দূর্বার শিশির-স্নান দেখব বলে; বিনিময়ে-
শীতের সকালের এক ইঞ্চি প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভূতি আমার,
সাথে দূর্বার হাসির খুঁত-খুতানি পায়ের পাতায়।
কিন্তু, সব আনন্দই বৃথা তুমি না এলে!
প্রখর রোদের শেষে ভাপসা বিকেলের ফড়িং
যেভাবে প্রিয়ের খোঁজে বীরত্ব দেখায়;
সেভাবে বীর না হয়ে ভীরু ফড়িং-এর মত লেজ বাড়াবো;
তুমি সেই লেজ টিপে দিবে আর আমি দেহ বাঁকিয়ে
অধর অনামিকায় বুলিয়ে সুখ কেড়ে নেব।
তারপরও কি নিশ্চুপ থাকবে!
কভু যদি দস্যু মেঘ তোমার সুখ ঢেকে দেয়, তখন—
চিলের মত হাত দুটিকে ডানা করে উড়তে না পারলেও
আপন হাতে বানানো ঘুড়ির ডানায় ভর করে মেঘের চোখে
বিষ ঢেলে অন্ধ করে দিব, তখন তুমি হাসবে।
তোমাতে দূর্বার মুখের হাসির প্রতিরূপ পাবো আমি,
মেঘ, শিশিরের মত-
মিশে যাবে আমার ঘুড়িকে নিয়ে,
আর তোমার সেই পাগল করা আনন্দ-স্নান; আমি জানি তুমি হাসবে,তুমি হাসবে ।।