এই সরকারের আমলে “শান্তির মায়” গুম হইয়া গিয়াছে বলিয়া লোকমুখে শুনিয়াছি। তাইতো আজকাল ঘরে ঘরে অশান্তি বিরাজ করিতেছে। এক ঘর আরেক ঘরের কথা শুনিতে পারে না, কেবল ব্যাথা দিয়া পালাইয়া যায়। ক্ষনিক আগে শুনিতে পারিলাম শান্তির বাপকে নাকি মেঘালয়ের মানসিক হাসপাতালে বহুকাল পরে দেখিতে পাওয়া গিয়াছে। তিনি কি শান্তির মায়ের গুমের খবরে নিজেই গুম হইয়া সরকারের ঘুম হারাম করিলেন, না কি শান্তিকে জন্মদিতে না পারিয়া নিজেই মানসিক রোগী হইবার প্রয়াস করিলেন। তিনিতো অনেক অগ্নিযঞ্জ পালন করিয়াও শান্তির মাকে নিজ সমাজে, সংসারে ফিরাইতে ব্যার্থ হইলেন, শান্তিও আসিল না, আর পরিবেনই বা কি করিয়া সরকারের “প” বর্গীয় লোকেদের শাসনে তাহার আসন হারাইয়া গিয়াছে কবে! শুধু বসনটাই বাকি রহিয়াছে। যাই হোক আমি ছোট মানুষ বড়দের মুখে শুনিয়াছি ভূটানে শান্তির মা কে সচারাচর দেখিতে পাওয়া যায়, আমার মাথায় ধরিতেছে না শান্তির বাপ এত বড় মানুষ হইয়াও কি করিয়া এত বড় ভূল করিলেন, উনি ভূটানের পরিবর্তে মেঘালয়ের মানসিক হাসপাতালে গিয়া পড়িলেন। যাই হোক,এত দিন মানসিক হাসপাতালে থাকিয়া যদি মানসিক স্থিতি একটু পরিবর্তন হইয়া থাকে তবে তিনি বুঝিবেন, ভূটান হইতে কোন মতে ভোলাইয়া ভালাইয়া, কামরীপু জাগ্রত করিয়া ফের “শান্তির মা” কে আনিয়া সংসারে ঢুকানো যাইলে আবার শান্তি জন্ম নিবে বলিয়া আমার বোধ হইতেছে। কিন্তু তাহা না করিয়া আবার অগ্নিযঞ্জ পালন করিলে এইবার সংসারে শান্তির “শ” টিকিয়া থাকিবে বলিয়া বোধ হইতেছে না।
(এই লেখাটি রম্য ভঙ্গিতে লেখা, শান্তিকামী সাধারন মানুষে জন্য ; কোন রাজনৈতিক রূপ দেয়া ঠিক হবে না)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৯