কি-বোর্ড কাছে টেনে নিয়েছিলাম নতুন প্রস্তাবিত কালা-কানুনের খসড়া নিয়ে দু'চারটা মনের কথা বলার জন্য। লিখতে শুরু করে মনে হলো, এটা নিয়ে অনেকেই লিখছেন। সামনেও লিখবেন। আমি বরং বিষয়টাকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে দেখার চেষ্টা করি।
যে কারো যে কোনও সিদ্ধান্তের পিছনে একটা কার্যকারণ থাকে। শাসক গোষ্ঠির জন্য এটা আরো বড় সত্য। সেটা সমস্যা না। সমস্যা হলো, স্বৈরশাসকদের নিয়ে। স্বৈরশাসকগন যা কিছু করে, দিন শেষে এটা বেশীরভাগ সময়েই জনগনের বিপক্ষে যায়। এদের করা যে কোনও আইন-কানুন সবই পরিচালিত হয় বিরোধী মত ও পথ দমনে, সে যতোই সঠিক আর যুক্তিনির্ভরই হোক না কেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি স্বৈরশাসনের বিপক্ষে না, যদি সেটা জনকল্যানমূলক লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। পৃথিবীতে এর অনেক উদাহরন খুজলে পাওয়া যাবে। যে কোনও শাসক, সে স্বৈরশাসকই হোক......জনগণের মৌলিক চাহিদা যদি পূরণ করতে পারে, তাহলে মন্দ কি? অনেকে বলবেন, স্বৈরশাসকদের ভালো দিক দু'চারটা থাকলেও এটার মন্দ দিকই অনেক বেশী। সেটা অবশ্য অন্য বিতর্ক। সেটা এড়িয়ে বরং আমি আমার বিষয়ে ফোকাসড থাকি।
হ্যা, যেটা বলতে চেয়েছিলাম! সাধারন জনগণ ক্ষমতার মার-প্যাচ নিয়ে অতোটা মাথা ঘামায় না। কে ক্ষমতায় আসলো, আর কে গেল…...সেটা তাদের চিন্তা-ভাবনার মূল বিষয়বস্তু না। তারা যদি খাওয়া-পড়া ঠিকমতো পায়, সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তাটা যদি পায়, আর বাকী মৌলিক চাহিদাগুলো ঠিকঠাক মতো পূরণ করতে পারে, তাহলেই খুশী থাকে। খুবই সাধারন চাহিদা, তাই না!! এটা নিশ্চিত করা কিন্তু খুব কঠিন কিছু না, সে যে কোনও ধরনের শাসকই হোক না কেন। এর ব্যত্যয় হলেই তারা ফুসে ওঠে, প্রতিবাদ জানায় আর দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে রাস্তায় নেমে আসে।
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল ২০১৮ সালে, নির্বাচনের আগে। এবার ২০২২ সালে আবার নতুন আইন করার পায়তাড়া হচ্ছে ২০২৩ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলানো কি খুবই কঠিন? সাধারন, নিরীহ নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়ার সদিচ্ছা যদি সরকারের থাকে, তাহলে কিন্তু বিদ্যমান আইনের সঠিক আর যথাযথ প্রয়োগই যথেষ্ট। এর জন্য প্রতিটা নির্বাচনের আগে কঠিনতর আইন বানানোর প্রয়োজন পড়ে না, যদি না দমন-পীড়নের ধান্ধা সরকারের থাকে! এর একটাই মানে দাড়ায়, সরকার জানে যে তারা যা করছে বা করতে যাচ্ছে, সেটা ঠিক না। বেঠিক জিনিসের প্রতিবাদ সমাজে হবেই। সেটাকে ঠান্ডা করার জন্য ডান্ডা আগের থেকেই তৈরী রাখার এই যে নীতি, এটা কোন জনকল্যানমুখী সরকারের নীতি হতে পারে না।
আরেকটা বিষয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। আধুনিক এবং সমসাময়িক ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, যে কোনও আন্দোলন সংগঠিত এবং সংঘটিত করার জন্য অনলাইন এখন একটা কার্যকর মাধ্যম। কাজেই এটাকে কব্জায় রাখাটা শাসকদের জন্য খুবই জরুরী। সরকার কেন আন্দোলনের ভয় করছে? করছে, কারন শ্রীলঙ্কান সরকারের পরিণতি তাদের চোখের সামনে। পতিত সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী গণপিটুনি খেয়ে যেভাবে অন্তর্বাস পড়ে পাগলের মতো রাস্তায় হাটছে, ভেজা পশ্চাদ্দেশ যেভাবে প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে, তাতে যে কোনও অপকর্ম করা শাসকের অন্তরাত্মা কাপতে বাধ্য। জনতার পিটুনি আর ধাওয়া খেয়ে একজন সাংসদ যদি পানিতে ঝাপিয়ে পড়তে বাধ্য হয় কিংবা বাধ্য হয় আত্মহত্যা করতে; আর সেসব দেখে আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠির মধ্যে যারা অপকর্ম করে লাল হয়ে গিয়েছে, তারা কাপড় নষ্ট করে ফেললে কিন্তু আপনি দোষ দিতে পারেন না। তবে কথা হলো, একটা জনবান্ধব সরকার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সরকারে যেসকল ব্যক্তিবর্গ আছে, তারা এমন ভয় পাবে কেন? বিষয়টা ''চোরের মন পুলিশ পুলিশ'' এর মতো হয়ে গেল না!!! সেইজন্য আগেভাগেই জনগণের কন্ঠরোধ করার এই পরিকল্পনা।
যে যতো যাই বলুক না কেন, পাচ-দশ বছর আগের শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির সাথে বর্তমান আমাদের অনেক মিল আছে। এক সময়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দক্ষিন এশিয়ার রোল মডেল ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সেটা এখন সুখ-স্মৃতি। স্বজন-প্রীতি, দূর্ণীতি আর নেতাদের অদূরদর্শী নীতির কারনে দেউলিয়া তারা। ''স্বজন-প্রীতি, দূর্ণীতি আর নেতাদের অদূরদর্শী নীতি'' শব্দগুলো কেমন পরিচিত মনে হয় না? মনে করেন, আজ থেকে ৫ বছর আগে কেউ যদি শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীকে তাদের ভবিষ্যত সমস্যার কথা বলতো (শুনেছি, কেউ কেউ বলেছিলেনও), তাদের উত্তর কি হতো? ঠিক বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর মতো, তাই না? শ্রীলঙ্কান জনতা প্রথমে কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ করছিল। কিন্তু সরকারের সমর্থকরা যখন তাদের উপরে হামলা করলো, তখনই তারা মারমুখী হয়ে গেল। আমাদের হেলমেট বাহিনীর সাথে মিল আছে না!!! এই যে, সরকারের সমালোচনাকে, তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে অন্যায়কে দমন-পীড়নের জন্য কালা-কানুন আর সন্ত্রাসী বাহিনীর ব্যবহার করতে হয়…...কেন? অপকর্ম না করলেই তো হয়!!
আমাদের রাজনীতিবিদদের বুঝতে হবে, আমলাতান্ত্রিক সরকার কখনও জনবান্ধব সরকার হতে পারে না। আমলারা সাধারন জনগনকে নীচু জাতের মনে করে; সহজভাবে বললে, প্রজা মনে করে। কাজেই পরিস্থিতিকে সঠিক ধারায় পরিচালনা করার জন্য রাজনীতিবিদদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
তাহলে রাজনীতিবিদদের করণীয় কি? সেটাই বলার চেষ্টা করি খানিকটা। আগামী নির্বাচনে (???) আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসবে, সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। সেটা মাথায় রেখে তাদের অনতিবিলম্বে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত। একজন দক্ষ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানারের কাজ হলো, সবচেয়ে খারাপ অবস্থাটা বিবেচনায় এনে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করা। কাজেই সরকারকে ধরে নিতে হবে, আগামী পাচ বছরের মধ্যে আমরা শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছি। সেটা রোধ করার জন্য একটা নতুন দমন-মূলক আইন করার দিকে মনোযোগ না দিয়ে তাদের মনোযোগ দিতে হবে একটা কার্যকর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পরিকল্পনা প্রণয়নের দিকে।
সেই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পরিকল্পনাতে কি কি বিষয় সরকারের মাথায় রাখতে হবে? একে একে বলার চেষ্টা করি। কোন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বাদ পড়লে আপনারা তো আছেনই।
১. জনগণের কন্ঠরোধ না করা, গঠনমূলক সমালোচনাকে পজিটিভলি নেয়া। ২০২০ এর ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশান স্কোরে পাকিস্তানের অবস্থান আমাদের চাইতে ভালো। এমনকি ব্লগে বহুল আলোচিত উগান্ডাও আমাদের উপরে। এখন এই প্রস্তাবিত নতুন আইনের লক্ষ্য সম্ভবতঃ নীচের দিক থেকে এক নাম্বারে থাকা উত্তর কোরিয়ার স্থান দখল করা। কে না জানে, এক নাম্বার অবস্থানের প্রতি আমাদের মন্ত্রী-আমলাদের একটা ফ্যাসিনেশান আছে!! তবে, এই জাতীয় মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে।
২. দূর্ণীতি বন্ধে সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে। দূর্ণীতির মাধ্যমে হাতানো হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে প্রতি নিয়ত, সেটা ঠেকানো অত্যন্ত জরুরী। তথ্য মতে, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে যা দিয়ে আমরা প্রতি বছরে কোন রকমের বৈদেশিক ঋণ ছাড়া সম্পূর্ণ নিজেদের টাকায় দুই দুইটা পদ্মা সেতু করার পরও আরও ৪ হাজার কোটি টাকা হাতে থাকে!!! ভয়াবহতা বোঝানোর জন্য আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে?
৩. শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাতগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করা। দেশের টেকসই উন্নয়নে 'কু' নয়, সু-শিক্ষিত জনগোষ্ঠির কোন বিকল্প নাই। তাছাড়া, সবার জন্য সার্টিফিকেট-নির্ভর উচ্চ শিক্ষার কথা না ভেবে ডিপ্লোমা-নির্ভর স্কিলড ফোর্স তৈরী করতে হবে; যার জন্য প্রতিটা জেলায় একটা করে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বহুমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা জরুরী। মনে রাখতে হবে, উন্নত বিশ্বে আগামী দিনগুলোতে তরুণ জনশক্তি ক্রমাগত হ্রাস পাবে। সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য এখনই তৈরী হওয়া দরকার। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি। দেশে আসতে আমি সব সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ট্রানজিট নেই। সেখানকার এয়ারপোর্টগুলোতে ক্লিনার পদে প্রচুর বাংলাদেশী দেখি। অথচ ভারতীয়দের দেখি বিভিন্ন বিমান সংস্থায় বা এয়ারপোর্টের অন্যান্য ভালো ভালো কাজে। সরকারকে বুঝতে হবে, একজন দক্ষ কর্মী একজন অদক্ষ কর্মীর চাইতে কমপক্ষে পাচ গুন বেশী রেমিটেন্স দেশে পাঠাতে পারে।
৪. নতুন, কম প্রয়োজনীয় মেগা প্রজেক্ট অনতিবিলম্বে বন্ধ করা। একটা উদাহরন দেই। ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ঢাকায় মেট্রো রেল প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষের পথে। এটা শেষ না হতেই ভাবা হচ্ছে পাতাল রেলের কথা। তিন ধাপে এই মেগা'র বাপ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার প্রস্তাবনায় প্রথম ধাপেই খরচ হবে সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। আর মোট ব্যয় হবে, ৯ লক্ষ কোটি টাকা। কাজ শুরু হলে ব্যয় বৃদ্ধি হয়ে কতো লক্ষ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে সেটা উপরে মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আপাততঃ কেউ জানে না। অথচ এখন পর্যন্ত যা করা হয়েছে তার সাথে যদি নিয়ম-শৃংখলার যথাযথ প্রয়োগের মিশ্রণ হয়, তাহলেই ঢাকার যানজট বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরনের একটা সমন্বিত পরিকল্পনার বাস্তবায়নও খুবই কার্যকর এই ব্যাপারে। নীচে এটা নিয়ে আরো আলাপ করেছি।
৫. ঝুকি এড়াতে দেশ হিসাবে বাংলাদেশের পোর্টফোলিও ডাইভার্সিফিকেশান জরুরী। শ্রীলঙ্কার মূল নির্ভরতা ছিল পর্যটন খাত। সেটা ধ্বসে পড়া তাদের এই দূর্গতির অন্যতম কারন। আমাদের মূল নির্ভরতা গার্মেন্টস আর রেমিট্যান্স। এই দু'টার উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে পাট, চামড়া, চা, আউটসোর্সিং, পর্যটন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ইত্যাদি খাতগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া আর নতুন নতুন সম্ভাবনাময় খাতকে সনাক্ত করে প্রণোদনা দেয়া......এই দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে।
৬. চিকিৎসা খাত অত্যন্ত হতাশাজনক অবস্থায় আছে। যথাযথ চিকিৎসাহীন অসুস্থ একটা জাতির কাছ থেকে বেশী কিছু আশা করা যায় না। এই বিষয়ে সরকারকে কোন মেগা প্রজেক্ট নিতেও দেখা যায় না। যে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সক্ষম জনগোষ্ঠি দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা রাখতে পারে না; সেখানে আম-জনতার কি দূর্গতি, তা তো বলাই বাহুল্য! অথচ সু-চিকিৎসার নিশ্চয়তা পাওয়া জনগনের মৌলিক অধিকার।
৭. ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ। এই নিয়ে বেশী কিছু না বলে একটা উদাহরন দেই। বৃটেনের সুপারমার্কেট চেইন টেসকো'র অবস্থান বিশ্বের ৬ নাম্বারে। এই সুবিশাল কোম্পানীর হেড অফিস ইংল্যান্ডের ওয়েলিন গার্ডেন সিটিতে। আমি মোটামুটি নিশ্চিত, আপনারা অনেকেই এই শহরের নাম এই প্রথম শুনলেন। কেন? তাদের কি লন্ডনে প্রধান কার্যালয় করার সামর্থ্য নাই? দেশ ডিজিটাল হলে যে কোনও জায়গা থেকেই কাজ করা সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশে কেন সবকিছু ঢাকায় হতে হবে? বিশেষজ্ঞদের মতামত, ঢাকা ইতোমধ্যেই বসবাসের অযোগ্য নগরীতে পরিনত হয়েছে। এর উপর থেকে চাপ কমানোর কোন বিকল্প নাই। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করলে ঢাকা-কেন্দ্রিক অনেক মেগা প্রোজেক্ট হাতে নেয়ারই প্রয়োজন পড়তো না।
বর্তমানে আমাদের দেশে একদিকে আমদানির চাপ বাড়ছে, মেগা-প্রোজেক্টের কারনে ঋণ বাড়ছে, অন্যদিকে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।। এটা একটা অশণি সংকেত। আমাদের সরকারের নেয়া বিভিন্ন ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় যখন আসবে, পরিস্থিতি আরো প্রকট আকার ধারণ করার সমূহ সম্ভাবনা আছে। এর থেকে উত্তোরনের জন্য এই ৭ দফা'র বাস্তবায়নে দ্রুততম সময়ে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই।
কলম্বো-ভিত্তিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এডভোক্যাটা ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান মুর্তাজা জাফারজি বলেছেন, শ্রীলঙ্কার এই পরিণতির জন্য দায়ী ৩০ শতাংশ দূর্ভাগ্য আর ৭০ ভাগ অব্যবস্থাপনা। বিগত বছরগুলোতে বিদেশী ঋণদাতাদের কাছ থেকে বিশাল পরিমান ঋণ করা হয়েছে, কোন রকমের চিন্তা-ভাবনা না করেই।
আমি বলবো, রাজনৈতিক নেতাদের দূরদর্শীতা থাকলে এই ৩০ ভাগকেও মোকাবেলা করা যায়। ৭০ ভাগের কথা তো বাদই দিলাম!!
রাজনীতিবিদ আর আমলাদের বলছি। দেশকে, দেশের জনগনকে ভালোবাসুন। নিশ্চিত থাকেন, জনগন সেই ভালোবাসা শতগুনে আপনাদের ফিরিয়ে দিবে। আপনাদের অবস্থা কখনও শ্রীলঙ্কার শাসকদের মতো হবে না। নয়তো বিশ্বাস করেন……..আপনাদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
মহাকালের ধর্মই হলো, মহাকাল কখনও কাউকে ক্ষমা করে না।
ছবিঃ ভোরের কাগজের সৌজন্যে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১০