somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নীরা ‘র বিয়ে

২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে


(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩

হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।

দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।

রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।

পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“

রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দেশনায়ক তারেক রহমানকে সম্পৃক্ত করার নেপথ্যে  

লিখেছেন এম টি উল্লাহ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮


আগেই বলেছি ওয়ান ইলেভেনের সরকার এবং আওয়ামীলীগের যবনায় জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পৌনে একশ মামলা হলেও মূলত অভিযোগ দুইটি। প্রথমত, ওই সময়ে এই প্রজন্মের নিকট উপস্থাপন করা হয়েছিল দেশনায়ক তারেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পকে নিয়ে ব্লগারদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



**** এডমিন টিমের ব্লগারেরা আমাকে বরাবরের মতোই টার্গেট করে চলেছে, এভাবেই সামু চলবে। ****

ট্রাম্পের বিজয়ে ইউরোপের লোকজন আমেরিকানদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী শংকিত; ট্রাম্প কিভাবে আচরণ করবে ইউরোপিয়ানরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পের বিজয়, বিশ্ব রাজনীতি এবং বাংলাদেশ প্রসংগ

লিখেছেন সরলপাঠ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

ট্রাম্পের বিজয়ে বাংলাদেশে বা দেশের বাহিরে যে সব বাংলাদশীরা উল্লাস করছেন বা কমলার হেরে যাওয়াতে যারা মিম বানাচ্ছেন, তারাই বিগত দিনের বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টের সহযোগী। তারা আশায় আছেন ট্রাম্প তাদের ফ্যাসিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠেলার নাম বাবাজী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩১

এক গ্রামীণ কৃষক জমিদার বাড়িতে খাজনা দিতে যাবে। লোকটি ছিলো ঠোটকাটা যখন তখন বেফাস কথা বা অপ্রিয় বাক্য উচ্চারণ করে ক্যাচাল বাধিয়ে ফেলতে সে ছিলো মহাউস্তাদ। এ জন্য তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×