৭ই মার্চে আমার বাবা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই বানীতে শেখ হাসিনা। ২৫শে মার্চ শেখ মুজিব গ্রেফতার। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস। সত্য সদা সত্য।
বহুল অপপ্রচারকৃত মিথ্যাচার থেকে এইবার আওয়ামীলীগ পিছু হটল তবে ভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে। এখানেও যে সফল হবে না সেটাই সত্য। ৭ই মার্চ ভাষণ একটি ঐতিহাসিক ভাষণ তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কিছু নীতিভ্রষ্ট লোকজন ২৬শে মার্চ যেন মেজর জিয়াকে গৌরবান্বিত না করে তাই ক্রমাগত মিথ্যা বলা শুরু করল যে ৭ই মার্চ শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন কেন আমরা ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করি। আওয়ামীলীগ আবার অপপ্রচার শুরু করল। তবে এইবার শেখ হাসিনা ৭ই মার্চ নিয়ে এক অনুষ্ঠানে খোলামেলা আলোচনায় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলে ফেললেন শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা করেননি।
সিরাজুল আলম খান সহ কিছু ছাত্রনেতা শেখ মুজিব কে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং পরে স্বাধীনতার ঘোষণা না দেওয়ায় তাঁরা জনগণের হতাশার কথা বলেন। বক্তব্যে হাসিনা বলেন, “ ওইদিন সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছি। তখনই দেখি সিরাজুল আলম খানসহ আমাদের কয়েকজন ছাত্র নেতা… সিরাজুল আলম খান বলছেন, ‘লিডার কী করলেন? আপনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে আসলেন না? মানুষ সব ফ্রাস্টেটেড হয়ে চলে গেছে’।
এতে শেখ হাসিনা নিজে সেই সময় সিরাজুল আলম সহ ঐ ছাত্রনেতাদের মিথ্যাবাদি বলে তর্ক করেন। এবং শেখ হাসিনা বলেন ৭৫ হত্যাকাণ্ড নাকি ঐ দিনের ষড়যন্ত্র।
শেখ হাসিনা আলোচনা সভায় আরও বলে
মাথার উপর হেলিকাপ্টারে অনেক বোমা নিয়ে এসেছিল পাকিস্তান তাই যখনই ঘোষণা দেবে, তারা বোমা মেরে ব্রাশ ফায়ার করবে। জালিয়ানওয়ালাবাগে (ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগের সমাবেশে ব্রিটিশ বাহিনীর হত্যাকাণ্ড) যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী করত। আর কোনোদিন যেন আন্দোলন মাথাচাড়া দিতে না পারে।” এই কারণে শেখ মুজিব কোন দিন দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেনি।
৭ই মার্চ শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। ২৫শে মার্চ রাতে গ্রেফতার। আমরা ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করি কিন্তু কেন আওয়ামীলীগ মেজর জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক মেনে নিতে পারেন না? আওয়ামীলীগ শুধু ঘৃণ্য রাজনীতির পথে চলে তাই সত্য মেনে নিতে পারেনা।
ধন্যবাদ জানাই হাসিনাকে অন্তত মুখ ফস্কে হোক অথবা আবেগে হোক সত্য বলার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭