মামা শশুরঃ বউমা, চা টা খুব ভাল হয়েছে।
শাশুরিঃ চা পাতিটা ভাল, এটার চা এমনিতেই ভাল হয়।
জামাইবাবুঃ বৌদি তুমি আমাদের সাথে খেতে বসছনা কেন? এসো একসাথে খাই।
শাশুরিঃ আমি চুলা থেকে নামিয়ে সাথে সাথে পরোটা খাই। আমার পরোটা যেন ঠাণ্ডা না হয়।
ননদঃ আমিও তাই খাই,
জামাইঃ এটা কি ডিম ভাজি হয়েছে? তেল কম দিতে পারো না?
শাশুরিঃ ওর বাপের বাড়ির মানুষ তেল দিতেই চায় না, একটা কাজও ঠিকমত পারে না।
বাচ্চাঃ আম্মু আমি পরে খাবো।
অতঃপর বউটি নাস্তা খেতে বসল, তখন সবার চা খাওয়া পর্যন্ত শেষ। চা দিয়ে ভিজিয়ে একটা পরোটা। এটাকে ঠিক নাস্তা খাওয়া বলে না, বাঁচতে হলে খেতে হবে, তাই কিছু একটা গিলা।
ছোট ভাইঃ আপা তুমি এত ভাল রান্না শিখেছ কিভাবে? বাসায় তো তুমি এক কাপ চা ও বানায় খেতা না ।
বউঃ আমার রান্না তে এই বাড়ির কারো রুচি নাই রে ভাই, যখনই ওরা খেতে বসে তখন ত্রুটি গুলো সবার সামনে বিশ্লেষণ করে। আমি পরবর্তী রান্না করার সময় চেষ্টা করি ত্রুটি গুলা সংশোধন করতে। এই ভাবেই ভুল গুলা সংশোধন করতে করতে হয়ত ভাল হয়ে গেছে আমার রান্না। কিন্তু ভাই, আমি বুঝি না, কারন আমার কোন কিছু খেতে ভাল লাগে না। তাই টেস্টও বুঝি না আমি।
ছোট ভাইঃ আপা তোমার মনে পরে একবার সখ করে রান্না করতে যেয়ে তরকারিতে লবণই দাওনি, সেই তরকারি আব্বু দিব্বি খেয়ে বলল "অনেক মজা হয়েছে" ---- মনে আছে তোমার?
বউঃ মনে আছেরে ভাই, ছোটবেলা থেকে শিক্ষা পেয়েছি "কাউকে যেন লজ্জা না দেই" কিন্তু কি কপাল আমার দেখ, রান্না ভাল হলে কেউ প্রশংসা করে না, কিন্তু খারাপ হলে সবাই বয়ান করে। কি আর করার----- ভুল থেকে যদি ভাল কিছু হয় তবে ভুলই সই(ঠিক)। :-)