জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষার স্বার্থে পহেলা বৈশাখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিশ মাছ খাবেন না!
অনেকে বলে বসতে পারেন আমরা পাই না, তাই খাই না। আর প্রধানমন্ত্রী পেয়েও খান না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ঐতিহ্যবাহী জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষার স্বার্থে নববর্ষ উদ্যাপনের দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ ১৪২৩-এর দিন আপনার খাবার ম্যানুতে ইলিশের কোনো আইটেম থাকছে না। ধন্যবাদ দিতেই হয় আপনাকে। তবে শুধু পহেলা বৈশাখে কেন? যদি মা ইলিশ ধরা নিয়ে সরকারের ‘আশু উদ্যোগ’ থাকতো তাহলে বারো মাসই আমরা ইলিশ মাছ খেতে পারতাম। কারণ, আমাদের জাতের সঙ্গে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ টাইটেলটা এখনো যুক্ত আছে।যদিও বর্তমানে সেটি বড্ড বেমানান হয়ে গেছে।
প্লিজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনিও ইলিশ মাছ খান। আমাদেরও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। কারণ আমরা (নাগরিক) চাই আমাদের প্রতি বেলার খাবারের ম্যানুতে ইলিশ মাছ কিংবা তার চাইতেও ভালো কিছু থাকুক। আমরা ঐক্যের জাতি হিসেবে কোন ইস্যুতে ঝগড়া-ফ্যাসাদ বাঁধাতে চাই না। শুধু একজন নাগরিক হয়ে নিম্ম লিখিত কিছু উদ্যোগের কথা বলছি। তা যদি আংশিক মেনে নেয়া হয় ইনশাল্লাহ আগামী বছর মিডিয়ার মাধ্যমে শুনতে পাবো বাংলাদেশে ইলিশের দাম ১০০-১৫০ টাকা। ধনী-গরিব সবাই পান্তা-ইলিশ খেয়ে নববর্ষ পালন করছেন।
১.নির্দিষ্ট সময়ে ঝটকা এবং মা ইলিশ বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন।
২. ঝটকা নিধনের প্রধান উপকরণ কারেন্ট জাল তৈরী, আমদানি, বিক্রি এবং পরিবহন নিষিদ্ধ করা।(মৎস রক্ষা ও সংরক্ষন আইন ২০০২)
৩. ঝটকা ধরার মৌসুমে জেলেদের মাঝে চাল-খোরাকি বিতরণ ছাড়াও তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণের ব্যবস্থা করা।
৪ দেশের প্রধান ৪টি ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্র কে ১৫ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত বড় পূর্ণিমার ১০ দিন মা ইলিশ না ধরার ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬