গাজায় ইসরায়েলি হামলা হলো ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের একটি অংশ, যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। এই হামলা শুরু হয়েছিল যখন হামাস ইসরায়েলে ব্যাপকভাবে রকেট হামলা চালায়, যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে।
এই হামলার প্রধান লক্ষ্যে ছিল হামাসের সামরিক স্থাপনা, কিন্তু এর ফলে গাজার বেসামরিক এলাকাগুলিতেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে। ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ এবং গোলাবর্ষণ করে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং আহত হয়েছে। গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় মানবিক সংকট আরও বেড়েছে। এই সংঘর্ষে ইসরায়েলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে রকেট হামলায় বেশ কিছু মানুষ নিহত হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৪০,০০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ নতুন হামলার ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হচ্ছে। বিশেষ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে যে, ৪০,৬৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৯৪,০৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া, এই সংঘর্ষে বহু নারী ও শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১,৪৭৮ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এই সংখ্যা মূলত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে সংঘর্ষে নিহতদের অন্তর্ভুক্ত করছে।
এই সংঘর্ষ আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছে, হইয়েছে অনেক আলোচনা আর সমালোচনাও। কিন্তু ফলাফল অন্তসার শূন্য। যদিও একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ভিবিন্ন ভাবে চাপ বাড়ানো হচ্ছে।
বিঃদ্রঃ ব্যাক্তিগত মতামত- ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ কোন ইস্যু লম্বা সময় ধরে চলমান হয়া দরকার। সুতরাং এই ইসরায়েল আর ফিলিস্তিন এর যুদ্ধা দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং তা ৩য় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর জন্য প্রধান ভুমিকা পালন করবে। (সত্যিকার অর্থে তা চলমান)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১২