আকাশের পুরোটা জুড়েই মেঘ। সূর্য উঠতে গিয়েও মিলিয়ে যাচ্ছে কৃষ্ণ কাদম্বিনীর আড়ালে। দিনভর টিপটিপ বিন্দু বৃষ্টি আবার কখনো সখনো অবিশ্রাম জলপতনে ভিজে একাকার হচ্ছে সবকিছু। আষাঢ়ের বিদায় বেলায় গত ক’দিন হলো ঋতু রানী বর্ষা প্রকৃতির সাথে এরূপ বৃষ্টিসঙ্গমে মেতেছে। এভাবেই চলবে আরো কয়েকদিন। যতক্ষণ না সমুদ্র শান্ত হয়। তারপর রোদ বৃষ্টির খেলায় মাখামাখি থাকবে পুরোটা ঋতু।
ঋতুর এমন জলপতনের খেলায় প্রকৃতি সবুজ হয়ে উঠছে। এমন সজল জলদ দিনে কারো বুকে প্রেমের ঢেউ খেলে গেলেও কেউ কেউ পুষে রাখা অনুভূতির বৃষ্টি ঢেলে দিচ্ছেন। কেউ কবিতার খাতা ভরে ফেলছেন বর্ষালী শব্দে। কেউ গল্প উপন্যাসে বাদল দিনগুলোকে সেঁটে দিচ্ছেন শব্দগুচ্ছে। বর্ষণসিক্ত দিন কবি-লেখকদের লিখালিখা’র বিশেষ রসদ যোগায় আর সাধারণ প্রেমিকযুগল এবং নিঃসঙ্গ মানুষদের অনুভূতি এভাবেই তাড়া করে বেড়ায়।
তবে শহুরে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের কাছে বৃষ্টির দিন মানেই যেন একটি শঙ্কা! কারণ জলপতনের সাথে সাথেই স্থবির হয়ে যায় জনজীবন। ছাতা মাথায় আর কতটুকু কূলোয় যদি বৃষ্টিপাত ঝমঝমিয়ে নামতে থাকে দীর্ঘক্ষণ? আকাশ থেকে ঝরে পড়া বৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষই নিরাপদ আশ্রয়ে গুঁটিসুঁটি মেরে যে যার মতো দাঁড়িয়ে যায়। বৃষ্টিমুক্ত আকাশের অপেক্ষা করতে হয় অনবরত। এরপর বৃষ্টিতে ভিজে কর্দমাক্ত রাস্তাঘাট। ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। উপায় না থাকায় নোংরা পানিতে জুতা-পোশাক ভিজিয়ে গন্তব্যমুখী হতে হয়। যেন এক দুর্ভোগ জেঁকে বসে।
ছবিঃ আমার তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪২