(অটোবায়োগ্রাফি : উত্তম কুমার)
প্রথমে বলে রাখি আমার ধারনা আত্মজীবনী লেখায় কেউ বোধয় খারাপ করে না ! যাহোক একজন মহানায়কের আত্মজীবনী এটি।
পুরো পৃথিবীকে একদিকে ঠেলে দিয়ে অভিনয়ের প্রতি সুতীব্র নেশাগ্রস্থ এক বালক কিভাবে নায়ক হয়ে গেলো সেটাই পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠায় আবর্তিত হয়েছে।
শৈশবে পারিবারিক বাঁধা পেরিয়ে লুকিয়ে চুরিয়ে স্টেজ শো, যাত্রা পালার দিকে ঝুঁকে পড়ে এক বালক। আর তারপর গল্পের ছলে উঠে আসে বিসৃত এক টাইমলাইন - ইংরেজদের পতন, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু, ভারতের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
যুবক অবস্হায় কেরানীর চাকরীটা কোনরকম টিকিয়ে রেখে ছিনেমায় 'এক্সট্রার' রোল করা। প্রযোজক পরিচালকের কাছে অজস্র বার লাঞ্ছিত হওয়া। কন্ট্রাক্ট পেপারে সাইন করার ঠিক আগ মুহুর্তে কলম কেড়ে নিয়ে অপমান করা এবং গুনে গুনে প্রথম আট দশটা ছবি সুপার ফ্লপ খেয়ে মানসিক অবস্হার একেবারে তলানিতে চলে যাওয়া এসবই আরেক ছিনেমা।
অতঃপর নানান চড়াই উত্রাই পেরিয়ে হঠাত্ স্টার হয়ে যাওয়া। আর তারপর...
চরম অবহেলিত লোকটিই শাসন করতে শুরু করে গোটা সিনেমা জগতকে।
আর তখন উল্টো তাকে ভেবেই লেখা হতে থাকলো স্ক্রিপ্ট। সত্যজিত্ রায়ের নায়ক ছবিটিই হয়তো তার আরেক জীবনী।
এর মাঝে মাঝেই প্রথম সিগারেট, প্রথম প্রেম, প্রায় বেকার অবস্হায় বিয়ে এসবো এক উদভ্রান্ত কেয়ারলেস জীবনের পরিচয় বহন করে। কিন্তু দাঁতে দাঁত কামড়িয়ে সে তার প্যাশন টা ঠিক ধরে রাখে।
তো এটা যে একটা ছিনেমাময় বই তা বলাই বাহুল্য :p
অনুলেখক : গৌরাঙ্গ ঘোষ
.....
রিভিউ লেখক এই নায়কের - 'নায়ক', 'চিড়িয়াখানা' আর 'আনন্দ আশ্রম' এই তিনটি ছবি দেখেছে
-----
দেখতে পারেনঃ গোঁফওয়ালা সাইট
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬