পত্রিকা পড়তে পড়তে মেডিকেল এ ভর্তির আবেদন চোখে পড়লো আকাশের। হঠাৎই চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো তার। আনমনেই চলে গেলো কিছুটা ফ্ল্যাশব্যাকে।
সময়টা ২০০৯। নভেম্বর মাস। অফিসে কাজে ব্যস্ত আকাশ। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো। বৃষ্টির ফোন।
বৃষ্টি! ও হ্যা বৃষ্টি। আকাশের প্রেমিকা।
ঢাকার একটি স্বনামখ্যাত গার্লস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী। টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আজ তার ফলাফল প্রকাশের দিন। ব্যস্ততার মাঝে সেটা ভূলেই গিয়েছিলো আকাশ।
কাজ করতে করতেই ফোন ধরলো আকাশ। বৃষ্টির কথা শুনে আকাশের কপালে দুশ্চিন্তার বলিরেখা। আগামীকাল এর মধ্যে তার ১০০০ টাকা খুবই প্রয়োজন। কারন টেস্ট পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে সে। জরিমানা হিসেবে এই টাকা দিয়ে তাকে ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরন করতে হবে। বাবা মার কাছে চাইতে পারছে না। কারন এটা জানলে তার বাবা তাকে বকা তো দিবেই, মারবে ও।
এখন আকাশই তার একমাত্র ভরসা। আকাশ টাকা না দিলে তার পরীক্ষা দেয়া তো দূরে থাক তার পড়ালেখাও হবে কি না সন্দেহ। কি আর করবে বেচারা আকাশ। দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলো। এমনিতেই পকেট ফাকা। কিন্তু প্রেমিকাকে তো আর না করা যায় না। তার উপর এরকম একটি জরুরী প্রয়োজন। আর আকাশ ও বৃষ্টি, দুজন দুজনকে প্রচন্ড ভালোবাসে। একসাথে সংসার করার স্বপ্ন তাদের চোখে।
অগত্যা অনেক কষ্টে টাকা যোগাড় করে পরের দিন বৃষ্টিকে দিল আকাশ। আর বৃষ্টি ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরন করে তাকে ফোন দিয়ে জানালো সেটা। আরো অনেক অনেক ভালোবাসার লাল নীল স্বপ্নের কথাও বললো বৃষ্টি।
হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অন্ধকারে বর্তমানে ফিরে আসলো আকাশ।
বৃষ্টি এখন মেডিকেল এর শেষ বর্ষের ছাত্রী। এতদিনে ফাইনাল পরীক্ষায় পাশ করে ইন্টার্ন চিকিৎসক হওয়ার কথা। হয়েছে কি না জানা নেই আকাশের।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬