অসহ্য গরম। রাতেও ঘর থেকে বের হলে শরীর পুড়ে যায়।শরীর জ্বলে যাচ্ছে।বাতাসটাও কেমন যেনো ভয়াবহ গরম।
পুরো শহর যেনো একটি সচল ওভেন হয়ে দাড়িয়েছে,
শৈশবের কথা মনে পড়ছে ভিষন।
গ্রামে এমন গরম দেখি নি ভর চৈত্র-বৈশাখেও।
দপ্তর দীঘি স্কুলের ভুতুড়ে আম গাছটির নিচে শুয়ে বসে সময় কাটিয়েছি অলস উদাস দুপুর।
আম পাতার চড়কি বানিয়ে বাতাসে ঘুড়িয়েছি।
দখিনা বাতাস প্রচণ্ড বেগে সব যেনো উড়ায়ে নিয়ে যেতে চায়। কি শীতল ছিলো আগত বাতাস।
যখন তখন কাঁচা আমের ভর্তার অমৃত স্বাদ নেই।
কখনও ঝিনুক দিয়ে পাতলা করে কেটে লবন আর পোড়া মরিচ ঘষে খেয়ে ফেলি। থোকা থোকা কালো জাম মসজিদের বড় গাছটায় দেখা যায়। তার সুখও কম নয়। মাঝে মাঝে সঙ্গীর খুঁজে মায়া ভরা ঘুঘুর ডাক।
ঝিঁঝিঁ পোকার বিরামহীন ক্লান্তিহীন কোন অজানায় বসে রহস্যময় ডাকতে থাকা। প্রেয়সীকে আকৃষ্ট করতে কোকিলের মিষ্টি সুর বুকের কোথায় জানি প্রেম জাগায়। সব মিলিয়ে গরমকালও যেনো অন্যরকম
উপভোগ্য ছিলো।
সেই দিন কি আর ফিরে আসবে না?
সেই সুখ কি কখনও আর পাবো না?
প্রতি বছরই যেনো গরম বাড়ছে। পুকুর কমছে।
গাছ কমছে। কংক্রিটের রাস্তা প্রশস্ত হচ্ছে। দালান কোঠা পাল্লা ধরে বেড়ে চলেছে। কিন্তু প্রকৃতির উন্নতি সাধন কই? একদিন সব যাবে। সব উন্নতি দগ্ধ হবে। কাতারে কাতারে মানুষ হারিয়ে যাবে। বৈরী পরিবেশ কখনও বলে কয়ে আসে না। কখনও একচুলও ছাড় দেয় না।
ঠিক সময় মত কড়ায় গণ্ডায় সমস্ত সুদসহ হিসেব বুঝে নেয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫