এই অসহ্য গরমটা খানিকটা রোমান্টিক! অনেকের মনে হবে, অতি গরমে পাগল হয়ে গেছি! অস্বাভাবিক না। কিন্তু আমি মিথ্যে বলছি না!
এতক্ষণে হয়তো বাংলাদেশের প্রত্যেকটা গ্রামে সবার রাতের খাবার খাওয়া হয়ে গেছে। ওই কোনও এক অজপাড়া গ্রামের, কোনও এক কৃষক, একটা হারিকেনের অল্প অল্প আলোতে আলু ভর্তা আর ডাল মেখে ভাত খাচ্ছে, ঠিক তখন তার স্ত্রী একটা হাতপাখা নিয়ে অবিরাম তার স্বামীকে বাতাস করে যাচ্ছে। কতক্ষণ পর পর হয়তো আঁচল দিয়ে কপালের ঘাম মুছে দিচ্ছে। হয়তো খাওয়া শেষে, কল থেকে ঠান্ডা পানি এনে দিচ্ছে। এটা বাংলার অজপাড়া গাঁয়ের খ্যত মানুষ গুলোর রোমেন্স!
রোমেন্স ভাই এই গরম! এই গরমে সে তার রুমাল দিয়ে আমার মুখের ঘাম মুছে দিচ্ছে। ঘামের গন্ধ আর পারফিউমের গন্ধ মিলে একটা উটকো গন্ধেও আমার এক হাত জড়িয়ে বসে আছে! আমার পিঠে যখন তার হাত গেল, ঘামে ভেজা টি-শার্টটা থেকে সে হাত সারালো না। যদি আমি মনে করি, সে আমার ঘামকে ঘৃণা করছে! রোমেন্স ভাই এগুলো! রোমেন্স হল এই গরম!
এই গরম অনেকটা মমতার প্রতীকও! এই যে, গরমে ঘেমে কাহিল হয়ে বাসায় আসার পরে আম্মু ঠান্ডা পানি দিয়ে ট্যং গুলে দিল। এই মমতা গরম ছাড়া আর কোথায় আছে!
রোমেন্স, ভালবাসা, মমতা ভর্তি এই গরম, এতটাও মন্দ না!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫