শুষ্ক রুক্ষ চুল, নির্ঘুম রাঙা চোখ হরিণীর;
একঘেয়ে রাত, চিন্তার ঝড় ওঠে,
ঘুমে বা নির্ঘুমে ফিরে ফিরে মনে আসে-
কার ছবি? কার চোখ? কার কথা ভেবে ভেবে-
সব কাজ পড়ে থাকে, জানালার পাশে বসে
উদাস দৃষ্টি মেলে কাকে খোঁজে? হঠাৎ চমকে উঠে
উতলা চোখ নেচে ওঠে; কাকে দেখে?
অথবা সে দেখে না। তবু শুধু চেয়ে থাকে...
শ্যামল বর্ণ, অমসৃণ গাল তরূণীর
কৃষ্ণকলি নয় সে ঠাকুরের, নয় বনলতা জীবনের;
হয়তো সেও কারো কৃষ্ণকলি, কারো বনলতা হয়।
রোজ রোজ জানালায়, উদাস দৃষ্টি মেলে-
কাকে খোঁজে? কাকে পায়? সেই সে যুবক-
যার নাটিকার নায়িকা সে, যে তার নায়ক...
পেলে তাকে? শুধাই আমি। বিষণ্ন সে চেয়ে থাকে,
কিছু বলেনা, বোবা চোখ বোবা নয়, দৃষ্টিও কথা কয়,
এক চোখে আশা, প্রেম, আর চোখে শঙ্কা-
হয় যদি সে স্বপ্নের নায়কই, যার সাথে পরিচয়
সেদিন; দুদিন ধরে যার সাথে রাতদিন কথা কয়-
কিংবা যদি সে- আসলে সে না হয়?
এক চোখে আশা, প্রেম, আর চোখে দ্বিধা নিয়ে-
জানালার পাশে বসে, সড়কের জনস্রোতে,
কাকে যেন খুঁজে যায়... কাকে যেন খুঁজে যায়?