একটা বুড়ো বট গাছ পথের ধারে শত বছর ধরে সেই যে একা
দাঁড়িয়ে.......! একা দাঁড়িয়ে আছে তো আছেই, হুম সে একা একাই
দাঁড়িয়ে আছে......! একা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে সে আজ বড্ড
কান্ত-পরিশ্রান্ত, তাঁর বয়স বাড়ছে আর বাড়ছে
একাকিত্ব.........!
তাঁর আশেপাশে নেই অন্য কোন গাছ, কোন গ্রাম-গঞ্জ, হাট-
বাজার......! আছে শুধু ধুধু প্রান্তর আর একাকিত্বের দরুন
পিষণ......!
তাঁর ডালে ভুলক্রমে বসেনা কোন দিকহারা পাখি, গ্রীষ্মের
তপ্ত দুপুরে তাঁর ছায়ায় দাঁড়ায় না কোন দূরপথের পথিক অথবা
কোন আত্মভোলা রাখাল তাঁর শিকড়ে বসে বাজায় না কোন
বাঁশি, তাঁর কাধে চরে হইহুল্লোড় করেনা কোন দুষ্ট গ্রাম্য
ছেলের দল, তারা শুনেছে পুরনো বটগাছটায় নাকি ভুত
আছে...........!
বুড়ো বট আকাশের সাথে কথা বলে কিন্তু আকাশ তাঁর কথায়
সাড়া দেয়না, বাতাসের সাথে কথা বলে কিন্তু বাতাস তাঁর
নিজ মনে বয়ে যায়। বাতাসের সময়ই বা কই তাঁর সাথে কথা
বলার....... সে ঘাসেদের সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করে
কিন্তু ঘাসেরা নিজেদের তুচ্ছ মনে করে তাঁর সাথে ভাব
জমায় না...........!
এতে বুড়ো বট ভীষণ কষ্ট পায়, তাঁর যে ভিষন একা লাগে,
ভীষন একা.......! তাঁর এতোই একা লাগে যে মাঝে মাঝে মরে
যেতে ইচ্ছে করে, কোন কালবৈশাখী ঝড়ে দুমড়ে-মুচড়ে-উপরে
যেতে ইচ্ছে করে.......!
কিন্তু না পারে না সে নিজ থেকে মরতে, কোন কালবৈশাখী
ঝড়ও তাকে দুমড়ে-মুচড়ে-উপরে ফেলে না.....! হয়তো
কালবৈশাখী ঝড় তাঁর একাকিত্বকে উপহাস করে ভেংচি কেটে
তাকে বিনাশ করেনা নয়তো অন্যকিছু...............!
এভাবেই বুড়ো বট গাছটি বেঁচে থাকে সহস্র বছর এবং থাকে
তাঁর একাকিত্ব ও ভুতুড়ে কলঙ্কের ছাপ............!