আমগো বেবাক ফেসবুক ভাইলোগ- একখান কথা কইবার চাই:
দেশ আর জনগণের যাবতীয় বিষয়ে আপনেরা সারা জীবন ফাল পাইড়া আসছেন। আপনাগো লগে লগে আমিও ফাল পাড়ি। মাজার হাড্ডি দুই একটা ঢিলা হওয়া ছাড়া খুব একটা লাভ হয়নাই। দেশ উদ্ধার হয়নাই; ছোটলোকেরা আরও ছোটলোক হইছে, বড়লোকেরা আরও বড়লোক হইছে। আমি কই কি, এইবার দেশ উদ্ধার বন্ করেন। অনেক তো করলেন। অ্যালা অফ যান, অ্যালা একটু জিরান।
তয় হুনছি আপনাগো আর কুনু কাম নাই- দেশ উদ্ধারই নাকি আপনেগো ফুল টাইম চাকরি। তাই যদি হয়, তাইলে এই অধমের এক পিস সাজেশন আছে। দেশ উদ্ধার না কইরা একটু দেশের মানুষরে উদ্ধার করেন দেখি। তাতে কাম হইলেও হইতে পারে। এইরকম কয়ডা আইডিয়া আছে মাথা। একটা এখনই কইতাছি খাড়ান...
ধরেন- আর সব দেশ কাপড় বানায় সূতা দিয়া, সুঁই দিয়া, সেলাই মেশিন দিয়া। আমরা বানাইতাছি মানুষের লাশ দিয়া। কখনও ইটচাপা, কখনও হিউম্যান তন্দুরী... তারপর এইসব কাপড় বেচি বিদেশে। আর আবার আমরাও বিদেশ থেইকা কাপড় আইনা পড়ি; মেড ইন বাংলাদেশ ফকিরনির পুলাও পড়ে না। একখান কাম করলে কেমন হয়? চলেন- আইজ থেইকা বেবাকরে কই- “আয় বেটা, মেড ইন বাংলাদেশ ছাড়া কাপড় কিনবি না। বিদেশী বিস্কুট খাবি না, বিদেশী দুধ খাবি না। যা কিছু খাবি, পড়বি আর ইউজ করবি- সবকিছু বাংলাদেশী।” চলেন- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চেগানো বন্ধ করি। আসেন- কথায় কথায় আল্লাহ-খোদারে নিয়া টানাটানি বন্ধ করি- বেচারারে একটু শান্তিতে থাকতে দেই। আসেন- ফেসবুকে *ালছাল স্ট্যাটাস দেওয়া বন্ কইরা সবাইরে দেশী জিনিস কিনার কথা কই। কুনু বাঙ্গালি আইজ থেইকা ইন্ডিয়ান পিঁয়াজ-রসুন আর পাকিস্তানী বাসমতি-বোরহানি মসল্লা না কিনে... এই ডাক দেই।
পরিশেষে আমি নিজেই একটু ছোটখাট ডাক দিবার চাই-
“আবে ও বাংলাদেশের মালখোর জনতা... যদি মাল খাইয়া টাল হইয়াই থাকতে চাও, তাইলে এট লিস্ট দিশি মাল খাও। হুনছি- দিশি মালে নাকি নেশাও কড়া হয়, টাল হওয়াও সহজ... কাজেই, দিশি মাল খাও, দ্যাশের টেকা দ্যাশেই রাখো।”
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৪