১২। চোখ রাখতে দিচ্ছে না ধবল মেঘে
১৩। ইচ্ছে করে রোদ্দুরের পিঠে চড়ে ওড়ে গিয়ে বসি ঐ যে নীলাভার বুকে
১৪। শুভ্র মেঘ, ওই মেঘের ভেলায়,
১৫। যন্ত্র শহর ছেড়ে চলে যাই মেঘেদের দেশে,
১৬। পেজাতুলো মেঘে মাথা রেখে স্বপ্ন বোনি নতুন করে...
১৭। জলের ঢেউয়ে ভাসতে ডুবতে খুব ইচ্ছে
তুমি যদি ঢেউ হয়ে যেতে তবে তোমার বুকে সাঁতার কাটতাম অনন্তকাল
১৮। প্যানারোমা
মনের মাঝে পেতে রেখেছো দূরত্বের সাঁকো........ কি করে আগাই পথ বলো
কাছে আছো অথচ দূরত্বের সাঁকো-টা ঠিকই গড়ে নিয়েছো অবেলায়
১৯। হেঁটে চলো যাও নির্দ্বিধায় অথচ পিছন ফিরে দেখলে না আমি আছি ছায়া হয়ে তোমার পিছু
(জেরী আর তার বাপ বেশী মাতব্বর দুইজনেই ছবি তুলতে দেয় না শেষে আমি পিছনে পড়ি হ্যহ হ্যহ ছবি তুলতে ঠেকায় কে)
২০। সবুজে আচ্ছাদিত স্নিগ্ধতার গালিচায় জুটি-রা ঠিক ফটো হয়ে যাচ্ছেমুগ্ধতায় আর তুমি সেই অচেনাই রয়ে গেছে
(বদের বদ একটা ছবিও উঠাইল না নিজের ........ আমার আর জেরীর ছবি উঠাইয়ে অনেক )
২১। এই শুনো, হলুদ হলুদ বুনোফুল এনে দিবে কি কানে পরিয়ে
অথবা নাকে........
নিজ হাতে পরিয়ে দিলে ভালবাসার ঝড় উঠবে তোমার আমার হৃদয়
বাঁকে।
২২। অপূর্ব প্রকৃতি...... সবুজ গাছগুলো হৃদয়কাড়া সুন্দর ........ আবারো যেতে চাই
নিয়ে যাবে কি-না বলো........... নগ্ন পায়ে হাঁটব দুজন পাশাপাশি....
আনন্দে আর ভালবাসায় চলবে দেখো প্রেমে ভাসাভিাসি
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯