-স্যার আমিই তো মোটা-গাট্টা কালো লোক।
আমি বললাম,
-না, তুমি না। ওর অবয়ব দেখতে আমার ছোটবেলায় দেখা মীনা কার্টুনে মুরগী চোরের মত।
আরেকজন জনতা উচ্চ ¯^‡i বলল,
-স্যার উনি হুজুরদের সাথে একটা মিটিংয়ে বক্তৃতা দিতে গেছেন।
১০৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তামমাত্রাসহ আমি ক্ষুব্ধ –ivMvwš^Z অবস্থায় তাদের সেই বৈঠক স্থলের দিকে ছুটলাম। আমার লাল টকটকে পাজারোটা তদস্থলে পৌছতেই কর্নকূহুরে মুরগী চোরের KÚ¯^i ভেসে আসলো। ও বলছে, “এদেশে নাকি কোরাআনের রাজ কায়েম না হলে শান্তি আসবে না।” আমি ভীষণ ক্ষেপে গিয়ে ওর সাঙ্গ-পাঙ্গদের নির্দেশ দিলাম, “যাও ওর কাছে খবর পাঠাও যে, স্যার আজ তোমার মাথার চুল ধরে জনসম্মুখে নাকানি-চুবানি খাওয়াবে।”
মুরগী চোর আমার সামনা-সামনি হওয়ার আগে ফোন করে বলল “স্যার আমার মাথায় তো ঢাক, আপনি চুল ধরবেন ক্যামনে? এর চেয়ে ভালো হয় স্যার আপনি আমার বগল কাটা কালো কোটের কলারে ধইরেন।”
আমি বললাম,
-গাধা তুই আয়, তোরে কিছু চড়-থাপ্পড় না দিলে আমার দিল ঠান্ডা হচ্ছে না।
মুরগী চোর আমার সামনে এসে হাজির হলো। তারপর আমি ওর কলারে ঝাপটে ধরতেই ও আমার মার খাওয়ার পরিবর্তে আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউ মাউ করে কাদতে শুরু করে দিল। আমি nZf¤^; ও কানে কানে বলে, “স্যার গাড়ির ভিতরে চলেন ”।
যা ঝুঝলাম; লোক সম্মুখে আমার ক্ষোভ ঢাকা পড়েছে। চোরটা আসলে খুবই ধুরন্ধর। গাড়ীর কালো গ্লাসের অভ্যন্তরে ওরে কিছু চড়-থাপ্পড় দিয়েই তারপর যানযোগে নগর প্রদক্ষিণ শুরু করার নির্দেশ দিলাম। মুরগী চোর আমার সাথে অভিমান করেছে। গাড়িটা একটি জনাশীর্ণ বস্তির পাশ দিয়ে রাস্তা অতিক্রম করছে। হঠাৎ করে মুরগী চোর ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলে গাড়ি থেকে নেমে পড়লো। আমি অবাক হলাম; কি অদ্ভুদ কান্ড!! বিষয়টা বুঝার কাঠিন্য ভেদ করতে আমি কিছুক্ষণ ওর পিছু পিছু চললাম। এক ফকিরনীর মেয়ের সাথে রিকশাওয়ালার ছেলের বিয়ে। বস্তি জুড়ে তুমুল হৈ চৈ। এতবড় মানি লোক! গরিবের বাড়ীতে পা। মুরগী চোরকে কোথায় বসাবে না বসাবে এ নিয়ে এক বিশাল হুলুস্থুল। চুরটা ওদের সকলকে নীরব থাকার নির্দেশ দিয়ে বলল,
“সু-প্রিয় বস্তি বাসীরা, আজ আমি আত্মার টানে তোমাদের এখানে চলে এসছি। আমি কি নেতা হিসেবে দুঃখে-সুঃখে সব সময় তোমাদের পাশে থাকার অধিকার রাখি না?” এক বুড়ি এসে বলল,
-বাজান আপনে এত ভালা মানুষ!
বস্তি বাসীরা মুরগী চোরের পক্ষে জ্বয়ধ্বনি দিল। অতপর ও গাড়িতে ফিরে আসলে আমি ওর বগল কাটা কালো কোটের কলারটা মুচরিয়ে ধরে বলি,
-তুমি যে ওখানে গেলা, আমার অনুমতি নিছ?
ও বলে,
- স্যার একটু ভোট-ভোট রাজনীতি খেলে আসলাম।
আমি বলি,
-যাও কাজ চালিয়ে যাও। রাজনীতির যৌন চাহিদা ঠিক মত মিটাতে পারলেই চলল। আমাদের গাড়িটা শুধু আকাঁ-বাঁকা আর সোজা-সাপটা রাস্তা-ঘাট মাড়িয়ে চলছে তো চলছেই। দুপুরের খাবারটা কোন এক অভিজাত ফাইভ স্টার হোটেলে সারতে হলো। আমার আগমনী বার্তায় ওই হোটেলে দলের আরো অনেক সাঙ্গ-পাঙ্গরাও আসলো। ভূরিভুজন শেষ; মুরগী চোর আমাকে সাথে নিয়ে হোটেল থেকে ইকটু দূরে পান খেতে চলল। সুগন্ধী পান মুখে পুরে চিবাতে কি যে আরাম। কিন্তু হঠাৎ করে একটি গ্রেনেড হামলায় মুরগী চোরের গাড়ি সহ তার কয়েকজন ঘনিষ্ট সহযোগীর নাশ-বিনাশের দৃশ্যে আমাকে হতচকিত হতে হল। আমি তরিৎ মুরগী চোরের সংগী হয়ে একট দূরে দাড়িয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলাম,
- কি হে ধুরন্ধর? অতিথির সাথে কি এমন আচরণ? তোমাদের ছাও-চেলা, পুলিশ-ধামড়া গুলো কোথায়?
ও বলে,
- স্যার একটু আস্তে কথা কন; শালা আমার সাথে থাইক্যা আবার আমারে টক্কর দিবার চাইতেছিল। এজন্য গাড়ি সহ উড়াইয়া দিলাম।
এরপর আশে-পাশে জনতার ঢল দেখে সে তার কথার মোড় ঘুরিয়ে বক্তৃতার ¯^‡i বলতে লাগলো,
-এসব বেনামী দলের কাজ আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ওরা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়েছে..............
আমি কান চেপে ধরলাম; ওদের কথাবার্তা বোকাদের জন্য। এগুলো আমি ছোট বেলাতেই বড় বড় নেতাদের কাছ থেকে আত্মস্ত করেছি।
সার্কিট হাউজে রাতটা কাটানোর পর মুরগী চোর একটা নতুন গাড়ি নিয়ে ঘরের বারান্দায় হাজির হল। মুরগী চোর ধুতি পড়ে এসেছে........আজ তার মাথার টাক ঢাকার জন্য কোন টুপি নিয়ে আসে নি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি,
-কি রে বুড়ো আজ এই সাজে কেন?
ও বলে স্যার আজকে একটা পুঁজোতে যাবো।
পুঁজোর মঞ্চে উপস্থিত হয়ে মুরগী চোর ভক্তি গদ্ গদ্ কন্ঠে হিন্দুদের পুথি গাইতে লাগলো। এক হিন্দু বুড়ি নমস্কার দিতে দিতে বলল,
-জয় কালী..... জয় কালী..... এত সুন্দর কন্ঠ!! এ কোন পুরোহিত গো!!!
বক্তৃতা শেষ হলে সবাই খুশিতে উলু উলু ধ্বনি দিল। আবারো ও গ্রেনেড গ্রেনেড খেলা। চতুর্দিকে দৌড়া-দৌড়ি আর হুলুস্থুল। তবে পুঁজোর সুদর্শন ¯—¤^¸‡jv পদতলে পিষ্ঠ হওয়া ছাড়া এইবার আর তেমন কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গাড়িতে আসন গ্রহন করে আমি মুরগী চোরের কান টেনে ধরে বললাম ,
-এই বাটপার, তুই এগুলো কি শুরু করিছিস? এখন গ্রেনেডটা যদি ফুটে গিয়ে তুই-আমি সহ সবাই মারা পরতাম?
ও বলে,
- স্যার এখন থেকে এই সংক্রান্ত যত নাটক মঞ্চস্থ হবে, সবটাতেই নিষ্ক্রিয় গ্রেনেড ব্যাবহার শুরু করিছি।
মুরগী চোরের বুদ্ধিমত্তায় আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমি তাকে বললাম,
-তোমার কাজ তুমি ঠিক মতই চালিয়ে যেতে থাকো। আমি বরং তোমাকে আর বাধাগ্রস্থ করতেছিনে। তবে শুনে রাখো, বেশী দিন নিষ্ক্রিয় থাকলে পরে দল থেকে বাদ পরে যাবা কিন্তু।
ও বলে,
- স্যার সব সময় সক্রিয় থাকলে পরে বোমা মানিকের মতো জেলে হাজত খাটতে হয় কিনা সেই ভয় আমাকে সর্র্বদাই তাড়া করে ফিরে।
শহরের আশে-পাশে লাল-নীল সামিয়ানা ঢাঙ্গানো উচু উচু টিবি গুলো আমার শরীরে জারুল গাছের কাটার মতো বিধে। নগর প্রদক্ষিণ করতে করতে আমি ওকে বললাম,
-তোমার নগরটা তো বড়ই কুলক্ষণে। তোমার কাছে এত গ্রেনেড ইচ্ছে করলেই তো সব’কটা টিবিই মাটির নিচে মিশিয়ে দিতে পারতে?
ও বলে,
- স্যার কি বলেন আপনে? কি বলেন? নগরটাতো আমাদের জন্য বড়ই সু-লক্ষণে। যারা সৃষ্টি কর্তার বিশাল আকাশের মতো সরল পথের বদলে জারুল গাছের পাদদেশে এসে ঠাই খুজে কুলক্ষণ তো তাদের জন্যই বরাদ্দ। তাছাড়া স্যার গজার মাছের মাজার গুলোর মতো এদেশের শত শত মাজারে আমাদের গাঁজা ব্যাবসায়ীদের বিশাল রমরমা ব্যাবসা-বানিজ্য থাকার দরুন আসল ইসলামীরা এখানে এসে বেশী সাচ্ছন্দ বোধ করে না।
আমি বললাম,
-বাহ্! খুব চমৎকার ব্যাপার তো? কিন্তু আমার রাজধানীর মতো তো এখানে খোলা মেলা পতিতাদের বেশ ছড়া-ছড়ি দেখতে পাচ্ছি না। শুন ওরা হচ্ছে ফুলের মতো; ফুলগুলো যদি লেংটা না করে রাস্তা-ঘাটে যত্রতত্র ছাড়িয়ে না রাখো আমদের নগ্ন সংস্কৃতির বাতাস বয়ে বেড়াবে কারা? রাস্তা-ঘাটে, রিক্সা, হাটে আমরা যেভাবে ধরাধরি করি, ছেলে-মেয়েরা যদি ঠিক তেমনি জড়াজড়ি করে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে নাই পারলো তখন আমদের সুধী মহল পশ্চিমা বিশ্বে মুখ দেখাবে কিভাবে?
ও আমাকে সান্তনা দিয়ে বলল,
-স্যার এত তাড়াতাড়ি হৃদয় উদ্বেলিত হলে আমরা আগামু ক্যামনে? স্যার শুনেন আপনার রাজধানীর মতো আমাদের ও কিছু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় আছে। বাহির থেকে কিছু সংখ্যাক তরুন পতি-পতিতাদের আগমন ঘটিয়ে আমরা শিক্ষাঙ্গন চত্বরে নিজ নগরীর ছেলে-মেয়েদের জড়াজড়ি বিষয়ক কর্মশালার মাধ্যমে ধরাধরি মূলক বহু রকমের শিক্ষা দানে সচেষ্ট হচ্ছি।
আমার হৃদয়টা সাংঘাতিক রকমের খুশিতে ভরপুর হয়ে গেল।
আর্শিবাদ সকলের জন্য। তবে বেশী আর্শিবাদ পাওয়ার যোগ্যতা সেই অদৃশ্য বিতারিত শক্তির যে আমার নেতা-কর্মীদের আমার অনুপস্তিতে নিখুতভাবে পরিচালিত করছে।
মুরগী চোর এবং নগরীর আরো বহু সংখ্যাক সন্ত্রাসী নেতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দলীয় চাঁদা এবং ব্যাক্তিগত সম্মানী নিয়ে আমি এখন প্রত্যাবর্তনের দিকে। উর্মিমালা আমার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় সূর্যিমূখীর মতো চেয়ে থাকবো নিশ্চয়ই।
ও এখন খানিকটা ঢেকে-ঢুকে চলা-ফেরা করে। এত লুকো-চুরি আমার পছন্দ নয়। আমি একদিন তাকে কাছে ডেকে নিয়ে বললাম,
-কি উর্মিমালা এই অকল্পনীয় পরিবর্তনটা কেন? তোমাকে তো খোলা-মেলাতেই বেশী মানায়।
উর্মিমালা বলল,
-শোন আমাদের পার্শবর্তী দেশে একটি প্রথা প্রচলিত আছে, আর সেটা হল: সে দেশের মেয়েরা শাড়ী পড়ে নিজেকে বিবাহিত বুঝানোর জন্য। এখন এই যে ধর, তোমার আমার বিয়ে হবে ......বাঙালী মেয়েদের ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। একট-আধটু পর্দা করে চলাটাই আমাদের বিয়ের লক্ষণ।
আমি বললাম,
-তাহলে কি তুমি একথা বুঝাতে চাচ্ছো যে ¯^vgx খোজার জন্যই বাঙালী মেয়েরা খোলা-মেলা চলা-ফেরা করে?
ও বলে,
- না, তেমন কিছু বুঝানোর কোন উদ্দেশ্য মোটেই আমার নেই। তবে শোন, যে সব মেয়েরা খোলা-মেলা চলা-ফেরা করে তাদের সবাই কিন্তু একরকম নয়। কিছু কিছু আছে যারা নিজেদের খদ্দের ডাকার জন্য শরীরের একটু-আধটু নগ্ন করে রাখে। তারা হচ্ছে পতিতা। তাছাড়া কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনেক ছাত্রীরা আছে যারা তাদের পূরুষ বন্ধুদের পকেটের মানিব্যাগের টাকা খসিয়ে খুব দ্রুত আরেক জন বন্ধু খুজে পেতে একটু-আধটু নগ্ন হওয়ার পন্থাটাকে খুব বেশী কাছে টেনে নেয়। ওরাও কিন্তু এক ধরণের বেশ্যা।
উর্মিমালা যাই বলুক; নগ্নতা কিন্তু একটি চমৎকার শিল্প। আর বেশ্যাগিরি একটি অত্যন্ত লাভজনক পেশা। নতুন নতুন নগ্ন ফ্যাশনের ছোঁয়ায় উলংগপনার নতুন নতুন সংজ্ঞা দাড় হউক এটাই অধিকাংশ পুরুষের চাহিদা। নগ্নতা পুরুষের চোখে কু-কর্মের কলি ফুটায়। যত বেশী নগ্নতা, বেশ্যা শিল্পের উন্নয়ন সূচক ততই দ্রুত উপরের দিকে উঠতে থাকবে। ইউরোপ-আমেরিকার কোটি-কোটি নারীরা তাদের দেহ সৌন্দর্য্য দিয়ে পূরুষদের মন জুড়াচ্ছে। আর আমাদের দেশের বেলায় এই সংখ্যাটা কতই না কম!! নারী সৌন্দ্যর্যের নগ্নতা মানে বেশ্যা শিল্পের বিজ্ঞাপনের উৎকর্ষতা। নারীরা পূরুষদের সেবাদাসী। ওদের উচিৎ পূরুষদের আকাংখা অনুযায়ী উলংগ হয়ে চলা-ফেরা করা। প্রয়োজনে একদম লেংটা হয়ে যাওয়া। ইউরোপের অনেক দেশ তাদের আইন-কানুন দিয়ে এই বিষয়টা প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট হয়েছে এবং আরোও হবে। এজন্য নারীরা যাতে অতিরিক্ত কাপড়-চোপড় কিংবা পর্দা ব্যাবহার করতে না পারে এই লক্ষ্যে সে সকল দেশগুলোতে নতুন নতুন আইন প্রনয়নের চিন্তা-ভাবনা চলতেছে। আমাদের মন্ত্রনা পরিষদ ইতিমধ্যেই এতদ্সংক্রান্ত বেশ কিছু কুট-কৌশল আবিষ্কার এবং প্রয়োগের মাধ্যমে সফলতার মুখ দেখেছে। তাছাড়া সমকামিতা নামে আমাদের আরেকটা নতুন কাম চাহিদা পূরণে অনেক দেশের মহামান্য আদালত আমাদের লিঙ্গের পক্ষে রায় দিতে শুরু করেছে। আসলে বামপন্থী ঘেষা সকল আদালতই পূরুষদের প্রতিনিধিত্ব করে। শীঘ্রই আমি সকল যৌনকামী নতুন যুবক প্রজন্মকে বিষয়টা বুঝিয়ে-শুনিয়ে আমাদের আন্দোলনকে আরা জোরদার করার ব্যাবস্থা নিচ্ছি। আমাদের এক্স. এক্স. এক্স., টু এক্স, সিডি-ভিসিডি-ডিভিডি, চটি বই, স্টিকার ইত্যাদি ইত্যাদি বিক্রেতা সিন্ডিকেটকে তাদের পন্য-দ্রব্যের ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য জোড় তাগদা দিচ্ছি। নতুন প্রজন্মকে ভুলিয়ে-বালিয়ে লোভ দেখিয়ে যেভাবেই হউক আমাদের বাম সীমান্তের ভিতরে রাখতে হবে। এজন্য নীল সিডি জাতীয় দ্রব্য এবং নগ্ন শিল্পের ধারক বাহক ম্যাগাজিন গুলোর দ্রুত এবং ব্যাপক বিস্তার অত্যাবশ্যক। তারপর ধীরে ধীরে অন্য দিকে ধাবিত কারা সহজ হবে। নতুন প্রজন্মের হিসাব-নিকাশ যাতে নির্বাচনের গতিধারা উলট-পালট করতে না পারে এজন্য সকল ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দেশে যত ছিনতাইকারী, বেশ্যাখুর, মদখুর, ঘুষখুর বৃদ্ধি পাবে আমাদের ভোট সংখ্যা তত বাড়বে। এই যে নীল সিন্ডিকেট কিংবা কালো জগতের বিশাল সংখ্যাক জনগোষ্ঠী; ওরা কোথায় ভোট দেবে?
এদেশ যেদিন সম্পূর্নরূপে অত্যাচার, দুর্নীতি, নিপিড়ন এবং দারিদ্যতা থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্বের বুকে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাবে সেদিন মনে করে নিতে হবে যে, এদেশের ক্ষমতার মসনদ বৈঠালীগ অথবা বেনামী দল অথবা তদানূরূপ দলগুলোর জন্য জনগন কর্তৃক চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। সুতরাং এদশের জনগনকে গতি থেকে গতিশীল বানিয়ে বামপথিক হিসেবে চালিয়ে দিতে হবে। তারপর সবকিছু তুছনাছ করে ক্ষমতার মসনদ এমনিতেই বাগিয়ে নেওয়া যাবে।
এজন্য এসব চুড়ান্ত ব্যস্ততার মূহুর্তে নিজেকে অ-ব্যস্ত রাখা বড়ই কঠিন। ঊর্মিমালার দ্বারা এই ব্যস্ততার মূহুর্তগুলোর উপলব্দিত্ব হতে পারে; তবে তা যথার্থ হবে না।
নিজ পার্টির অনেক মেয়েরা আমাকে কামের জন্য নিবেদন করে। তাদের নিবেদনগুলো আমার কাছে আবেদন আকারে বিবেচিত হয়। আমার দৃষ্টির তির্যক রশ্মি বিবেচনার খাতিরে মানদন্ড আকারে তাদের স্তনযুগলের মধ্যভাগে নিপতিত হয়। ওরা আমার দলের লোক; সারা দিন মিছিল, মিটিং, ঝগড়া-ঝাটি, মারামারি মূলক জঙ্গি কাযক্রম পরিচালনা করে ওরা অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই তাদেরও কিছু আনন্দ-ফুর্তি প্রয়োজন আছে। নেতা হিসেবে আমি অন্তত এই দায়িত্বটাতো আর Aw¯^Kvi করতে পারি না।
উর্মিমালা আমাকে বলে,
“তুমি যাই কর; আমাকে কোন দিন ছুড়ে ফেলে দিয়ো না।”
আমি আসলে বিষয়টা বুঝতে পারি না। আমি কেনইবা ওকে ছুড়ে ফেলতে যাবো? জঙ্গি মেয়েদের অস্থি-মজ্জা, চামড়া একদম জঙ্গি ধরণের। ভাংচুর আর পুলিশের সাথে হাতা-হাতি করতে করতে ওদের হাড়গুড় একদম শক্ত হয়ে গেছে। কামের সময় ওরা আমাকে সম্পূর্ন গলাদ করণ করতে চায়। আমি হাপিয়ে উঠি। ওদেরকে দিয়ে কাজ চলে, কিন্তু মানানসই হয় না। আমার চাই নিষ্পাপ, নরম, অনুগত ললনা। আমার চাই ঊর্মিমালা। যাদেরকে ছুঁতেই ওরা যেমনটি গলে যায় তেমনটি অন্যকেও গলিয়ে দেয়।
আমার মোবাইল তিনটা µgvš^‡q বেচইন হতে লাগলো। আমি একটা একটা করে কলধরতে থাকি। উর্মিমালা বলে,
-কি ব্যাপার এতদিন পর আমাকে সময় দিতে আসলা এরই মধ্যে আবার কিসের ব্যস্ততা?
আমি বললাম,
-রাগ করো না উর্মিমালা। আমি বসে থাকলে কি হবে? ক্ষমতার পালা বদলের সময় এলে রাজনীতি যে কত খানি অস্তির হতে পারে সেটা আমি তোমাকে কখনই বুঝাতে পারবো না।
সিমান্তের ওপার থেকে শান্ত বার্মা কল করেছে,
-স্যার আপনাদের সময় কি এখনও আহে নাই, আপনাগো বৈশ্বিক কুটনৈতিক অবস্থা তো ওথ নড়বড়ে দেখি না। বছর কা বছর কত অস্ত্র সাপ্লাই দিচ্ছি, কাজ না হলে আমাদের তো বসে থাকলে চলবে না, অন্য কোন ক্লু খুজতে হবে।
আমাদের ইয়েমেন শাখার সভাপতি বলেন,
- আপনাদের কোথাও তো কোন ঘাটতি দেখতেছিনা বসে আছেন কেন?
আমি বলি,
-একটু ধর্য্য ধরেন এখনও তো নেত্রীর কোন নির্দেশ আশে নাই।
নিউইয়র্ক লীগের সভাপতি ফোন করে বলেন,
-বাাংলাভাই আর দুলাভাই শুধুমাত্র গুটি কতক আরব দেশ থেকে গুটি কয়েক ব্যক্তির আর্থিক অনুদান পেয়ে দেশটাকে কাপিয়ে তুলল, আর আমাদের কত শাখা প্রশাখা- জেদ্দা, রিয়াদ, লন্ডন, লুটন, DB¤^jWb, বার্মিংহাম, ওয়াশিংপটন, গ্রীস, এথেন্স, রোম, নরওয়ে, দিল্লী, কুয়েত, মস্কো, আর কত কি!!!
কত সহস্র ব্যক্তির দানের হাত আমাদের দিকে প্রসারিত। তবু কেন তোমাদের এত ভয় হয়?
মোবাইল ফোনে টুকতে না পেরে অনেকে সংক্ষিপ্ত আকারে ম্যাসেজ পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমাদের লুটন শাখার সভাপতি SMS পাঠিয়েছেন- “All islamist are Rightist, but all Muslim-name-bound men are not actual-islamist. All ante-islamist are leftist and all leftist are active-terrorists. Our foreign assistance is bigger than bigger. So we can achieve 100 times success than follish-fucker Bangla-bhai and Dula bhai.”
নারায়ণগঞ্জের হকিস্টিক রাজন ফোন করে বলে,
-স্যার আগ্নেয়াস্ত্র হাতে থাকলে শরীরটা সব সময় আগুনের মত অগ্নিশর্মা হইয়া থাকে। অস্ত্র-সস্ত্র নিষ্ক্রিয় থাকলে পরে শরীরের চিপায়-চাপায়, হাড়ের জোড়ায় জোড়ায় মড়মড়ি, চমচমি জাতিয় রোগ সক্রিয় হইয়া উঠে। স্যার হুকুমটা আসতে আর কত দেরী ?
সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের রগ কাটা রতন ফোন করে বলে
-স্যার তাড়াতাড়ি কিছু একটা করেন। শীঘ্রই আমাদের ক্লাস পুরোদমে শুরু হইতে চলল। এত এত পড়ালেখা কি ভাল্লাগে?
আমার মোবাইলগুলো রাশিয়ার লাল সস্ত্রাসীদের মত অস্তির হয়ে উঠল। ওয়াশিংটন লীগের সভাপতি SMS দিয়ে জানালেন- Òaponader notun biplober kotha shona WE HAVE opend TWO SUB-UNIT IN WASHINGTON CITY; STEP FORWARD. Asha kori biplob proborthi sohojugita prodane sokol probashi Bhamponthira WILL PLAY IMPORTANT RULE.”
আমার মোবাইল ফোনে ¯^qsµxqfv‡e এসএমএস আপলোড হতে হতে মোবাইলের মেমোরী অভারলোড হয়ে গেল।
পুর্ব সীমান্ত থেকে কাল্লু মাস্তান ম্যাসেজ পাঠিয়েছে, “ sir we are ready to recive your command.”
চট্টগ্রাম থেকে “স্যার আমরা প্রস্তুত।”
সিলেট থেকে “স্যার আফনার কোন খবর নাই খেনে? আমরা সখল তো রেডী ওইয়া বইতাখছি।”
ফেনী থেকে, “ স্যার আমরা প্রস্তুত।”
নতুনমন্ডি থেকে, “স্যার আমরা প্রস্তুত।”
কুষ্ঠিয়া থেকে, “আমরা রেডী।”
রাজশাহী থেকে, “স্যার আমাদের গানগুলো লোড করা আছে।”
বুড়িমারা থেকে, কুমিল্লা থেকে, কুড়িগ্রাম থেকে, খুলনা থেকে, ময়মনসিংহ থেকে, ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়া থেকে..... থেকে.... থেকে.... থেকে.... থেকে..........
...আমরা প্রস্তুত.... আমরা প্রস্তুত.... আমরা প্রস্তুত.... স্যার আমরা প্রস্তুত... স্যার আমরা রেডী..... স্যার আমরা আপনার হুকুমের অপেক্ষায়..... অপেক্ষায়..... রেডী..... অপেক্ষায়..... অপেক্ষায়..... অপেক্ষায়...................................
আমার কান দু’টি বন বন শব্দে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
মোবাইল ফোনগুলোার কাজ আপাতত শেষ বলেই মনে হচ্ছে। ড্রয়ার থেকে ওয়াকিটকিটা বের করে আমিও প্রস্তুত হয়ে গেলাম।
ঊর্মিমালা আমাকে একটু দাঁড়াতে বলল। আমার হৃদয় কিছুটা ব্যাকুল হল। আমি বললাম
-হ্যাঁ আমি দাড়াবার জন্যই বোধহয় তোমার আমার ভালবাসার সৃষ্টি। কয়েকটা দিন অপেক্ষা কর; আমি ধ্বংসষঞ্জে যাচ্ছি, নিজেদের জন্য একটা ¯^M© রচনা করতে।
ঊর্মিমালা বলে,
-ধ্বংস থেকে যার জন্ম হবে তার পরিনতিও কি ধ্বংসশীল হবে না?
আমি বললাম,
-তুমি কি ক্ষমতাসর্বস্ব ভোগ-বিলাসের সুখ থেকে বঞ্চিত হতে চাও ?
ঊর্মিমালা বলে,
-আমি শুধু তুমাকে চাই। বল তোমার সাথে কথা হবে কিভাবে? আমার তো কোন ওয়্যারলেস সেট নেই।
আমি বললাম,
-হ্যাঁ আমি শুধু তোমার জন্য একটি মোবাইল সাথে রাখতে পারি।
আমি নেত্রীর কাছে গেলাম। নেত্রী তার বাসভবনে তার নিজস্ব শিশু-কিশোর রাজনৈতিক পরিষদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত। আমি পিছনে দাড়িয়ে হাত তুলে নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করলাম। নেত্রী আমার দিকে একনেত্রে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন। তারপর হাত ইশারা করে বসতে বললেন। আমি বসলাম। অনেক্ষন হল; নেত্রী বোধহয় আমার কথা ভুলেই গেছেন, আমি আবার হাত তুলে তার দৃষ্টি আকর্ষন করলাম। তিনিও তদানুরূপ আঙুলী প্রদর্শন করলেন। আমার কিছুটা সন্দেহ হল। আজ নেত্রী আমার সাথে এরকম করছেন কেন? আমি তো কোন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া নেত্রীর কাছে অন্যান্য নেতাদের,মত চাটুকারী করতে আসি না।
আমি তৃতীয়বারের মত আবারো হাত উত্তোলন করলাম। নেত্রী আবারো আমাকে হাত ইশারা করে বসতে বললেন।
আমি তাই করলাম। শিশু-কিশোরদের সাথে রাজনৈতিক আলোচনা শেষে ওরা সবাই মিলে একটি গান ধরল-
“আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি.......ওমা চিরদিন তোমার আকাশ বাতাস আমার প্রানে বাজায় বাঁশি......আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি............”
আমার বিশ্বাস হচ্ছে না; নেত্রী কিভাবে গানটি ধরলেন? আামার ভিতরের সন্দেহটা ধীরে ধীরে প্রকান্ড আকার ধারণ করছে। আমি আবারোও পুর্ণ মনোযোগ সহকারে শুনলাম, নেত্রী পরিষ্কার গলায় গাইছেন-
“আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি.......ওমা ফাঁগুনে তোর আকাশ বাতাস........মরি হায় হায়রে..........”
তবে কি সত্যি সত্যিই নেত্রী এ দেশটাকে ভালবাসতে শুরু করেছেন। আমি আবারো শুনলাম; তিনি বলছেন-
“আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি.......”
তাহলে কি আমার সব আশা-আকাঙ্খা মাটি হয়ে যাবে? তাহলে তো কোন ধ্বংস রচিত হবে না! সংসদে আমাদের তন্ত্র-মন্ত্র আশার আলো দেখবে না!
আমার এত দিনের কষ্টার্জিত সাফ্যল্য ধুুলোয় মিশে যাবে। আমি উঠোনে দাড়িয়ে এতদিন পর ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলাম। পৃথিবীর চিরাচরিত লীলা কি এরকমই হয়ে থাকে?
হঠাৎ আমার মাথায় হাতের স্পর্শ অনূভূত হল। আমি দেখলাম; ঊনি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমার মাথা নাড়ালেন।
আমি দাড়িয়ে বললাম
-স্যার আপনি কি সত্যি সত্যি এদেশকে ভালবাসেন?
ঊনি বললেন,
-হ্যা
আমার কান্নার বেগ আরো বেড়ে গেল। আমি বললাম,
-স্যার এদেশের সবাই যদি সত্যি সত্যি এদেশকে ভালবাসে তবে তো গতানুগতিক দলগুলোর আর কোন দিন ক্ষমতায় যাওয়া হবে না। ঊনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
-হবে।
ঊনি আরো বললেন,
-শুন এদেশের সবাই যদি অন্তত দশবার করেও জাতীয় সংগীত আবৃত্তি করে এটা তাদের উপর কোন প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে না। কারণ এ গানের রচয়িতা সত্যিকার অর্থে এদেশটাকে ভালবাসতেন না।
আমি বললাম,
-তাহলে তিনি এ গানটি লিখেছিলেন কেন?
ঊনি উত্তর দিলেন,
-তিনি এদেশটাকে ভালবাসতেন কারণ এখানে ছিল তার পৈতিক জমিদারী। আমি এদেশটাকে ভালবাসি কারণ এটা আমার পৈতিক সম্পত্তি।
আমার মনটা খুশিতে ভরে গেল। আমি চোখ মুছতে মুছতে বললাম
-স্যার আপনার সময় ক্ষেপনের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। আসল কথা বলতে গেলে কি এই চিরাচরিত সত্যটা কিভাবে যে আমার সচরাচর জ্ঞানের আড়াল হয়ে গেল আমি নিজেও বুঝতে পারি নাই?
নেত্রী বিজ্ঞের মত মাথা নাড়ালেন। আমি আমতা আমতা করে বললাম,
-স্যার
ঊনি বললেন,
-কি? নতুন কিছু?
আমি বললাম,
-জ্বী
ঊনি বললেন,
-হ্যা আমি জানি তুমি কি বলতে এসেছ। সব কিছু প্রস্তুত আছে তাই না?
আমি বললাম,
-জ্বী
ঊনি বললেন,
-তোমার কিছু বলতে হবে না। আমি তোমাকে প্রথম এক পলক দেখেই বিষয়টা আঁচ করতে পেরেছি।
আমি নেত্রীর পিছু নিতে নিতে তার মূল অফিস কক্ষে প্রবেশ করলাম।
আমি নেত্রীকে বললাম,
-স্যার আপনাকে একটি গান শুনাবো।
ঊনি বললেন,
-শুনাও
আমি আবৃত্তি করতে লাগলাম,
-“আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি.......
ওমা তোমার ধন, তোমার সম্পদ আমার প্রাণে বাজায় বাশিঁ
ওমা নির্বাচনে তোর গদির ঘ্রানে পাগল করে মরি হায় হায়রে।
ওমা অসময়ে তোর পল্টনেতে আমি কি দেখেছি বিশাল বাংলাদেশী,
কী অশোভ, কী ছায়াগো, কী হাঙ্গা ,কী দাঙ্গা গো
কী প্যাচাল ছড়িয়েছ সংসদের তলে, জাতির মূলে মূলে,
ওমা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে ভ্যাঁ ভ্যাঁর মতো
মরি হায় হায়রে।
মা তোর বদনখানি মলিন হলে ওমা আমি সুখের জলে ভাসি।”
নেত্রী আমাকে বাহবা দিয়ে বললেন,
-শুন, সোজা হয়ে বস।
আমি একটু নাড়াচড়া করে সোজা হয়ে বসলাম।
ঊনি বলতে লাগলেন,
-সবাইকে বলবে যার যার নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কঠোরভাবে বিপ্লবী অভিযান পরিচলনা করে যেতে। আমাদের চুড়ান্ত বিপ্লবের দিনটি হবে ২৮ শে অক্টোবর। সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বলে রাখবে একটি করে লগি-বৈঠা রেডী করে রাখতে। এই দিনটাতে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আমারা চুড়ান্তভাবে লগি-বৈঠা বিপ্লবের মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে নতুবা পরোক্ষভাবে ক্ষমতায় আরোহন করবো।
আমি লাফিয়ে উঠে নেত্রীকে j¤^v একটা স্যালুট দিয়ে কর্মক্ষেত্রে ঝাপিয়ে পড়লাম। ওয়্যারলেস সেটটা চালু করে সকল স্থানে ম্যাসেজ ছড়িয়ে দিতে লাগলাম
-“হ্যালো আমি লগি-বৈঠা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কামান্ডার বলছি, আমাদের মহামান্য চিফ কামান্ডার দেশ কন্যার নির্দেশ- সবাই যার যার নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ঝাপিয়ে পড়ুন। আমাদের বিপ্লবের চুড়ান্ত দনটি হবে ২৮ শে অক্টোবর। মহামান্য নেত্রীর নির্দেশে চুড়ান্ত বিপ্লবে সক্রিয় অংশগ্রহনের জন্য চৌদ্দ স্তরের সকল নেতা-কর্মীরা একটি করে লগী অথবা বৈঠা নিয়ে প্রস্তুত থাকুন।”
“হ্যালো আমি লগি-বৈঠা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কামান্ডার বলছি ......................................................আপনারা সাবাই প্রস্তুত থাকুন।”
“ হ্যালো আমি........বলছি....... মহামান্য নেত্রীর নির্দেশ........ লগী অথবা বৈঠা...... প্রস্তুত থাকুন।”
চারিদিকে নামগন্ধহীন আগুন জ্বলে উঠল। আগুন আর আগুন; খুন আর খুন। আগুন আর খুনের রংয়ে পার্থক্য আছে তবুও তারা লাল। চারিদিকে লাল; শুধু লাল আর লাল। দেশটা এখন একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত হতে চলছে। জরুরী অবস্থার আবশ্যকতা নিয়ে কথা উঠছে। আমরা মূলত চাচ্ছি একটি একক সংসদীয় গণতান্ত্রীক ব্যবস্থায় আমাদের নির্ভেজাল অবস্থান। বেনামী পার্টি সহযোগে গুম,হত্যা,ছিনতাই, রাহাজানি,লুটতরাজ, লাল আর লাল।
আমি ঊর্মিমালাকে সাথে করে একটি লাল পাজারো যোগে আশে-পাশের পরিস্থিতি অবলোকন করতে বের হলাম। তিলোত্তমা তুমি বদলে যাও; বদলে যাও রক্ত রাঙ্গা লাল রঙ্গে। গাড়ীটা ধীরে ধীরে শেরাটন হোটেলের সামনের চৌরাস্তায় তীব্র যানজটে আটকা পড়ল। একটা-দুইটা ভিক্ষুক এসে গাড়ীর জানালার কাছে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। ঊর্মিমালা আমাকে জিজ্ঞেস করল,
- ভাইয়া তোমার এই গাড়ীটা কত দিয়ে কিনলে?
আমি বললাম,
-এই তুমি আমাকে ভাইয়া বললে কেন?
ঊর্মিমালা বলে,
-কেন কি হয়েছে? তোমার সাথে প্রথম যে দিন দেখা হয়েছিল সেদিনও তো ভাইয়া বলে ডেকেছি?
আমি বললাম,
-এখন তো আর প্রথম দেখার দিন না?
ঊর্মিমালা বলে,
-সত্য কথা বলতে গেলে কি আমাদের এখনও তো কোন বাচ্চা-কাচ্চা হয় নি। সোনামণি একটা থাাকলে না হয় ওর নামের সাথে আব্বু শব্দ যোগ করে বলতাম, যেমন-এই যে এ্যারিনের আব্বু গাড়িটা কত দিয়ে কিনেছ?
আমি হাসতে হাসতে ঊর্মিমালার গালে একটি চুমু বসিয়ে দিয়ে বললাম,
-কিন্তু এই মধ্যবর্তী সময়ে কি বলে ডাকবে?
ঊর্মিমালা বলে,
-তুমিই বলো কি বলে ডাকা যায়?
আমি বললাম,
-হুঁ....তুমি আমার প্রিয়তমা আর আর আমি তোমার প্রিয়তম; কেমন হল?
ঊর্মিমালা বলে,
-না, তুমি আমার প্রিয়পতি। প্রিয়পতি শুন, এই গাড়িটা কত দিয়ে কিনেছ?
আমি বললাম,
-প্রিয়তমা শুন; গাড়িটার দাম ছিল এককোটি সাচ্চল্লিশ লক্ষ টাকা, কিন্তু এটা কর ফাঁকি দিয়ে কেনা বলে এর খরচ পড়েছে এককোটি বত্রিশ লক্ষ টাকা মাত্র।
ঊর্মিমালা বলে,
-এই যে ভিক্ষুকগুলো এসে গাড়ির জানালার কাছে হাত পাচ্ছে..... এতে কি তোমার কোন লজ্জা হয় না?
আমি একটু নড়েচড়ে বসলাম; বললাম,
-কেন? আমার লজ্জা হতে যাবে কেন?
ঊর্মিমালা বলে,
-শুন এই গাড়িটার যদি প্রাণ থাকত তাহলে নিশ্চয়ই গাড়িটা নিজের সম্মান রক্ষার্থে ফুটপাতের এই উলংগ, হাড্ডিসার শতশত লোকদের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করতে Aw¯^K…wZ জানাত; তাই না?
ঊর্মিমালার কথা শুনে আমার কিছুটা লজ্জা হল।
ঊর্মিমালা আবারো বলল,
-উন্নত দেশগুলোর নামীদামী লোকদের মত গাড়ি চালাচ্ছি আর কি অনুন্নত সমাজ ব্যবস্থা!? বিদেশীরা দেখলে কি বলবে? এ যেন পঙ্খিরাজের ঘোড়ায় চড়ে নর্দমার পাশ কেটে যাওয়া।
আমি বললাম,
-কিন্তু এছাড়া তো আসলে কোন উপায় নেই। এই কঙ্কালসার উলংগ লোকেরাই তো এদেশের জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। একটা উন্নত দেশের সাথে পাল্লা দিতে কি নেই আমাদের? সবই তো আছে। একেক জনের চার-পাঁচটা গাড়ি, বাড়ি, কোটি-কোটি টাকা, উন্নত জীবন সবই তো আছে । শুধুমাত্র এই নীচ লোকেরাই, এই নীচ লোকেরাই শুধু শুধু আমাদের দেশের নামটা দরিদ্র দেশগুলোর কাতারে ঝুলিয়ে রেখেছে। এবার ক্ষমতায় গেলে এদেরকে ধ্বংস করে দিতে হবে; যাতে আমরা রাতারাতি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় পেয়ে যাই।
ঊর্মিমালা বলে,
- তুমি এসব কি বলছ? এরকম বোকামী করলে দাস-দাসীদের কাজ কাদেরকে দিয়ে চলবে? আগে তো এর বিকল্প একটা কিছু চাই। তা না হলে যে সব ধনীরাই শেষে বিপদে পড়বে। তাছাড়া মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসে সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলাবে।
আমি বললাম,
-তাহলে কি করতে হবে?
ঊর্মিমালা বলে,
-হ্যা আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে। সকল কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। ধোয়া-মুছা, বোঝা বওয়া এগুলো হবে রোবটের কাজ। রাস্তা-ঘাটে গাছ-পালার পরিবর্তে বিভিন্ন ধরণের ফোয়ারা m¤^wjZ অথবা ফোয়ারা বিহীন স্তম্ব দাড়িয়ে থাকবে। কাছে গেলে চমৎকার সুগন্ধ বের হবে। সকল কিছু চলবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে। ধনীরা শুধু ল্যাপটপ কিংবা রিমোট দিয়ে সব কিছু নিয়ন্ত্রন করবে। আর আমরা এই দরিদ্র লোকদের রক্ত কিনে এ সমস্ত ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর জন্য বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একটি সয়ংক্রিয় পদ্ধতী আবিষ্কার করব। প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে একটি নতুন ডিজিটাল এন্ড ক্রিস্টাল প্রকৃতি দাড় হবে। আর ওরা বন্যা, জলোচ্চাস, ঘুর্ণিঝড়, খরা, দাবাদাহ, খাদ্যাভাবে পড়ে কঙ্কালসার হয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাবে। আমাদের কিছুই হবে না, আমাদের এসি লাগানো বাড়ি-গাড়ি আছে, বসবাসের জন্য উচু উচু অট্টালিকা আছে, বেচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ-সম্পদও আছে আর আছে শাসন এবং শোষনের জন্য পর্যাপ্ত হাতিয়ার। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী, ফুটপাতের অসহায় শ্রমিক-নারী-শিশু, অভুক্ত মূর্খদেরকে তখন আর আমেরিকা, ইসরাঈল কিংবা অন্যান্য প্রয়াত অথবা জীবিত বামপন্থী নেতাদের মত প্রকাশ্যে হত্যা করতে হবে না; ওরা বরং ধীরে ধীরেই মৃত্যুর পথে চলে যেতে থাকবে। তারপর আমরা রাতারাতি পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রসমূহের কতারে চলে যাবো। আর এই থিওরীর আবিষ্কারক হবেন আধূনিক বাংলাদেশের অন্যতম রূপকার।
আমি আনন্দে লাফিয়ে উঠি। চমৎকার থিওরী; আমি আজ কালকের ভিতর এনিয়ে নেত্রীর সাথে কথা বলব। ঊর্মিমালাকে জিজ্ঞেস করলাম,
- থিওরীটার নাম কি দেবে?
ঊর্মিমালা বলে,
- শুন এটাতো একটা ডিজিটাল থিওরী। বাংলাদেশের বেলায় এর নাম ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হওয়াটাই যুক্তি-যুক্ত।
আমি বললাম,
-বাহ্ নামটাও অনেক চমৎকার হল!!
আমার ওয়াকিটকিটা চালু করতেই এর লাউড স্পিকারটা বেচইন হয়ে উঠল। আমার ভয় হয়। আওয়াজ আসতে থাকে-
“স্যার কি ব্যাপার? এতক্ষন ধরে ট্রাই করতাছি। আপনারে কোন ভাবেই পাওয়া যাইতেছিলনা। স্যার আমি কুষ্ঠিয়া থাইক্যা বলতাছি, ওগো স্যার গো আমাগো তিনজন কামান্ডার ক্রসফায়ারে মারা পড়ছে।”
“স্যার আমি রাজশাহী থেকে বলছি, স্যার আমাদের একজন চরমপন্থী নেতা র্যাবের হাতে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে।”
“স্যার আমি নারায়ণগঞ্জ থেকে বলছি, স্যার আমাদের কাল্লু ভাই মারা গেছে।”
“স্যার আমি বরিশাল থাইক্যা কইতাছি আমাগো মিন্টু সর্দার র্যাবের সাথে গোলাগোলি করতে যাইয়া মারা পড়ছে।”
“স্যার আমি চট্টগ্রাম থেকে বলছি, আমাদের দু’জন কামান্ডার র্যাবের ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছে। আর বাকীরা ভারতে পালিয়ে গেছে।”
“স্যার সিলেট থেকে.....বাট্টি লিটন......ক্রসফায়ার......”
“খুলনা থেকে................. নান্টু........ ক্রসফায়ার.....”
“হাজরীবাগ থেকে..........ব্রাশফায়র দু’জন...............”
“সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে.......... ........ ক্রসফায়ার.....”
“রাঙ্গামাটি থেকে.......... ........ ক্রসফায়ার.....”
“কুড়িগ্রাম থেকে.......... ........ ক্রসফায়ার.....”
“আলমডাঙ্গা থেকে........ ........ ক্রসফায়ার.....”
“বালুর চর থেকে......... ........ ক্রসফায়ার.....”
“বুড়িমারা থেকে ...................ব্রাশফায়ার.....”
আমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে উঠল। আমি জরূরী ভিত্তিতে নেত্রীর কার্যালয়ে দেখা দিলাম। নেত্রীর চেহারা বেজায় মলিন। আমি বললাম,
-স্যার এখন আমি কি করতে পারি?
ঊনি বললেন,
-যা পার তাই।
আমি বললাম,
-স্যার এভাবে চলতে থাকলে তো দু’ চার দিন পর আমিও ক্রসফায়ারে চলে যেতে পারি।
ঊনি চিৎকার করে বললেন,
-তাহলে আমি কি করতে পারি?
আমি কান চেপে ধরে বললাম,
-স্যার আপনার ছেলের কাছে ফোন করেন। ঊনি যদি আমাদের এই বিপদ মসিবতের সময় আমাদেরকে একটু সাহয্য-সহযোগিতা করেন........
ঊনি বললেন,
-ওর সাথে আমার কোন দিনই বনি-বনা হয়নি।
আমি বললাম,
-কিন্তু এই বিপদের সময় হয়ত কিছু কাজে আসতে পারে।
রাজ্যকন্যা ফোন করলেন। ওপার থেকে কোন সাড়া শব্দ এলো না। ঘন্টাখানেক পর ছেলে নিজ থেকেই ফোন করল।
রাজ্যকন্যা বললেন,
-বাবা তুই দেশে আয়; আমি যে কি বিপদে আছি। বাবা তুই দেশে আয়। এটা তো আমার পিতার সম্পত্তি; আমি মারা গেলে তোমরা ছাড়া আর কে এগুলো ভোগ করবে?
রাজ্যকন্যার ছেলে বলল,
-মা তোমাকে আমি বারবার বলেছি যে, নানাকে যারা হত্যা করেছে তাদের সাথে কাজ করা আমার দ্বারা অসম্ভব। আমি আসলে একটি রাজাকার বাহিনী গঠন করতে পারি। মুক্তিযোদ্ধাদের আমার বিশ্বাস হয় না, ওরা তোমার পরিবারের সবাইকে হত্যা করেছে।
নেত্রী আমাকে কাছে ডেকে বললেন শুনছ আমার পূত্রবধুর জামাই কি বলছে।
আমি ফোনটা হাতে নিয়ে ওর সাথে কথা বললাম। আমি বললাম,
-ভাইয়্যা রাজাকার বাহিনী গঠন করলে তো তুমি অনেকের জাত শত্রু হয়ে যাবে। এর থেকে রাজাকার শব্দটাকে একটু গুড়িয়ে বললে কেমন হয়? কেউ তোমার শত্রু হবে না সাথে সাথে তোমার আম্মাজানকেও সাহয্য করা হয়ে যাবে; কেমন?
ও বলে,
-রাজকার তো রাজাকারই,এটাকে আবার ঘুরিয়ে বলব কেমনে?
আমি বলি,
-এটা তো একবারে সোজা রাজাকারে’র বাংলা অর্থ হচ্ছে †¯^”Qv‡meK| সুতরাং তু
ডিজিটাল বাংলাদেশ:৪র্থ পর্ব (২৮ অক্টোবর এর উপর উৎসর্গকৃত একটি উপন্যাস)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !
"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমিত্ব বিসর্জন
আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।
"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?
স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন