ঢাকা, চিটাগংয়ের পর এবার সিলেটের বিপক্ষে হেরে টানা তিন ম্যাচ হারল মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। সিলেটের দেওয়া ১৮৭ রানের জবাবে ১৬০ রানে শেষ হলো ঢাকার ইনিংস। ষষ্ঠ ম্যাচে এটি রংপুরের চতুর্থ হার। তবে টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেল সিলেট।
সিলেটের দেওয়া ১৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের শুরুটা ছিল ভয়ংকর। দলীয় ১১ রানের মাথায় পর পর ফিরে যান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। এ সময় মারুফ (৩), গেইল (৭) ও হেলস (০) রান নিয়ে প্যাভিলনে ফিরে যান। যেখানে গেইলের উইকেটটি তারভির ছাড়া অন্য দুই ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে মেহেদি হাসান রানা।
চতুর্থ উইকেটে রংপুরের হয়ে সেই চাপ তুরি মেরে উরিয়ে দেন মিঠুন ও রুশো। এই দুই ব্যাটসম্যানের মারমুখি ব্যাটিংয়ে ভর করে ৬ ওভার শেষে রংপুরের স্কোর দাড়ায় ৬২ রান। এখন সাথে তারা ২১ বল থেকে তুলে নেন অর্ধশত রানের জুটি।
১০ ওভারে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ৮৮ রান। যেখানে রুশো ২৭ বল থেকে তার অর্ধশতক পূরণ করেন। ইনিসের ১১তম ওভারে রংপুরের স্কোর তিন অংকে পৌঁছায়। এর পরেই সিলেট শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন তাসকিন। তার করা ১২তম ওভারের প্রথম বলেই রুশোর উইকেট ভাঙেন তিনি। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩২ বল থেকে ৫৮ রান নিয়ে প্যাভিলনে ফিরে যান তিনি।
পঞ্চম উইকেটে মিথূনকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন মাশরাফি। তিনি ও মিঠুন দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হন মিঠুন। ৫টি চারের মারে ২৯ বল থেকে ৩৫ রান করে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিঠুন। মিঠুনের বিদায়ের পর ক্রমশ ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে থাকে রংপুর। নির্ধারীত ওভার শেষে মাশরাফি ২৭ বল থেকে ৩৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকলেও তা ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানে শেষ হয় রংপুরে ইনিংষ। সিলেট জয় পায় ২৭ রানে।
সিলেটের হয়ে এদিন তাসকিন ৩৪ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। রানা ৪০ রানে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন লামিচানে ও সোহেন তানভির।
ছয় ম্যাচে ২টি জয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে থালক রংপুর। পাঁচ ম্যাচে ২টি জয় নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে জায়গা হলো সিলেটের
সূত্র: বিডি স্পোর্টস নিউজ
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১০