জাতি হিসেবে আমাদের মাঝে ক্ষায়িক ভিন্নমত থাকলেও আমি মনে করি কি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ব্যাপারে আমরা সকলেই একমত। ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে আমি উদারপন্থী কি না উগ্রপন্থী সে ভাবনা আসবে পরে। প্রথমেই আমাকে ভাবতে হবে আমি কি, কিভাবে আছি কেন আছি, কোথায় আছি।
আপনি পৃথিবীর যে কোনো দেশে যান, গিয়ে নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিন আরেকজন মুসলিমের কাছে, ফলাফলে আপনি একজন বাঙালি হিসেবে আরেকজন বাঙ্গালির কাছে যে সমাদর পাবেন সেটা পাবেন না ঐ মুসলিমের কাছে।
কেন একজন স্বদেশী আরেকজন স্বদেশীকে সাহায্য করে, কিংবা করতে চায় ? কারণ, সে জানে তাদের সাদৃশ্যটুকু। অনুমান করতে পারে তাদের অসুবিধাগুলি কি কি হতে পারে। কেন হতে পারে।
আগে মাটি তারপর আকাশ। কারণ আমার মৃত্যু সংঘটিতে হলে আমার মাটির সাথে কি মিশে যাবে সেই সম্পর্কে আমি জ্ঞাত কিন্তু শুন্যে কি উড়ে যাবে সেই সম্পর্কে আমি অজ্ঞাত। সেটা কি, এবং কেন ঐরুপ কোনো স্পষ্ট জ্ঞানের সংগে আমি মানানসই নই। সূতরাং যা আমি বুঝি না, সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর বিপরীতে যা আমি বুঝতে পারছি সেটা নিয়েই মাথা ঘামানো প্রাথমিকভাবে আমার জন্য প্রয়োজন।
চোখ মেলে তাকিয়ে দেখুন, যে জাতি উন্নত তারা ধর্ম অনুসরণ করে কি ভাল আছে নাকি দেশপ্রেমিক হয়ে ভাল আছে।
ইসরায়েলের দিকে তাকিয়ে দেখুন, আমেরিকার দিকে তাকিয়ে দেখুন। তারা ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল নয়। তারা নিজেদের উপর নির্ভরশীল। কারণ তারা জানে ঈশ্বরের ও প্রিয় পাত্র হতে হলে একটা পরিমাণে যোগ্য হতে হয়। এখন আপনি ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভের জন্য যোগ্যই থাকলেন না। ঈশ্বর কি আপনাকে পছন্দ করবেন ?
ইতিহাস অনুসরণ করলে ইহুদীদের অনেক আগে থেকেই পৃথিবী থেকে বিনাশ হয়ে যাওয়ার কথা। কারণ তারা যেমন মুসলিমদের সরাসরি শত্রু তেমনি তথাকথিত সবার মুখ থেকে যে তথ্যটি জানা যায় সে অনুসারে জেসাসকেও নাকি এরাই হত্যা করেছে।
সূতরাং জেসাসকেও যদি এরাই হত্যা করে থাকে তাহলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছেও এরা শত্রু। নিয়মমাফিক তাহলে কি দাঁড়ায় ?
এটাই যে অনেক আগেই এদের পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া। যদিও হিটলারের ক্রোধের আগুন আমরা তাদের উপর দেখেছি। তারপরও ওরা টিকে আছে। কারণ ওরা মাটি আঁকড়ে আছে প্রথমে। তারপর আকাশ। ঈশ্বরের
কাছ থেকে সাহায্য যদি পাওয়া যায়। সেটা ত পাওয়া যাবেই। তার আগে নিজেই নিজেকে সাহায্য করতে হবে। ঈশ্বরের
ঐশ্বরিক সাহায্যকে ধরে নিলাম বোনাস। কিন্তু আমার যে করণীয় কিছু জিনিস থাকে আদম সন্তান হিসেবে করার সেটা ঈশ্বর কিভাবে করবেন। সেটাও যদি ঈশ্বরকেই করতে হত তাহলে তিনি আপনাকে আমাকে সৃষ্টি করতেন না।
আদম সন্তান হিসেবে আমাদের ডার্টি ওয়ার্কস আমাদেরই করতে হবে। এই সম্পর্কে ঈশ্বরের সাহায্য প্রার্থনা করাকে আমি পাপ মনে করি।
অবশেষে সুরে সুরে একটি কথাই বলতে হয়ঃ "আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে কেন সৈকতে পরে আছি"।
কারণ আমি ভাবছি সৈকত থেকে ঈশ্বর আমাকে উদ্ধার করবেন। কারণ তিনি জানেন আমি কে, কেন এবং কিভাবে কি হয়েছি। তিনি আমার দুঃখ কষ্ট ক্লেশ সবকিছুই জানেন।
না বন্ধু, এটা তিনি তোমারটাও জানেন আবার সদ্য জন্ম নেওয়া মায়ের জঠর থেকে প্রসবগত মৃত বাচ্চাটির কথাও জানেন।
আগে নিজেকে ভালবাস, নিজের ভালবাসার মানুষকে ভালবাস। তারপর না হয় আমাকে ভালবেস। বাচতে হবে বর্তমান নিয়ে, অতীত কিংবা ভবিষ্যত কে নিয়ে নয়। কারণ আমি অতীত কিংবা ভবিষ্যতের সাক্ষী নই, আমি বর্তমানের সাক্ষী। বর্তমানটাই আমার মনে থাকে, অতীত কিংবা ভবিষ্যত নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩১