তোমার সর্বশেষ মেসেজটির পরে আর কখনো আমাদের কথা হওয়াটা অকল্পনীয় ছিল। আমি স্তব্ধ হয়েছিলাম যেমন, তেমনি খুব খুশিও হয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিল তুমি নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছ ভেবে। দায়িত্ববোধ যেন একটু কমে গেলো আমার। আজন্ম ভালোবাসা তোমার জন্য আমার। তবুও আমার দিক থেকে যোগাযোগের চেষ্টা কোনভাবেই সমীচীন হতো না। বরং আমি নিজের কাছেই আরো বেশি অন্যায়বোধে ডুবে যেতাম। আমি পেরেছিলাম নিজেকে বাধ দিয়ে আঁটকে রাখতে। আমি ভাবিনি আর কখনো আমাদের কোন কথা হবে বা অনলাইন চ্যাটও হবে। কারণ আমি জানি আমার প্রতি তোমার কঠোরতা, তোমার পারিপার্শ্বিক বাধাবিপত্তি, তোমার পরিস্থিতি, এবং তোমার প্রতি আমার দৃঢ় বিশ্বস্ততা ও সম্মানবোধের প্রগাঢ়তাকেও জানি। কিন্তু সেদিন তোমার সামান্যতম সাড়া পেয়ে আমার সমস্ত বাধ যেন ভেঙে চুড়মার, আমি যেন কঠিনতম বরফখন্ড থেকে নিমেষেই জলে পরিণত হয়ে গেলাম। আমার পুলকিত মন আবার আশাবাদী হয়ে তার কল্পনার ফানুস উড়াতে শুরু করলো। তোমার সাড়া পাওয়ার দিন আমাদের বেশ কয়েকবার চ্যাট হলো, যেন বহুকাল তৃষ্ণার্ত দুটি মন আবার তাদের তৃষ্ণা নিবারণের উপায় খুঁজে পেলো। পরদিনও কিছু চ্যাট হলো। আমি আবার তোমাতেই বিমোহিত হয়ে গেলাম। এরপর তুমি তোমার বিয়ের ছবি প্রোফাইল সেট করলে অনেকদিন পরে। তোমার কিছুতেই নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। কিন্তু আমার মনে হলো, আমার সাথে কথা বলার পরপরই কেন! ইচ্ছাকৃত কিনা! মাঝে একদিন কথা হলো না। এবার আমি খবর জিজ্ঞেস করলাম। অপেক্ষায় অস্থির। তোমার সাড়া পেতে দেরী হলো, আর আমার হৃদস্পন্দন একটু একটু করে বাড়তে থাকলো । এই অস্থিরতাটা এক ভিন্নরকম অনুভূতি, আনন্দেরও। আবার মনে হচ্ছিলো, ইচ্ছে করেই রিপ্লাই দিচ্ছো না নাকি। তুমি অসুস্থ বলে জানালে। আমি দুঃখিত। তোমার জন্য এখন কিছুই আর করতে পারিনা আমি। তোমার অসুস্থতা সাড়িয়ে তোলা, মন ভালো করা, তোমার পাশে থাকা, কিছুই আর করার অধিকার যেন নেই আমার আর। আমার কল্পনার ফানুস নিভে গেলো। আমি নিজেকে সামলে নিতে শিখেছি এখন। ভালোবাসা তোমার জন্য... ❤
(কথোপকথনঃ ১২ই জুন, ২০২০)