এইসব সোনালী দুঃখের অঘ্রাণী ঢেউ,
প্রিয়তম রোদেলা দুপুরের ঘুমে
শীত শীত অনুভবের শিরশির হাওয়া
কেউ আছে, কেউ নাই, ভুলে গেছে কেউ
আনমনে ফেলে আসা এই অঘ্রাণী
বাতাসের বান আসে আঙন ভরে
কোচড়ের নারকেল-চিড়া-মুড়ি-গুড়
ফের তবু তাড়া খেয়ে আর ফিরে নি।
আদুরে মেয়েটিও বৌ বয়েসে
খানিক কালো চোখে কালি মেখেছে
বর ভয়ে জড়সড় সংসারী দিনে
অক্ষত আবেগ কত ভুলে থেকেছে।
উঠোনের তারে শাড়ী জলপাই রঙ
কি ঘ্রাণ, ভেজা ঘ্রাণ, ভেজা কাকনের
নূপুরের গান তার ছিপছিপে মেয়ের
শ্বাশুড়ীর কানে বাজে ঢং ঢং--- ঢঙ!
ওই চোখে নীল নীল আরো কিছু মায়া
ফেলে আসা দ্বিপ্রহরের অক্ষত আবেগ-
জীবনের ঊষাকাল ঢের ক্রোশ দূরে
শীতল জলে তার ভেজা ভেজা ছায়া।
এখানে তোমার মতো যেমন আমারো
কেটে যায় দাগ কষে হিসেবী দিন
বারোয়ারী ঝগড়ায় জমির মাপে
কে কত কম পেলো কার পোয়া বারো।
ছানি পড়া চোখে আর জল আসে না
নুয়ে পড়া পিঠ বয় বেতের লাঠি
শুধু শিহরি উঠি এই অঘ্রাণী হাওয়ায়
কোনদিন ফেরে নি সে। জানি ফিরবে না।