ইদানিং একটা ভিডিও প্রচুর পরিমাণে চোখে পড়ছে, সেটা হলো এসএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়া কিছু ছেলেমেয়ের টেলিভিশনে নেয়া সাক্ষাৎকার। তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় নেপালের রাজধানী কি? তারা বলে নেপচুন! ব্যাপারটা হয়তো পাতানো, হয়তো ছেলেপেলেগুলোকে আগে থেকেই বলে দেয়া হয়েছিলো যে তোমরা এরকম ভুলভাল উত্তর দেবে-কিন্তু তবু আমি এই টিভি রিপোর্টকে সাধুবাদ জানাই, কারণ এই প্রথম আমি দেখতে পেলাম যে বাংলাদেশের একটা বড় অংশ মিলে শিক্ষাব্যবস্থার ভুলত্রুটি নিয়ে কথা বলা শুরু করেছে, সেটাতে তাদের নিজেদের লেজে আগুন থাকুক আর না থাকুক।এখন কমপক্ষে সবাই মিলে আমাদের শিক্ষা নিয়ে আরেকবার ভাবতে বসেছেন-যে শিক্ষাযন্ত্রণার মধ্য দিয়ে আমরা বারো বছর, ষোল বছর পার করি-সেটা নিয়ে কথা বলতে বসেছে। একের পর এক সরকারী পরীক্ষা আর আধাসরকারী ভর্তিপরীক্ষার পাশা খেলে খেলে আমরা বড় হই আর সবাই মিলে অপেক্ষা করি সরকারী নিয়োগের মহাপাশাখেলার জন্য। প্রত্যেক বারে বারে আমরা দোয়া করে যাই যাতে এইবারে ডাবল ছক্কার দান ওঠে আর আমরা পরের ধাপে উতরে যাই। প্রতি ধাপে ধাপে পুনরায় ডাবল ছক্কা ওঠবার সম্ভাবনা ছোট হতে থাকে আর যারা উতরে যায় তাদের নিজেদেরকে অন্যদের থেকে বড় কিছু একটা মনে করবার আরো একটা উপায় সৃষ্টি হয়। যেই কেউ একধাপ উতরে যায়-তার চোখে আর পাশাখেলাটাকে ভুল বলে মনে হয়না। আর যারা ততোটা ভাগ্যবান নয়-তারা তো নষ্ট হয়ে যাওয়া ব্যর্থ ছেলেপেলে-তাদের কথা আর কে শোনে?
কাজেই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় জন্য দেশ অধঃপাতে যাচ্ছে-এই কথাটা পুরোপুরি সত্যি নয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যতটা সমস্যা তারচেয়ে বেশি আমাদের সমস্যাটা হলো আমাদের শিক্ষাগত দর্শনে, আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতে। যেই সংস্কৃতি উঠতে বসতে দিনে তিনবার সরকারকে গালি দেয় আবার কোন একটা সমস্যা হলেই সরকারের পানে তাকিয়ে বসে থাকে। যেই সংস্কৃতি কোন একটা অদ্ভুত কারনে বিশ্বাস করে যে উপরে কোন একজন আছেন মহান জ্ঞানী ব্যক্তি-যাবতীয় সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন, আর তার কথামতো আমরা চলবো আর কোন ভুলত্রুটি যদি হয় তাহলে আবার সরকারকে গালাগাল করে হা হুতাশ করে ক্ষান্ত হবো। আমরা আমাদের সরকার থেকে এতো বেশি আশা করি বলে বারেবারে আশাহত হই-আমাদের বানানো দেবতারাই আমাদের বানানো শয়তান হয়ে ওঠে।
আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের শিক্ষার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণ থেকে একধাপ এগিয়ে গিয়ে চারটা পাবলিক পরীক্ষা নেয়-সেইটাই আসলে মন্ত্রণালয়ের কাজের চেয়ে বেশি আর অপ্রয়োজনে পয়সা নষ্ট করা বলে আমার মনে হয়। তবে আমাদের মতন একটা উন্নয়নশীল দেশে এই পাবলিক পরীক্ষাগুলোর দরকার হয় এইজন্য যে-যাতে করে মনিটর করা যায় যে দেশের সব জায়গায় একই রকম শিক্ষার মান নিশ্চিত করা যাচ্ছে কিনা। যে স্কুলে এসএসসিতে জাতীয় গড়ের চেয়ে খারাপ ফলাফল হচ্ছে-সেখানে কোন একটা ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি আছে-যেটাকে ঠিক করা দরকার, এই ধরণের ডায়গনসিস করবার জন্য সরকারী পরীক্ষা। একটা সরকারী পরীক্ষা দিয়ে ছেলেপুলের মেধা যাচাই করে ফেলা যায় এতোটা ঐশ্বরিক সম্ভবত শিক্ষাবোর্ডও নিজের পরীক্ষাকে মনে করেনা।
মান নিশ্চিত করার এই পরীক্ষাটিকে যে ঐশ্বরিক পর্যায়ে আমরা তুলেছি যে এইখানে গোল্ডেন পেলে সে জাতের আর গোল্ডেন না পেলে সে অজাত-কুজাত, সেটা তো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন নির্দেশনা না। সেইটা আমরা স্বেচ্ছায় করেছি। পাবলিক পরীক্ষায় গোল্ডেন যদি এতই গুরুত্বহীন হয়-তাহলে আমরা সেটাকে গুরুত্ব দেই কেন? দুনিয়ার সবাইকে কেন আমরা পরীক্ষার পরে গোল্ডেন, গোল্ডেন করে মাথা খারাপ করে ফেলি?
কারণটা খুব সরল। কারণটা হলো, আমরা খুব অলস প্রকৃতির মানুষ। একটা ছেলেকে বা একটা মেয়েকে তার ভেতরের যে মেধা বা প্রজ্ঞা-সেটাকে খুঁজে বের করে তাকে উৎসাহিত করতে যে ধৈর্য্য লাগে, সেই ধৈর্য্যটা আমাদের নেই। আমরা খুব সহজ কোন প্রক্রিয়ায় আমাদের ছেলেপেলেদের বিচার করে ফেলতে চাই। গোল্ডেন পাইসো? বা অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইসো মার্কা হ্যা না উত্তরে সেটা করে ফেলা খুব সহজ, তাই আমরা সেটাই করে ফেলতে চাই। এই একই আলস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন বিষয়ে আমরা পাশ করে সেই বিষয়ের চাকরি নাই চাকরি নাই করে মাথা ফাটায়ে ফেলি-চাকরি তৈরি করার চেষ্টা করিনা। লো রিস্ক, হাই গেইন মার্কা সরকারী চাকরি খুঁজে চাকরি পাবার প্রক্রিয়ায় খরচ হওয়া ঘুষের টাকা সুদে আসলে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি।
আমি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বসবাস করি-এখানের অনেক ছেলেমেয়েকে পড়াই। ইদানিং তারা একটা পরীক্ষা নিয়ে খুব বেশি করে প্রাকটিস করছে-সেটা হলো এসওল-স্ট্যান্ডার্ড অফ লার্নিং। ভার্জিনিয়ার শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রতিবছর এই পরীক্ষাটি নেয়া হয়, এই ব্যাপারটা লক্ষ্য রাখবার জন্য-যে সব স্কুলে একই শিক্ষার মান বজায় আছে কিনা। আমার এক ছাত্রীর নাম আরিয়ানা। আরিয়ানা প্রথম এক ঘন্টায় এসওএল এর জন্য পড়ে বললো-আচ্ছা, আমার না ফিজিক্স ক্লাসের জন্য একটা রিসার্চ পেপার লিখতে হবে-একটা ছোট এক্সপেরিমেন্টের মতন করতে হবে। আমি চিন্তা করেছি হাইড্রোইলেক্ট্রিসিটি নিয়ে কাজ করবো-কিন্তু ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর ডিপেন্ডেন্ট ভেরিয়েবল কি হবে-সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। ক্যান ইউ হেল্প মি উইথ দ্যাট?
এই ছোট্ট গল্পটা বললাম এইজন্যে যে আমার চোখে ভার্জিনিয়ার স্ট্যান্ডার্ড অফ লার্নিং আর বাংলাদেশের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট খুব একটা আলাদা কোন ব্যপার নয়। সরকারি একটা শিক্ষার মান নির্নয়ের পরীক্ষা-যেটাতে খুব সাধারণ মানের প্রশ্ন হয়, যাতে করে শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে পরের পর্যায়ে যাবার জন্য প্রস্তুত হয়েছে কিনা সেটা যাচাই করা যায়। এখানের ছাত্রছাত্রীরা সেটাকে খুব একটা পাত্তা দেয়না-কোনমতে পাশ করে যেতে পারলেই খুশি-পরের ক্লাসে উঠতে পারবে! আমরা আমাদেরটাকে এতো বেশি পাত্তা দেই যে এই পরীক্ষার ফলাফল খারাপ করলে সত্যিকারের মানুষদের নিজেদের জীবন শেষ করে দিতে ইচ্ছে হয়।
আমেরিকার স্কুলগুলো, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারি, বেসরকারি কোন পরীক্ষারই বিশেষ ধার ধারেনা। তারা তাদের মতন করে আলাদা করে কারিকুলাম বানায়। তারা ক্লাসে কি পড়াবে না পড়াবে-সেটা পুরোপুরি তাদের নিজেদের উপর। আমার ছাত্রীর ফিজিক্স টিচার চায় এসওএল এর বাইরেও তার ছাত্রীরা একটা করে রিসার্চ পেপার লিখুক-ইংরেজি শিক্ষিকা চান তার ছাত্রী শুধু অন্যের কবিতার মানে মুখস্ত না করে বরং নিজে একটা ভাঙ্গাচোরা কবিতা হলেও লিখুক।
আমরা কেনো সেরকম কিছু একটা করতে পারিনা? কেনো আমাদের ক্লাস এইটের একটা বাচ্চা জেএসসি দিয়ে পাশ করে ওঠার আগেই তাকে আমরা এসএসসির জন্য প্রস্তুত করা শুরু করে দেই? কেনো আমাদের সব অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা একেবারে হুবুহু এসএসসি মডেলে তৈরি করা হয়? শিক্ষকের কি পারেন না-সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিতে যে, না তারা শুধু পরীক্ষা না-আরো অনেক কিছু দিয়ে মিলিয়ে এইবার শিক্ষার্থীদের মান নির্ণয় করবেন? একেকজন ব্যক্তিগত শিক্ষক কিন্তু তার ব্যক্তিগত ক্লাসরুম থেকেই এই পরিবর্তনটা নিয়ে আসতে পারেন।
আমি জানি ব্যপারটা আমাদের বর্তমান অতিসরকারনির্ভর অবস্থান থেকে অসম্ভব মনে হচ্ছে-কিন্তু এরকম কিছু একটা করে ফেলা খুবই সম্ভব। আজকের বাংলাদেশ যদি টেন মিনিট স্কুল আর স্কুল অফ সুপারম্যানের হয়ে থাকে-তাহলে কালকের বাংলাদেশে একটা শিক্ষাবিদদের গড়ে তোলা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের থেকে সামগ্রিক মেধা যাচাইয়ের ফলাফল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মাপকাঠি নির্ধারণ করা হতেই পারে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এক পিস সরকারি পরীক্ষা দেখে ফর্ম বিক্রি করে-আরেক পিস ইররিপ্লেসেবল পরীক্ষা দিয়ে ছাত্রত্ব দেয়। পরীক্ষার বাইরে কোনকিছু দেখবার মতন ধৈর্য তারা করে উঠতে পারেনা-আর পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রেও ছাত্রছাত্রীদের কয়েকটি অপশন দিয়ে উঠতে পারেনা। যখন দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এরকম এক পরীক্ষা-এক রেজাল্ট নির্ভর ব্যবস্থায় বেঁচে থাকবে-তখন তো গোড়ায় সমস্যা লেগেই থাকবে।
আমি অনেক এমন চিন্তিত মানুষকে দেখেছি যারা কোচিং সেন্টারের দৌরাত্ম্য নিয়ে চিন্তা করতে করতে মাথায় ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে। আমি যখন বলি যে কোচিং সেন্টার নিয়ে আপনাদের এতো সমস্যা কি? কিছু উদ্যোগী তরুণ নিজেরা কিছু গড়ে খেতে পারছে-খারাপ কি? তখন তারা বলে-কোচিং সেন্টারের জন্য নাকি ছেলেপেলেরা স্কুলে যায়না, তাই তারা চিন্তিত। আরে ভাই! আমাদের স্কুলগুলোই যদি কোচিং সেন্টার হয়ে যায় আর একেকটা সরকারি পরীক্ষা আর ভর্তি পরীক্ষার জন্য ছেলেপেলেকে প্রস্তুত করার জন্য কোমর বেঁধে নামে-তাহলে তো তাদেরকে কোচিং সেন্টারের সাথে প্রতিযোগিতা করতেই হবে। একই প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন-আর একই মার্কেটে কম্পিটিশন করবেন না, তাই কি হয়? যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর দীক্ষা প্রতিষ্ঠানের তফাৎ আমরা না বুঝি-আমাদের সব স্কুল পরাজিত কোচিং সেন্টার হয়ে যেতে বাধ্য। যদি আমরা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা দিতে না পারি-তাহলে আমাদের শিক্ষার ব্যর্থতার দায় আমাদেরই নিতে হবে।
সেই নিউজ রিপোর্টটি সাজানো হোক আর না সাজানো হোক-সেটাতে ছেলেমেয়েগুলোর চোখেমুখে যে ভয়, সেটা কিন্তু সাজানো নয়। সবার সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে যাবার ভয়-হাত পা শক্ত হয়ে যাওয়া-ঘাম বের হওয়া, এগুলো সত্যি। এগুলো আমি আমার সহপাঠীদের মাঝে, আমার জুনিয়রদের মাঝে দেখেছি। মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা কথা বলতে ভয় পাই। নিজের মতটা তুলে ধরতে ভয় পাই। এই মানুষগুলোর অনেকে এসএসসি পাশ, এইচএসসি পাশ এমনকি অনার্স মাস্টার্স পাশ। বারো বছর-ষোল বছরের শিক্ষা এদের মুখে কথা ফুটিয়ে তুলতে পারেনাই। এরা গণতন্ত্রে অংশ কেমন করে নেবে? এরা নিজেদের চাহিদা কিভাবে করে ফুটিয়ে তুলবে? কিভাবে করে এরা নিজেদের উদ্ভাবন তুলে ধরে গবেষণা পত্র লিখবে?
যে সমস্যার যত গোড়ায় যাওয়া যাবে-সেই সমস্যা সমাধান করা হবে ততই সহজ। জার্মানিতে একসময় একটা ছাত্র সংগঠন ছিলো উনিশ শতকের দিকে। নাম ছিলো বুরশেনশাফট। তোমার আমার মতন ছাত্ররা একত্রে এসে গল্প করতো, আড্ডা দিতো আর নিজেরা নিজেরা প্রাতিষ্ঠানিক আর অপ্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা করতো। একসময় দেখা গেলো জার্মানির রিইউনিফিকেশনে এরাই সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকায় উঠে দাঁড়িয়েছে। অতোদূরে না যাই-আমাদের বাংলাদেশের একাত্তর পুর্ববর্তী ডাকসু-সাধারণ ছাত্রদের একসাথে এসে সমাজ নিয়ে কথা বলা। নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে বিকশিত করা-একে অন্যের। এরচেয়ে সুন্দর শিক্ষার ভিত্তি কি হতে পারে?
এইজন্যে আমি ছাত্র সংগঠনের কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলি-কারণ একবার যদি ছাত্র সংগঠনগুলো একসাথে বসে সমস্যা সমাধান করা নিয়ে চিন্তা করা শুরু করে-তারা দুনিয়া বদলে দিতে পারে। যেকোন সরকারী পরীক্ষা-সরকারী নীতিনির্ধারণ-শিক্ষাবিদের বক্তৃতার চেয়ে অনেক অনেক কার্যকরী আর শক্তিশালী ভাবে।
আমাদের নিজেদের শিক্ষা গড়তে হবে নিজেদের প্রয়োজনে-নিজেদের অংশগ্রহনে। যাতে পরেরবার আমাদের নিয়ে কেউ উপহাস করতে আসলে আমরা তাদেরকে নিয়ে একচোট হাসাহাসি করে নিতে পারি-আর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বলতে পারি, এতো বছর বয়সে এতোজন মানুষকে নিয়ে একসাথে আমি এতোগুলো সমস্যার সমাধান করেছি। শিক্ষাবিদেরা এসে আমাদের সমস্যা সমাধান করে দিয়ে যাননাই-আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করতে শিখেছি। আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করতে শিখেছি।
লেখকঃ অনুপম দেবাশীষ রায়,
রাজনীতিবিদ্যা, অর্থনীতি ও দর্শন,
হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি, ওয়াশিংটন ডি.সি.
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪