মার্শাল আইয়ুব আর প্রথমবারের মতো রাজশাহীর স্কোয়াডে চান্স পাওয়া শাহরিয়ার নাফিসের ৫০ রানের জুটিও রাজশাহীর শিবিরে স্বস্তির নিশ্বাস এনে দিতে পেরেছিলোনা। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৬ রানেই শেষ হয়ে যায় রাজশাহীর ইনিংস। সবার ধারণা ছিল এতো অল্প রানে ঢাকার সামনে মাথা উঁচু করেই দাঁড়াতেই পারবেনা রাজশাহী কিংস।
কিন্তু, আরাফাত সানী আর মিরাজের বিদ্ধংসী বোলিং দিয়ে সহজ জয়ের স্বপ্নে বিভোর মহাপরাক্রমশালী ঢাকাকে যেন মাটিতে নামিয়ে আনলো রাজশাহী। সম্পূর্ণ ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৬ রান তুলতে পেরেছে ঢাকা।
চার ম্যাচ পর বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে প্রথমবার হারের মুখ দেখলো সাকিবের ঢাকা ডায়নাইমাইটস। রাজশাহী জয় পেল ২০ রানে। চলতি আসরে এটি রাজশাহীর ষষ্ঠ ম্যাচে তৃতীয় জয়।
সিলেটের মাঠে ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ১১ রানের মাথায় নারিনের উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর দলীয় ২৩ রানে জাজাই (৬) ও রাসেলের (১১) উইকেট হারায় তারা।
চতুর্থ উইকেট সাকিব ও রনি তালুকদার সেই ধাক্কা সালে উঠার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৪৯ রানে অধিনায়ক সাকিবের উইকেট হারায় ঢাকা। ১৮ বল থেকে ১৩ রান করে সানির শিকার হন তিনি।
৪ রানের ব্যবধানে অন্য সেট ব্যাটসম্যান রনিও প্যাভিলনের পথ ধরেন। ২৬ বল থেকে ১৪ রান করে সানির দ্বিতীয় শিকারেন পরিণত হন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেট নাইম শেখ ও সোহান দলকে টেনে তোলার চেষ্টায় আবার ব্যর্থ হন। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় ১৭ রান নিয়ে মিরাজের বলে নাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাইম। এরপর দলীয় ৮৫ রানে পেলার্ড ও ৮৭ রানে রুবেল রান আউটি হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ১৯ বল থেকে ১৩ রান করে রাব্বির বলে আউট হন পোলার্ড।
এরপর শেষ দিকে সোহান কিছুটা মারমুখি ব্যাটিং করলেও তার আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়াটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ঢাকার। ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ১৪ বল থেকে ২১ রান নিয়ে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সোহান। ঢাকার ইনিংস শেষ হয় ৯ উইকেটে ১১৬ রানে।
রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৩টি উইকে নেন ইলিয়াস সানি। মিরাজ নেন ২টি উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ, রাব্বী ও উদানা।
৩১ বল থেকে ৪৫ রানের অনবদ্দ ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন মার্শাল আইয়ুব।
সূত্র: বিডি স্পোর্টস নিউজ
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২১