বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ বার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরষ্কার জিতেছেন তিনি। তিনিই বর্তমানে অনেক নবীন ফুটবলারের আইডলও। বলছি পর্তুগীজ সুপার স্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি, আজকের দিনেই রোনালদো জন্ম নিয়েছিলেন পৃথিবীর বুকে।
১৯৮৫ সালের আজকের এই দিনে জন্মেছিলেন এ সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়, পর্তুগিজ রাজপুত্র ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।ছোটবেলায় ছিলেন অত্যন্ত গোবেচারা, নিরীহ প্রকৃতির। শৈশবে সমবয়সী নয়, খেলতে পছন্দ করতেন বড়দের সঙ্গে। মা না ডাকা পর্যন্ত ফুটবল নিয়েই মেতে থাকতেন খেলার মাঠে।
স্বদেশী ক্লাব এনডোরিনহা, নেসিওনাল ও স্পোর্টিং সিপি হয়ে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছেন তিনি। ২০০৩ সালে আঠারো বছর বয়সে প্রথম পর্তুগিজ ফুটবলার হিসেবে ১২ মিলিয়ন পাউন্ডে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় ২০০৮ সালে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন রোনালদো। এ সময়ে ম্যানইউ তিনটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতে। ম্যানইউয়ের জার্সিতে ছয় মৌসুমে ২৯২ ম্যাচে ১১৮ গোল করেন তিনি।
২০০৯ সালে রেকর্ড ৮০ মিলিয়ন পাউন্ডে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন রোনালদো। ৪৩৮ ম্যাচে ৪৫০টি গোল করেন তিনি। রিয়ালের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি তাঁর দখলে। স্প্যানিশ ক্লাবটির জার্সিতে চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ মোটটি ১৫টি শিরোপা জেতেন তিনি।
চলতি মৌসুমে জুভেন্টাসের মতো বড় ক্লাবে ৩৩ বছর বয়সে ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে যোগ দিয়ে সবাইকে অবাক করেছেন তিনি। কারণ এতো বেশি বয়সে এতো দামে আর কোনো ফুটবলার কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারেননি এর আগে। এটিও একটি বিশ্ব রেকর্ড এই রেকর্ডের বরপুত্রের জন্য। ইতালিয়ান ক্লাবটিতে তার পার্ফর্মেন্সও অসাধারণ। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এই পর্যন্ত ৩০ ম্যাচে ১৯ গোল করেছেন। ২২ ম্যাচে ১৭ গোল করে সিরি আ’র সর্বোচ্চ গোল দাতা এখন সিআর সেভেন।
আরও খেলার নিউজ পড়ুন: বিডি স্পোর্টস নিউজ
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬