রোজ ভোরেতে যখন আমি একলা আকাশ দেখি, মনের কোণে তোমার জন্য একটা ছবি আঁকি-
সেই ছবিতে প্রভাত কিরণ খেলে তোমার মুখে, আমার আঙুলগুলো বেয়াড়া হয়ে চায় তোমার দু’চোখ ছুঁতে,
তোমার কপাল জুড়ে অবাধ্য চুল কিছু, আমার ওষ্ঠ ছোটে তাদের পিছু পিছু,
তোমার ঘুম-মাখানো সকাল বেলার মুখ, আমায় ভুলিয়ে রাখে না পাওয়া সব দুখ,
তোমার আলসেমি ভরা ওপাশ ফিরে শোয়া, আমার রোজকার এক অবাধ্য সুখ পাওয়া;
হঠাত্ করেই কাকটা যখন ডাকে, মনের কোণের রঙতুলিটা ফসকে কেমন পড়ে,
বাতাস এসে ফিসফিসিয়ে কয়, ও তো তোমার নয়!
ওর মত ব্যথা বল কে তোমারে দেয়?
রোজ দুপুরে যখন আমি একলা ভীষণ থাকি, ভাতঘুমের বালিশ জুড়ে তোমার কথা লিখি,
একটা ভীষণ সাদামাটা বেলকোনিতে, তোমার ভীষণ ব্যস্ত ফোন কলের প্রতীক্ষাতে,
কিংবা ভেসে আসে, মেসেজের টুংটাং মুঠোফোন জুড়ে,
আমার চোখের জল হাসে, তোমার ক্লান্ত মুখের মায়ার টানে ভেসে;
কিন্তু হঠাত্ জানালার কার্নিশের সেই নিঃসঙ্গ পাখি, বলে আমায় ডাকি,
তুমিও তো একলা ভীষণ, তোমার কথা তার হৃদয় কি কয়?
তবু কেন বিভ্রম তোমার হয়? ওর মত ব্যথা বল কে তোমারে দেয়?
রোজ সন্ধ্যেয় চায়ের কাপের ধোয়ায়, আমার চুল যদি খেলতো তোমার আঙুল ছোঁয়ায়!
কিন্তু হঠাত্ সন্ধ্যে তারা, আমার চোখের জলে একলা ছোটে বড্ড বাঁধনহারা,
সে আমারে কয়, ওর মত ব্যথা বল কে তোমারে দেয়?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬