এই বদ্ধ ঘরে আমার দম বন্ধ আসে!
সারাদিন পরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে যখন নীড়ে ফিরি,
চারদিক কেবল শূন্যতা আর শূন্যতা!
কোথাও যেন কেউ নেই,জীবন যুদ্ধে নিজেকে এক আপাদমস্তক ব্যর্থ সৈনিকের ন্যায় আবিষ্কার করি!
এদিকে দিন যায়,মাস যায়;অথচ কেউ জানে না-আমি ভালো নেই!
এই অন্ধকার ঘরে আমার ভীষণ ভয় লাগে!
জীবিত হয়েও মনে হয় মৃত হয়ে পড়ে আছি কোথাও!
চিৎকার করে ডাকি,কেউ সাড়া দেয় না!
কেউ আলো নিয়ে এ ঘরটাতে আসে না!
হয়তো আমার ডাক কারো কান অবধি পৌঁছায় না।
এই জনস্রোতে আমার নিজেকে বড্ড একা লাগে!
চারদিকে কতশত মানুষ, তবুও যেন কেউ নেই আমার!
পরিচিত মুখও বড্ড অচেনা লাগে,দেখা হলেই কুশল বিনিময় করে পাশ কাটিয়ে চলে যায় যে যার ঠিকানায়।
একটু বলা হয় না,“টং এর দোকানে বসে কারো সাথে একটু গল্প করতে ইচ্ছে করে।
ইচ্ছে করে চিৎকার করে তাকে বলি,“আমি যে ভালো নেই!”
কিন্তু কে শুনবে আমার কথা?কে চায়ের কাপে আড্ডা দিবে আমার মতো নগন্য মানুষের সাথে?
কারো শোনার সময় হয় না!আমি ভালো নেই শুনে,আমার জন্য হায়-হুতাশ কিংবা আক্ষেপ করার মতো কেউ নেই এই পৃথিবীতে!
এদিকে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়,দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা।আবার সেই অন্ধকার ঘরে ফেরার পালা!
ফিরে আসি সেই চিরচেনা ঘরে।সবকিছু অগোছালো,অপরিষ্কার,
নোংরা ঘরে ঢুকতেই দম বন্ধ হয়ে আসে আমার!
ময়লায় কুচকুচে কালো হয়ে যাওয়া বিছানার চাদরটা সরিয়ে,নোংরা বালিশটা সিথানে দিয়ে দুচোখ বন্ধ করতেই দেখি;চারদিকে কেমন অন্ধকার,মনে হয় এই বুঝি আমি আর নেই পৃথিবীতে!