আমাদের দেশে হরেক রকমের সংগঠন আছে। রাজনৈতিক সংগঠন, শ্রমজীবী সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ীদের সংগঠন, ব্যাংকারদের সংগঠন, বীমা কোম্পানির সংগঠন, এনজিওদের সংগঠন, অফিসারদের সংগঠন, সাংবাদিকদের সংগঠন, খেলোয়ারদের সংগঠন ইত্যাদি। কিন্তু উদ্যোক্তাদের তেমনভাবে সংগঠিত কোনো সংগঠন নেই। অথচ উদ্যোক্তাদের সংগঠন জরুরি।
রাজনৈতিক বা পেশাজীবী কোনো গোষ্ঠী তাদের স্বার্থরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে দেনদরবার করতে পারে। স্বার্থ সংরক্ষণে প্রয়োজনে আইন প্রণয়নে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করতে পারে। নিজ নিজ পেশার মর্যাদা রক্ষায় তারা চাপ সৃষ্টির জন্য একত্রে বিভিন্ন আন্দোলনেও শামিল হয়।
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা সংগঠন তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। আসলে উদ্যোক্তারা নিজেদের এ সমাজে অপাংক্তেয় মনে করে। পড়াশুনা শেষ করে একটি ব্যবসায়ের উদ্যোক্তা হবে এ কথা মনে হয় কেউ স্বপ্নেও ভাবে না। তাই কিছু করতে না পেরে একটা ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে যে কোনো ব্যবসায় নেমে পড়াটাকেই নিয়তি হিসেবে ধরে নয়। কিন্তু উদ্যোক্তা হওয়া একটি কঠিন বিষয়। জন্মেই কেউ উদ্যোক্তা হয় না। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-কানুন আছে।
প্রতি বছর ২৭ লক্ষ কর্মক্ষম যুব জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ কোনো না কোনোভাবে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ হয়। এই উদ্যোক্তা জনগোষ্ঠীর অনেকেই একটি ব্যবসায় বা সেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে নানান প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়। প্রতি পদে পদে দুর্ভোগ এবং জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই রণে ভঙ্গ দেয়। যারা বাধ্য হয়ে টিকে থাকে তারা তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে অসততার পথে হাঁটতে শুরু করে।
উদ্যোক্তাদের সংগঠিত হতে হবে প্রথমে। একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটিয়ে উদ্যোক্তাদের সমস্যাগুলো সমাধানকল্পে একযোগে কাজ করতে হবে। তবেই আমাদের দেশে উদ্যোক্তা শ্রেণী গড়ে উঠতে ভরসা পাবে। একজন উদ্যোক্তা দশজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে। এভাবে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব। আর এভাবেই আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
আপনি এগিয়ে আসতে পারেন এই ঠিকানায়-ফেসবুক গ্রুপ
ফেসবুক পেজ