somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কিশোর মাইনু
মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

মলাট দেখে করো না বিচার

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকার আড়ং এ আড্ডা মারতাম তখন। মুডের উপর নির্ভর করে কোনদিন ফিটফাট বাবু, কোনদিন Three-Quarter পড়েই বের হয়ে যেতাম পায়ে একটা চপ্পল চাপিয়ে। তেমন ই একটা দিনের কথা। আড্ডা মারছি আমি আর আমার ফ্রেন্ড। তো আমাদের অভ্যাস একটু খারাপ। পকেটে টাকা থাকলে আমাদের খালি খিদা পায়। তো ওইদিন পকেটে সেই টাকা দুজনের থেকে। চলে গেলাম খেতে ধানমন্ডি। সেখানে তাওয়া নামে একটা রেস্টুরেন্টে আছে। সাধারণত আমরা গ্রিল খেয়ে থাকি, অন্য একটা রেস্টুরেন্টে, ফু-ওয়াং শর্মা নাম সেটার। আমাদের দুজনের পছন্দের খুব তাদের গ্রিল। যায় হোক, সেদিন আমরা গ্রিল না খেয়ে ঠিক করলাম কাচ্চি-তেহারি খাব। গেলাম তাওয়ায়। ২ তালায় উটে বসেই আছি। কোন খবর নেই কারও। ২/৩ মিনিট পর একজনকে দেখে অর্ডার দিলাম। তারপর কোক-পেপসির জন্য ও ডাকতে হল আবার। যাই হোক, তেহারি এবং কাচ্চি দুটোই খেলাম সেদিন। এবং দুটোই ভাল লাগল।
এই কাহিনীর সপ্তাহ খানেক পরের ঘটনা। আবার আড্ডা মারছি আড়ং- এ। আজকে পকেটে খুব একটা টাকা নেই। আমি সরাসরি ভার্সিটি থেকে চলে গিয়েছি আড্ডা মারতে। সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয় নি। পকেটে টাকা কম বলে। কিন্তু ভার্সিটি গিয়েছিলাম গিলে পুরো ফিট। আরও শীত পড়া শুরু করেছে তখন। তো আমি এখন শার্ট-প্যান্ট ইন করে টাই পড়ে কিছু একটা। আরও চোখে ছিল রিমলেস চশমা দুজনের ই। আমার ফ্রেন্ড ও ওইদিন ফিটফাট হয়ে বের হয়েছিল। কিন্তু তার পকেট ও প্রায় গড়ের মাঠ। তবু ও সকাল থেকে না খেয়ে ছিলাম বলে সে নিয়ে গেল আমাকে তাওয়ায়। চল তেহারি খামু। যা আছে তা দিয়ে দুজনের হয়ে যাবে। পরেরটা পরে দেখা যাবে। তো গেলাম। মজার বিষয় হল এবার সম্পুর্ণ অন্য রকম অতিথিয়তার সম্মুখীন হলাম। শুরু থেকেই স্যার স্যার, নিজে থেকে অর্ডার নেয়া, এসে এসে খবর নেয়া কোন কিছু লাগবে কিনা। ভাল করে খেয়াল করার পর realize করলাম, শেষেরবার যে ছিল আমাদের টেবিলের ওয়েইটার , এবার ও সেই। মজার বিষয় হলো আগের বার আমাদের পকেটভর্তি টাকা ছিল। এবার আমাদের পকেট ধরতে গেলে ফাকা-ই।

আমরা মানুষরা মানুষকে বিচার করি তার জামাকাপড় দিয়ে। যতই বলি না কেন ''Don't judge a book by its cover'' , কাজটা আমরা আমাদের অজান্তেই করে ফেলি। যদি ও কাজটা করা উচিত না। কিন্তু কি আর করা???

মাঈদুল ভাইয়ের শেষ পোস্টটি দেখে কাহিনীটা মনে পড়ল। ভাবলাম শেয়ার করি। তাই করলাম।
ভাল থাকবেন সবাই। শুভকামনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৮
৬৫৩ বার পঠিত
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

১. ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০০

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুবহু একই ঘটনা আমার ও আমার বন্ধু রুমির সাথে হয়েছে। ২০০৪ সালে খুলনার ওয়েষ্টার্ন-ইনন এ। প্রথমদিন টিপস দিয়েছিলাম ১০০ টাকা। ২য় দিন ১০টাকা!

মানুষ এমনই। হয়ত দেখা যাবে আমি-আপনিও এমনই করি কখনও কখনও।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২১

লেখক বলেছেন: ৯০ টাকা মেরে দিলেন ওয়েইটারের টিপস থেকে? :D :D
অবশ্যই করি। এবং এটা আমাদের দোষ নয়। কারণ আপনার DRESSUP ই আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। আপনার পোশাক আপনার রুচির, আপনার বংশের, এমনকি কখনো কখনো আপনার চরিত্রকে ও REFLECT করে।
ধন্যবাদ ব্রাদার। ভাল থাকবেন।

২. ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৬

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: পোষাক নিয়ে একটি আটিকেল এই ব্লগে লেখছিলাম।

আপনার লেখা দেখে আমি মুগ্ধ।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার।আপনাদের মুগ্ধতাই লেখার সফলতা।
আপনার পোস্টটি থেকে ঘুরে আসলাম, মন্তব্য ও করে আসলাম। অসাধারণ লিখেছেন।
Keep that up. Take care.

৩. ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:১৭

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার সত্য কথা গুলো বলেছেন। আমাদের জীবন জীবিকার সাথে হুবহু মিলে গেছে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১১

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ চৌধুরী সাহেবকে মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এইচএমপিভি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩




করোনা মহামারির ৫ বছরের মাথায় নতুন একটি ভাইরাসের উত্থান ঘটেছে চীনে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নামের নতুন এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে দেশটিতে।চীনের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান, আমেরিকা, জামাত-শিবির আমাদেরকে "ব্যর্থ জাতিতে" পরিণত করেছে।

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৭



আজকে সময় হয়েছে, আমেরিকান দুতাবাসের সামনে গিয়ে বলার, "তোরা চলে যা, ট্রাম্পের অধীনে ভালো থাক, আমরা যেভাবে পারি নিজের দেশ নিজেরা গড়বো। চলে যাবার আগে তোদের পাকী... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হয়তো কখনো আমরা প্রেমে পড়বো=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০০


পোস্ট দিছি ২২/১২/২১

©কাজী ফাতেমা ছবি

কোন এক সময় হয়তো প্রেমে পড়বো আমরা
তখন সময় আমাদের নিয়ে যাবে বুড়ো বেলা,
শরীরের জোর হারিয়ে একে অন্যের প্রেমে না পড়েই বা কী;
তখন সময় আমাদের শেখাবে বিষণ্ণতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বর্তমান সরকার কেন ভ্যাট বাড়াতে চায় ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১০


জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণ ছাত্রদের ডাকে রাস্তায় নেমে আসে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটায়। অবশ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনার অন্তরে ঠিক যা রয়েছে, আপনার জিহবা দিয়ে ঠিক তাই বের হবে।

লিখেছেন রিফাত-, ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৪১



"আপনার অন্তরে ঠিক যা রয়েছে, আপনার জিহবা দিয়ে ঠিক তাই বের হবে।"

এ কথাটি আমাকে একজন ভাই এশার সালাতের পরে বলছিলেন।

বেশ কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে কাজলার মোড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×