(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
(৩) নীরার হলুদঃ ( ৩য় অংশের পর) ১৪/০৫/২০০৩
হলুদের দিন আবার বড় আপা সাজাতে বসল । আজকে মাকে বলে পারলার থেকে চুল বাধানর টাকা নিয়ে নিয়েছে আপা । পারলারে যাওয়ার আগে বড় আপা নীরার কানে কানে বলল “ তোর কাছে কোন টাকা থাকলে সাথে নিয়ে নে । জিবনে বিয়ে তো একবার ই করবি , ভালো করে সেজে নে ।“ “আমার কাছে কোন টাকা নেই “ নীরা জানাল । “ আচ্ছা তাহলে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নে , পরে দিয়ে দিস “ “ নাহ লাগবে না। মা দেখলে রেগে যাবে । তুই ই সাজা” নীরার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই টাকা নিলে, ঋণ সে কোনদিন শোধ করতে পারবে না ।
দুপুর থেকে সেজে গুজে বসে আছে সে । পাত্র পক্ষ আসবে সন্ধ্যা ছয়টায় । এখন এই ঘরে নীরা আর তার কম্পিউটার । নীরা নিজের মনে ভাবে “আচ্ছা রাজিবের কি হল? কখনো তো এমন হয়না । গত ১ বছরে এক দিনের জন্য ওদের কথা হয়নি এমন এক দিন ও নেই । “ রাজিবের জন্য মনটা কেমন যেন করে ওর । এই ছেলেটার সাথে আসলেই কোনদিন বৃষ্টি তে ভেজা হল না, অথবা পূর্ণিমার রাতে কফি খেতে খেতে চাঁদ ও দেখা হলো না । আচ্ছা রাজিবের সাথে বিয়ে হলে রাজিব কি ওকে তখন পাগলী বলেই ডাকতো? নীরার মনটা হুহু করে ওঠে ।
রাত ৮ টা বাজে । পাত্র পক্ষ তখনও আসেনি । ঘরে এখন মানুষ ভরা । নীরার ঘুম পাচ্ছে । এমন সময় বাইরে গাড়ির শব্দ শোনা গেল । সবাই নিচে গেল পাত্র পক্ষ কে অভ্যর্থনা জানাতে । আবার নীরা রাজিবকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
পাত্র পক্ষ নীরার জন্য যেই শাড়ি নিয়ে এসেছে, মায়ের সেটা পছন্দ হয়নি একদম । মায়ের জন্য, বোনদের জন্য ও কোন শাড়ি নেই ডালাই । “ একদম একট ছোটলোকের জাত, দেখলি? ফকিরের বাচ্চাদের কাছে এর থেকে আর কি বেশি আশা করা যাই?” মা বড় আপার দিকে তাকিয়ে হাসলেন । বড় আপা না শোনার ভান করে শাড়ি গুছাছে । মনে হয় নীরাকে কষ্ট দিতে চায় না ।
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত ১ টা । তখন ও রাজিবের জন্য মন কেমন করছে । এর মধ্যেও মায়ের কিছু কথায় নীরা মনে মনে হেসেছে অনেকবার । রেজা সাহেবের বোনের জামাই নাকি আগে মডেল ছিল ( মায়ের ভাষায় লুঙ্গি মুঙ্গি র মডেল) । সেই মডেল সাহেব সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন গুরু গম্ভির হলুদের অনুষ্ঠানে ও নাচতে শুরু করেছিল গানের তালে তালে । মা নীরার কানের কাছে কয়েকবার এসে বলে গেছে “ এই বান্দর টারে পাঠায় সে কে? দেখলেই লাথথি মারতে ইচ্ছা করছে ।“
রাত ২ টায় নীরা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আবার বসে । রাজিব আজকেও নেই অনলাইনে । ........................................চলবে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫